পশ্চিম তীর সফরে যেতে না দেওয়া ইসরাইলের উগ্রবাদীতার প্রমাণ: সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী
অনলাইন নিউজ ডেক্স

অধিকৃত পশ্চিম তীরের রামাল্লায় আরব মন্ত্রীদের যেতে না দেওয়া ‘ইসরাইলের উগ্রবাদীতার প্রমাণ’ বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রিন্স ফয়সাল বিন ফারহান। এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ বার্তাসংস্থা রয়টার্স।ফিলিস্তিন ইস্যুতে সৌদির নেতৃত্বে ৬ আরব দেশ ও তুরস্কের বৈঠক ইসরাইলি বাধায় পশ্চিম তীর থেকে সরিয়ে জর্ডানের আম্মানে অনুষ্ঠিত হয়। এতে দেশগুলোর পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা অংশ নেন। এ সময় ইসরাইলের কড়া সমালোচনা করেন সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী।তিনি বলেন, অধিকৃত পশ্চিম তীরে আরব মন্ত্রীদের একটি প্রতিনিধিদলকে অনুমতি দিতে ইসরাইলি সরকারের অস্বীকৃতি তাদের ‘চরমপন্থা এবং শান্তির প্রতি প্রত্যাখ্যান’ প্রকাশ করেছে।সৌদি মন্ত্রী আরও বলেন, ‘পশ্চিম তীরে বৈঠক ঠেকিয়ে তারা দেখিয়েছে- শান্তি নয়, দমননীতিতেই বিশ্বাস করে তারা। ইসরাইলের এই অহংকার আমাদের কূটনৈতিক প্রচেষ্টা দ্বিগুণের ইচ্ছাকে শক্তিশালী করে। ‘এর আগে শনিবার ইসরাইল জানায়, রোববারের পরিকল্পিত বৈঠকে জর্ডান, মিশর, সৌদি আরব, কাতার এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের মন্ত্রীদের অংশগ্রহণের অনুমতি দেবে না তারা। এক ইসরাইলি কর্মকর্তা বলেন, মন্ত্রীরা ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার প্রচারের জন্য একটি ‘উসকানিমূলক বৈঠকে’ অংশ নিতে চেয়েছিলেন।জর্ডানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আয়মান সাফাদি বলেছেন, ‘এই সফরে বাধা দেয়ার ফলে ইসরাইল ‘ন্যায়সঙ্গত আরব-ইসরাইলি মীমাংসার যেকোনো সুযোগকে হত্যা করছে।’মিশরের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বদর আবদেলাত্তি বৈঠকের আগে বলেন, ‘সম্মেলনে গাজায় যুদ্ধবিরতির পর নিরাপত্তা ব্যবস্থা এবং ফিলিস্তিনিদের তাদের ভূমিতে থাকা নিশ্চিত করার জন্য পুনর্গঠন পরিকল্পনা এবং তাদের উচ্ছেদের যেকোনো ইসরাইলি পরিকল্পনা ব্যর্থ করার বিষয়গুলো অন্তর্ভুক্ত করা হবে।ব্যাপক দমন-পীড়ন ও হামলার কারণে জাতিসংঘ এবং ইউরোপীয় দেশগুলোর ক্রমবর্ধমান চাপের মুখে পড়েছে ইসরাইল। ইতোমধ্যেই আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংস্থা ও আরব-ইউরোপের দেশগুলো ইসরাইল-ফিলিস্তিনি সংকট নিরসনে দ্বি-রাষ্ট্রীয় সমাধানের পক্ষে মত দিয়েছে।
