নতুন বছরের শুরুতেও গাজা-ইউক্রেনে হামলা


পুরোবিশ্ব যখন ইংরেজি নববর্ষ উদযাপনে ব্যস্ত তখন প্রাণের ভয়ে তটস্ত কেউ কেউ। বছরের প্রথম দিনেও গাজায় নিরীহ ফিলিস্তিনিদের ওপর হামলা চালিয়েছে ইসরাইলিরা। অন্যদিকে ইউক্রেনেও বন্ধ হয়নি রাশিয়ার আগ্রাসন। বছরের প্রথমদিনে উত্তর গাজার জাবালিয়া এবং আল বুরেইজ শরণার্থী শিবিরে কমপক্ষে আরও ১৭ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। আবার ইউক্রেনে রাশিয়ার ড্রোন হামলায় অন্তত তিনজন আহত হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে দুটি জেলার একাধিক ভবন। এএফপি, আল-জাজিরা। কয়েকদিন ধরেই ভারী বৃষ্টির কারণে অবরুদ্ধ উপত্যকাজুড়ে শত শত অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্র প্লাবিত হওয়ায় বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিরা সংকটে পড়েছে। ইসরাইলি বাহিনী মানবিক সহায়তা প্রবেশেও বাধা দিচ্ছে বলে জানা গেছে। এমন পরিস্থিতিতে খাদ্য ও বাসস্থানসহ প্রয়োজনীয় জিনিসের সংকটের কারণে বড় ধরনের বিপর্যয়ের মুখোমুখি হচ্ছে ফিলিস্তিনিরা। জাতিসংঘ বলছে, গাজার হাসপাতালগুলোতে ইসরাইলের হামলায় স্বাস্থ্যসেবা ভেঙে পড়েছে। সেখানকার প্রায় হাসপাতালের কার্যক্রমই এখন বন্ধ। কোনো হাসপাতালেই আর চিকিৎসা সেবা দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর দক্ষিণ ইসরাইলে আক্রমণ করে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। এতে প্রায় ১২০০ ইসরাইলি নিহত হন এবং কমপক্ষে ২৫০ জনকে অপহরণ করা হয়। এর জবাবে গাজায় ব্যাপক হামলা চালানো শুরু করে ইসরাইল। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য মতে, ইসরাইলের বিমান ও স্থল আক্রমণে ৪৫ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। তাদের অর্ধেকের বেশি নারী ও শিশু। এছাড়া বাস্তুচ্যুত হয়েছেন লাখ লাখ মানুষ। যদিও নিহতদের মধ্যে কতজন হামাস সদস্য রয়েছে, তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। ইসরাইলি বাহিনী হামলা চালিয়ে ১৭ হাজার হামাস সদস্যকে হত্যার দাবি করলেও, কোনো প্রমাণ দেখাতে পারেনি। অন্যদিকে নতুন বছরে ইউক্রেনের হামলা নিয়ে মেয়র ভিটালি ক্লিটশকো বলেছেন, শত্রুপক্ষের হামলা প্রতিহত করছিল বিমানবাহিনী। সে সময় একটি ভবনের দুটি তলা আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে ইউক্রেনের বিরুদ্ধে সামরিক অভিযান শুরু করে রাশিয়া। তখন থেকেই যুদ্ধের সম্মুখ সারির অনেক পেছনে বেসামরিক শহরেও বিমান হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ক্রেমলিন।