পর্দা নামছে বাণিজ্যমেলার


পর্দা নামছে বাণিজ্যমেলার
ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলার ২৯তম আসরের পর্দা নামছে শুক্রবার। মেলার সময় বাড়াতে স্টল ও প্যাভিলিয়ন মালিকদের দাবি, ইপিবি ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয় মেনে নেয়নি। ফলে নির্ধারিত দিনেই শেষ হচ্ছে বাণিজ্যমেলা।মেলার সময় না বাড়ানোয় লোকসানের আশঙ্কা করছেন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা। তবে বৃহৎ কোম্পানিগুলো প্রদর্শনীতে সফল হয়েছে। আগের বছরগুলোর তুলনায় চলতি বছরের বাণিজ্যমেলায় দর্শনার্থীর উপস্থিতি ছিল দেখার মতো।এদিকে বাণিজ্যমেলায় বাজিমাত করেছে দেশসেরা প্রতিষ্ঠান যমুনা ইলেকট্রনিকস অ্যান্ড অটোমোবাইলস লিমিটেড। কোম্পানিটির পেগাসাস ব্র্যান্ডের ১৫০ সিসি মোটরসাইকেল বিপুল পরিমাণে বিক্রি হয়েছে। পছন্দের মোটরসাইকেলে ছাড় পেয়ে খুশি ক্রেতারাও।যমুনা ইলেকট্রনিকস অ্যান্ড অটোমোবাইলস লিমিটেডের হেড অব সেলস মেজবাহ উদ্দিন আতিক বলেন, ‘আমরা মেলায় বিশেষ ছাড়ে পেগাসাস ব্রান্ডের ১৫০ সিসি মোটরসাইকেল এনেছি। মোটরসাইকেলে অভূতপূর্ব সাড়া পেয়েছি। এতে আমরা সন্তুষ্ট। পেগাসাস ব্র্যান্ডের ১৫০ সিসির দাম ১ লাখ ২৫ হাজার টাকা। সর্বোচ্চ ছাড়ে ৯৩ হাজার ৭০০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে। তিনটি কালারে পাওয়া যাচ্ছে এই মোটরসাইকেল।ঢাকার উত্তরা থেকে আগত মনিরুজ্জামান মনির যমুনার নতুন মডেলের একটি বাইক কিনেছেন। জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আউটলুকিং চমৎকার। যমুনা দেশীয় প্রযুক্তিতে এত সুন্দর মানের পেগাসাস মোটরসাইকেল তৈরি করেছে, যা আমার ধারণায় ছিল না। জ্বালানি সাশ্রয়ী আন্তর্জাতিক মানের এই মোটরসাইকেলটি নিঃসন্দেহে ভালো। ’বাণিজ্যমেলার শেষদিকে যমুনার ফ্রিজের বিক্রিও বেশ ভালো। নতুন নতুন মডেলের এলইডি ও গুগল টিভির চাহিদা অনেক বেশি থাকায় বিক্রেতারাও দম ফেলার সময় পাননি।শেষ সময়ে এসে বাণিজ্যমেলায় বেড়েছে দর্শনার্থীর ভিড়। বেড়েছে বিক্রিও। পণ্যে ছাড়ও দিচ্ছেন বিক্রেতারা। তবে মেলায় পাওয়া মালামালে তেমন সন্তুষ্ট নন ক্রেতারা।মেলায় ঘুরতে আসা গৃহিণী নাজনীন সুলতানা মুক্তা বলেন, মেলায় যেসব পণ্য আছে এসব আমাদের কালিগঞ্জ মার্কেটে পাওয়া যায়। মেলায় নতুনত্ব নেই বললেই চলে। ’মেলার আয়োজন আর পণ্য নিয়ে দর্শনার্থীদের মাঝেও দেখা গেছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া। কেউ কেউ অভিযোগ করেছেন, আবার কেউ কেউ সন্তোষ প্রকাশ করেছেন।মেলায় আসা নরসিংদীর পলাশ এলাকার ব্যবসায়ী শামসুজ্জামান বলেন, মেলায় বিদেশি দর্শনার্থীদের আনাগোনা থাকা দরকার। দুদিন মেলায় এলাম একদিনও বিদেশি দর্শনার্থী চোখে পড়েনি। ’মেলা সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, মেলায় বিক্রিত পণ্যের ওপর ভ্যাট আরোপিত থাকায় খরচ বেড়েছে। তাছাড়া স্টলগুলো প্রকৃত ব্যবসায়ীদের হাতে থাকে না। ফলে হাত বদল করে স্টল নিতে গিয়ে দাম পড়েছে বেশি।মেলার পরিচালক ও ইপিবি সচিব বিবেক সরকার বলেন, মেলার অভ্যন্তরীণ পরিবেশ সুন্দর ছিল। তবে ক্রেতা-বিক্রেতার আশা-নিরাশা এটা সবখানেই থাকে। এবার আমরা বিদেশি পণ্যের প্যাভিলিয়ন কম পেয়েছি।