তামাক পণ্যে কর বাড়ানোর দাবি


তামাক পণ্যে কর বাড়ানোর দাবি
জনস্বাস্থ্য সুরক্ষায় ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেটে তামাকের ব্যবহার হ্রাস ও তামকজনিত ক্ষয়ক্ষতি নিরসনে এই পণ্যের ওপর কর বাড়ানোর দাবি জানিয়েছেন বিশিষ্টজনরা। তামাক পণ্যের দাম বাড়ানোর পাশাপাশি সিগারেটের বর্তমান চারটি স্তরকে কমিয়ে তিনটি স্তরে নামিয়ে আনার প্রস্তাব করেন তারা। সোমবার রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে স্বাস্থ্য সুরক্ষা ফাউন্ডেশনের আয়োজনে ‘জনস্বাস্থ্য সুরক্ষা ও রাজস্ব বৃদ্ধির লক্ষ্যে, তামাক পণ্যের কার্যকর করারোপ’ শীর্ষক ইয়ুথ কনফারেন্সে এমন দাবি করেন বিশিষ্টজনরা। কনফারেন্সে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী, অ্যাকাডেমিক, গবেষক, সিভিল সোসাইটির প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানের মূল প্রবন্ধে জানানো হয়, প্রতি বছর তামাক ব্যবহারজনিত রোগে প্রায় এক লাখ ৬১ হাজার প্রাপ্তবয়স্ক অকালে মৃত্যুবরণ করে। বাংলাদেশে তামাক ব্যবহারের হার দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে সবচেয়ে বেশি, ৩৫ দশমিক ৩ শতাংশ। তাছাড়া, তামাক খাত থেকে সরকার যে পরিমাণ রাজস্ব পায়, তার থেকে ৩৪ শতাংশ বেশি খরচ হয় তামাকের কারণে সৃষ্ট রোগের চিকিৎসায়। বক্তারা বলেন, সিগারেটের বর্তমান চারটি স্তরকে কমিয়ে তিনটি স্তরকে নামিয়ে আনা অর্থাৎ নিম্ন ও মধ্যম স্তরকে একত্রিত করে একটি স্তর করা এবং এ স্তরের সিগারেটের ১০ শলাকার প্যাকেটের সর্বনিম্ন মূল্য ৮০ টাকা নির্ধারণ করা; এছাড়াও সব স্তরের সিগারেটের সম্পূরক শুল্ক ৬৭ শতাংশ করার দাবি করা হয়। এছাড়া উচ্চ স্তরের সিগারেটের ১০ শলাকার প্যাকেটের সর্বনিম্ন মূল্য ১৩০ এবং প্রিমিয়াম স্তরের সিগারেটের ১০ শলাকার প্যাকেটের সর্বনিম্ন মূল্য ১৮০ টাকা করার প্রস্তাব দেওয়া হয়। কনফারেন্সে বিশেষ অতিথি ছিলেন স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (বিশ্বস্বাস্থ্য অনুবিভাগ) শেখ মোমেনা মনি। বক্তৃতা করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাস্থ্য অর্থনীতি ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক ড. শাফিউন নাহিন শিমুল, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সাবেক সদস্য ড. মো. সহিদুল ইসলাম ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. রফিকুল ইসলাম। অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় এন্টি টোব্যাকো ক্লাবের সদস্যরা, প্রজেক্ট কো-অর্ডিনেটর ডা. বরিষা পাল, স্বাস্থ্য সুরক্ষা ফাউন্ডেশনসহ বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা, দেশি-বিদেশি উন্নয়ন সহযোগী সংস্থার প্রতিনিধিরা।