‘তাইওয়ান পুনরুদ্ধার দিবস’ ঘোষণা চীনের
              
                  
 অনলাইন নিউজ ডেক্স                  
              
             
          
           
           
			
           
             
           
           
           
           
               
                                       
                                      
             
          
            
                
                            
              
            
         
          
            
			   
			   
				  
				  
				    ২৫ অক্টোবরকে ‘তাইওয়ান পুনরুদ্ধার দিবস’ হিসেবে নির্ধারণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে চীন। তাইওয়ানে জাপানি শাসন অবসানের ৮০ বছর পূর্তি দিবসকে কেন্দ্র করে দেশটির চতুর্দশ জাতীয় গণ-কংগ্রেসের স্থায়ী কমিটির ১৮তম সম্মেলনে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।  
সিদ্ধান্তে বলা হয়েছে, ১৯৪৫ সালে তাইওয়ানবাসীসহ সব চীনা জনগণ জাপানি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ যুদ্ধ এবং বিশ্ব ফ্যাসিবাদ-বিরোধী যুদ্ধে মহান বিজয় অর্জন করে। এই বিজয়ের মাধ্যমেই তাইওয়ান মুক্ত হয়েছিল এবং মাতৃভূমির কোলে ফিরে এসেছিল।
তাইওয়ানের এই মুক্তি জাপানি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে চীনা জনগণের বিজয়ের এক উল্লেখযোগ্য অর্জন।
বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এই ঘোষণার কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ তাৎপর্য রয়েছে। কারণ তাইওয়ান প্রাচীনকাল থেকেই চীনা ভূখণ্ডের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ এবং ‘এক-চীন নীতি’র প্রতি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সমর্থনও রয়েছে। 
চীনের গৃহযুদ্ধ (১৯৪৫-৪৯) এবং বহিরাগত শক্তির হস্তক্ষেপের কারণে ১৯৪৯ সাল থেকে তাইওয়ান প্রণালীর দুই পক্ষ দীর্ঘস্থায়ী রাজনৈতিক সংঘাতে জড়িয়ে যায়।
তবে চীন দাবি করছে, দেশটির সার্বভৌমত্ব এবং ভূখণ্ড কখনো বিভক্ত হয়নি এবং তাইওয়ান প্রণালীর উভয় পক্ষ ‘এক চীন নীতি’র অন্তর্ভুক্ত। চীনের এই নীতি কখনো পরিবর্তিতও হয়নি। 
১৯৭১ সালে জাতিসংঘ গণপ্রজাতন্ত্রী চীনকে স্বীকৃতি দেয় (যার রাজধানী বেইজিং) চীন প্রজাতন্ত্রের (তাইওয়ান) পরিবর্তে, চীনের একমাত্র প্রতিনিধি হিসেবে। বেইজিংয়ের সরকারি দৃষ্টিভঙ্গি হলো ‘তাইওয়ান তার ভূখণ্ডের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ’। 
চীনের সংবিধানেও বলা হয়েছে, ‘জাতীয় পুনর্মিলন একটি জাতীয় কর্তব্য’।				   
				   				 
			   
          
                   