নারী ফুটবলের আইকন যে ৬ তারকা


নারী ফুটবলের আইকন যে ৬ তারকা

অবিশ্বাস্য পারফরম্যান্সে নারী ফুটবলে কিংবদন্তি হয়েছেন যারা তাদের মধ্যে অন্যতম ৬ জন হলেন- প্যাট্রিসিয়া গুইজারো, নাওমি গির্মা, লরেন জেমস, সালমা প্যারালুয়েলো, সোফিয়া উইলসন ও ডেইনা কাস্তেলানোস।

খেলার প্রতি ভালোবাসা আর অক্লান্ত পরিশ্রমে পেশাদার ফুটবলে অসামান্য অবদান রেখে আগামীর প্রজন্মের জন্য আইডল হয়ে আছেন তারা। আজ আমরা তাদের কথা শুনব।

সোফিয়া উইলসন (যুক্তরাষ্ট্র)

সোয়িয়া উইলসন বলেছেন, আমি খুবই ভাগ্যবান যে, আমি আমার স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ দিতে পেরেছি, ফুটবলে ক্যারিয়ার গড়ার সুযোগ পেয়েছি। বর্তমানে অনেক নারী খেলাধুলায় ক্যারিয়ার গড়ার সুযোগ পাচ্ছে। আমি নারীদের খেলাধুলায়ে সম্পৃক্ত হওয়ার অনুরোধ করব। আমার বিশ্বাস তারা ক্রীড়াঙ্গনে আরও বেশি অবদান রাখতে পারবে।

ডেইনা কাস্তেলানোস (ভেনিজুয়েলা)

ফুটবলে আমার কঠোর পরিশ্রম পাল্টে দিয়েছে জীবন যাত্রা এবং লাইফস্টাইল। ফুটবলই আমাকে তারকা খ্যাতি এনে দিয়েছে। এজন্য তরুণ প্রজন্মকে আমি খেলাধুলায় সম্পৃক্ত হতে উৎসাহীত করব। আমার বিশ্বাস আগামীর প্রজন্ম আমাদের দেখে অনুপ্রাণিত হবে।

প্যাট্রিসিয়া গুইজারো (স্পেন)

আমি কোলারেন্সে বড় হয়েছি, কোলারেন্স থেকে অ্যাথলেটদের উত্থান দেখার পুরো প্রক্রিয়াটি অবিশ্বাস্য ছিল। আমি বিশ্বাস করি যে নম্রতার ভূমিকায় আমি বড় হতে পেরেছি। বর্তমান প্রজন্ম খেলাধুলা শুরুর আগে আইডল পাচ্ছে, কিন্তু একটা সময় ছিল যখন কোনো আইডল ছিল না যে, ওনাকে দেখে আমি খেলোয়াড় হতে চাই। এই প্রজন্ম তাদের আইডলকে দেখে স্বপ্ন বুনতে পারে।

সালমা প্যারালুয়েলো (স্পেন)

আমি এমন একটি সময়ে খেলাধুলায় আসতে পেরে সৌভাগ্যবান ছিলাম, যখন খেলার অনেক অগ্রগতি হয়েছে। আগের প্রজন্মের খেলোয়াড়দের যারা এই পরিবর্তনগুলোর জন্য লড়াই করেছিল তাদের ধন্যবাদ। এটি এখন আমার জন্য আরও আরামদায়ক পরিস্থিতি। যদিও এখনও অনেক কিছু আপডেট হওয়া প্রয়োজন। আমি এই অগ্রগতিতে খুশি এবং গর্বিত। আমি সব সময় স্পটলাইটে থাকতে পছন্দ করি না, কিন্তু আমি জানি এটা ইতিবাচক কিছু থেকে এসেছে এবং আমি ভালোবাসি যে আমরা স্পেনে নারীদের ফুটবল এবং খেলাধুলায় সত্যিকারের উন্নতির জন্য চেষ্টা করছি।

নাওমি গিরমা (যুক্তরাষ্ট্র)

আমি ফুটবল খেলা অনেক বেশি পছন্দ করি এবং খেলাটি উপভোগ করি। আমি মনে করি একজন ক্রীড়াবিদ হিসেবে চাপের মুহুর্তে নিজের মানসিকতা ঠিক রেখে পারফর্ম করা। ফুটবল আমাকে উন্নতির শিখরে নিয়ে এসেছে। নারীরা যাতে খেলাধুলায় ক্যারিয়ার গড়তে কঠোর পরিশ্রমী হয় সেজন্য আমরা কাজ করছি। আমি চাই আগামী প্রজন্মের ভবিষ্যৎ আরও সুন্দর হোক।

লরেন জেমস (ইংল্যান্ড)

বড় হয়ে আমি নারীদের ফুটবল তেমন দেখতে পাইনি। এখন যেভাবে নারীদের খেলা হচ্ছে। যারা আমাকে চেনেন, তারা জানেন আমি যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক হিসেবে নিজেকে গর্বিতবোধ করছি। দেশের হয়ে নারী ফুটবলে অবদান রাখতে পেরে আমি আরও বেশি গর্বিত।