নোয়াখালীতে নিকাহ রেজিস্ট্রার নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগ


নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলার অর্জুনতলা ইউনিয়নের নিকাহ রেজিস্ট্রার নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। বুধবার (১২ জুলাই) নোয়াখালী জেলা প্রশাসকের কাছে এ অভিযোগ করেন কাজী মো.রবিউল ইসলাম নামে এক ভুক্তভোগী। অভিযোগের অনুলিপি দেওয়া হয় প্রধানমন্ত্রী,আইনমন্ত্রী,আইন সচিব, জেলা রেজিস্ট্রার ও দুর্নীতি দমন কমিশন নোয়াখালী কার্যালয় বরাবর। লিখিত অভিযোগে বলা হয়েছে, কাজী মো.রবিউল ইসলাম একজন মুক্তিযোদ্ধার নাতি। তিনি উপজেলার অর্জুনতলা ইউনিয়নের নিকাহ রেজিস্ট্রারের পদে প্রার্থী ছিলেন। এ পদের জন্য গত ৫ জুলাই বিকেল ৪টার দিকে সেনবাগ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সভা কক্ষে মৌখিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয় । মৌখিক পরীক্ষা চলাকালে সেখানে বহিরাগত লোকজন উপস্থিত হন। নিয়োগ বোর্ডের কর্মকর্তারা অসদুপায়ে মোটা অংকের টাকা নিয়ে স্থানীয় এমপির পিএস সামছুল আলম আজাদ সুমনের নির্দেশে আমার কাগজ পত্র সরিয়ে ফেলার জন্য বলে। পরে তার ভাগিনা মো.ওমর ফারুককে এ পদের জন্য মনোনীত করে। ওমর ফারুক ও তার পরিবারের সদস্যরা জামায়াত শিবিরের রাজনীতির সাথে জড়িত। অভিযোগে আরও বলা হয়েছে, অর্জুনতলা ইউনিয়নের সাবেক নিকাহ রেজিট্রার সুজায়েত উল্যাহ ভূঞার বিরুদ্ধে হাইকোর্ট ডিভিশানে রীট পিটিশান করেন কাজী মো.রবিউল ইসলাম। মামলা চলমান অবস্থায় সুজায়েত উল্যাহ গত বছরের ২১ ডিসেম্বর নোটারী পাবলিক আপোষ নামা মূলে তার রীট পিটিশান প্রত্যাহার পূর্বক নিকাহ রেজিট্রার ও কাজীর দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি নেন। তাই এ পদের জন্য সকলের থেকে আমার বেশি যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও লোকমুখে জানা যায় আমাকে প্যানেলে রাখা হয়নি। এমপির পিএস সামছুল আলম আজাদ সুমন অভিযোগ নাকচ করে দিয়ে বলেন,অর্জুনতলা ইউনিয়নের এখনো কাজী নিয়োগ হয়নি। শুধু মাত্র মৌখিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বরং মো.রবিউল ইসলামের মা বিএনপির রাজনীতির সাথে জড়িত। জেলা রেজিস্ট্রার আনোয়ারুল হক চৌধুরী বলেন, লিখিত অভিযোগ পেলে এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হবে।