প্রকাশিতঃ অক্টোবর ১, ২০২৪
৫:২৭ অপরাহ্ণ

আন্তর্জাতিক

টেস্ট অধিনায়ক হিসেবে প্রথম ইনিংসেই ডাবল সেঞ্চুরি? এমন কীর্তি ক্রিকেট ইতিহাসে হয়েছে মাত্র তিনবার। আর এখন সে তালিকার শীর্ষে উইয়ান মুল্ডার। দক্ষিণ আফ্রিকার এই অলরাউন্ডার বুলাওয়েতে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে দ্বিতীয় টেস্টে অধিনায়কত্বের অভিষেকে অপরাজিত ২৬৪ রানে দিন শেষ করেছেন—যা এ ধরনের ম্যাচে সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত ইনিংস।  এর আগে ১৯৬৮ সালে ভারতের বিপক্ষে ক্রাইস্টচার্চে ২৩৯ রান করেছিলেন নিউজিল্যান্ডের গ্রাহাম ডাউলিং। সেটাই এতদিন ছিল অধিনায়কত্বে অভিষেক টেস্টে সর্বোচ্চ ইনিংসের রেকর্ড। আরও আগে ২০০৫ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের শিবনারায়ণ চন্দরপল দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে করেছিলেন ২০৩*।  ২৭ বছর বয়সী মুল্ডারের এই অধিনায়কত্ব আসলে অনেকটাই আকস্মিক। নিয়মিত অধিনায়ক টেম্বা বাভুমা হ্যামস্ট্রিং চোটে জিম্বাবুয়ে সফরে যাননি। সহ-অধিনায়ক এইডেন মার্করাম ও অভিজ্ঞ পেসার কাগিসো রাবাদাকেও বিশ্রামে রাখা হয়। এর ফলে প্রথম টেস্টে নেতৃত্ব পান স্পিনার কেশব মহারাজ। কিন্তু ব্যাটিংয়ের সময় কুঁচকিতে চোট পেয়ে দ্বিতীয় টেস্ট থেকে ছিটকে যান তিনিও। তখনই দায়িত্ব তুলে দেওয়া হয় মুল্ডারের কাঁধে।  আর সেই সুযোগের সর্বোত্তম ব্যবহারই করেছেন তিনি। ৩৪টি চার ও ৩টি ছক্কার মাধ্যমে দুর্দান্ত ইনিংস গড়ে প্রথম দিন শেষ করেছেন ২৬৪* রানে। দক্ষিণ আফ্রিকার স্কোর দাঁড়ায় ৯০ ওভারে ৪ উইকেটে ৪৬৫।  এটাই প্রথম নয়। সিরিজের প্রথম টেস্টেও দারুণ ব্যাটিং করেছিলেন মুল্ডার, করেছিলেন ১৪৭ রান। ফলে তার ফর্ম বলছে, তিনি শুধু স্ট্যান্ড-ইন অধিনায়ক নন, দক্ষিণ আফ্রিকার টেস্ট ভবিষ্যতের অন্যতম বড় ভরসাও বটে।  রেকর্ড বইয়ে নাম উঠলো যাদের  অধিনায়কত্বের অভিষেকে ডাবল সেঞ্চুরি:  উইয়ান মুল্ডার (দ.আফ্রিকা) – ২৬৪* বনাম জিম্বাবুয়ে, বুলাওয়ে ২০২৫ গ্রাহাম ডাউলিং (নিউজিল্যান্ড) – ২৩৯ বনাম ভারত, ১৯৬৮ শিবনারায়ণ চন্দরপল (ওয়েস্ট ইন্ডিজ) – ২০৩* বনাম দ.আফ্রিকা, ২০০৫ এছাড়া, মুল্ডার হলেন দক্ষিণ আফ্রিকার ইতিহাসে অধিনায়কত্বের অভিষেকে সেঞ্চুরি করা দ্বিতীয় ক্রিকেটার—১৯৫৫ সালে জ্যাকি ম্যাকগ্লু প্রথম এই কীর্তি করেছিলেন ইংল্যান্ডের বিপক্ষে।  বিভিন্ন নিয়মিত তারকার অনুপস্থিতিতে হঠাৎ নেতৃত্ব পাওয়া মুল্ডার ব্যাট হাতে যা করে দেখিয়েছেন, তা শুধু রেকর্ড নয়—একটি বার্তাও। হয়তো ভবিষ্যতের নিয়মিত অধিনায়ক হওয়ার দিকেও তাকিয়ে আছেন তিনি। আর এমন অভিষেকের পর দক্ষিণ আফ্রিকার ক্রিকেট বিশ্বও নিশ্চয় তার নামটি একটু আলাদা করে মনে রাখবে।

টেস্ট অধিনায়ক হিসেবে প্রথম ইনিংসেই ডাবল সেঞ্চুরি? এমন কীর্তি ক্রিকেট ইতিহাসে হয়েছে মাত্র তিনবার। আর এখন সে তালিকার শীর্ষে উইয়ান মুল্ডার। দক্ষিণ আফ্রিকার এই অলরাউন্ডার বুলাওয়েতে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে দ্বিতীয় টেস্টে অধিনায়কত্বের অভিষেকে অপরাজিত ২৬৪ রানে দিন শেষ করেছেন—যা এ ধরনের ম্যাচে সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত ইনিংস। এর আগে ১৯৬৮ সালে ভারতের বিপক্ষে ক্রাইস্টচার্চে ২৩৯ রান করেছিলেন নিউজিল্যান্ডের গ্রাহাম ডাউলিং। সেটাই এতদিন ছিল অধিনায়কত্বে অভিষেক টেস্টে সর্বোচ্চ ইনিংসের রেকর্ড। আরও আগে ২০০৫ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের শিবনারায়ণ চন্দরপল দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে করেছিলেন ২০৩*। ২৭ বছর বয়সী মুল্ডারের এই অধিনায়কত্ব আসলে অনেকটাই আকস্মিক। নিয়মিত অধিনায়ক টেম্বা বাভুমা হ্যামস্ট্রিং চোটে জিম্বাবুয়ে সফরে যাননি। সহ-অধিনায়ক এইডেন মার্করাম ও অভিজ্ঞ পেসার কাগিসো রাবাদাকেও বিশ্রামে রাখা হয়। এর ফলে প্রথম টেস্টে নেতৃত্ব পান স্পিনার কেশব মহারাজ। কিন্তু ব্যাটিংয়ের সময় কুঁচকিতে চোট পেয়ে দ্বিতীয় টেস্ট থেকে ছিটকে যান তিনিও। তখনই দায়িত্ব তুলে দেওয়া হয় মুল্ডারের কাঁধে। আর সেই সুযোগের সর্বোত্তম ব্যবহারই করেছেন তিনি। ৩৪টি চার ও ৩টি ছক্কার মাধ্যমে দুর্দান্ত ইনিংস গড়ে প্রথম দিন শেষ করেছেন ২৬৪* রানে। দক্ষিণ আফ্রিকার স্কোর দাঁড়ায় ৯০ ওভারে ৪ উইকেটে ৪৬৫। এটাই প্রথম নয়। সিরিজের প্রথম টেস্টেও দারুণ ব্যাটিং করেছিলেন মুল্ডার, করেছিলেন ১৪৭ রান। ফলে তার ফর্ম বলছে, তিনি শুধু স্ট্যান্ড-ইন অধিনায়ক নন, দক্ষিণ আফ্রিকার টেস্ট ভবিষ্যতের অন্যতম বড় ভরসাও বটে। রেকর্ড বইয়ে নাম উঠলো যাদের অধিনায়কত্বের অভিষেকে ডাবল সেঞ্চুরি: উইয়ান মুল্ডার (দ.আফ্রিকা) – ২৬৪* বনাম জিম্বাবুয়ে, বুলাওয়ে ২০২৫ গ্রাহাম ডাউলিং (নিউজিল্যান্ড) – ২৩৯ বনাম ভারত, ১৯৬৮ শিবনারায়ণ চন্দরপল (ওয়েস্ট ইন্ডিজ) – ২০৩* বনাম দ.আফ্রিকা, ২০০৫ এছাড়া, মুল্ডার হলেন দক্ষিণ আফ্রিকার ইতিহাসে অধিনায়কত্বের অভিষেকে সেঞ্চুরি করা দ্বিতীয় ক্রিকেটার—১৯৫৫ সালে জ্যাকি ম্যাকগ্লু প্রথম এই কীর্তি করেছিলেন ইংল্যান্ডের বিপক্ষে। বিভিন্ন নিয়মিত তারকার অনুপস্থিতিতে হঠাৎ নেতৃত্ব পাওয়া মুল্ডার ব্যাট হাতে যা করে দেখিয়েছেন, তা শুধু রেকর্ড নয়—একটি বার্তাও। হয়তো ভবিষ্যতের নিয়মিত অধিনায়ক হওয়ার দিকেও তাকিয়ে আছেন তিনি। আর এমন অভিষেকের পর দক্ষিণ আফ্রিকার ক্রিকেট বিশ্বও নিশ্চয় তার নামটি একটু আলাদা করে মনে রাখবে।

আরও খবর

পাকিস্তানে জাকির নায়েককে লাল গালিচা সংবর্ধনা


পাকিস্তানে জাকির নায়েককে লাল গালিচা সংবর্ধনা
জনপ্রিয় ধর্মপ্রচারক ও বিশ্লেষক ডা. জাকির নায়েককে লাল গালিচা সংবর্ধনা দিয়েছে পাকিস্তান। সোমবার সকালে পাকিস্তানের নিউ ইসলামাবাদ বিমানবন্দরে নামার পর এই সংবর্ধনা দেওয়া হয় তাকে।জিয়ো নিউজের খবরে বলা হয়, পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর যুব কর্মসূচির চেয়ারম্যান রানা মাসুদ, দেশটির ধর্ম মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব সৈয়দ আতা-উর-রহমানসহ কয়েকজন উচ্চপদস্থ আমলা ডা. জাকির নায়েককে স্বাগত জানানোর জন্য নিউ ইসলামাবাদ বিমানবন্দরে উপস্থিত ছিলেন।পাকিস্তানের সরকারি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, প্রায় এক মাসের এই সফরে পাকিস্তানের উচ্চপদস্থ কয়েক জন কর্মকর্তার সঙ্গে বৈঠক করবেন জাকির; পাশাপাশি ইসলামাবাদ, করাচি এবং লাহোরে কয়েকটি ধর্মীয় অনুষ্ঠানেও যোগ দেবেন।সোমবার পাকিস্তানে পৌঁছানোর পরই ডা. জাকির নায়েক জাতীয় পরিষদের স্পিকার সরদার আয়াজ সাদিকের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। মুসলিম উম্মাহর চ্যালেঞ্জ এবং আন্তঃধর্মীয় সম্প্রীতিসহ অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আলোচনা করেন তারা।এসময় ডা. জাকির নায়েক বলেন, মুসলিম উম্মাহর উচিত নিজেদের ভেদাভেদ ভুলে কুরআন-সুন্নাহর আলোকে ঐক্যবদ্ধ হওয়া। ইসলাম শান্তি, ভালোবাসা ও ভ্রাতৃত্বের ধর্ম, আমার প্রচার কাজের উদ্দেশ্য বিশ্বে ইসলামের শান্তি ও ভালোবাসার প্রকৃত বার্তা তুলে ধরা।পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদের স্পিকার বলেন, ইসলাম একটি পূর্ণাঙ্গ জীবন বিধান, ইসলামী শিক্ষা শান্তি, সহিষ্ণুতা ও ভালোবাসার বার্তা দেয়, মুসলিম উম্মাহকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে এবং একসঙ্গে চলতে হবে।পাকিস্তান সরকারের আমন্ত্রণে ডা. জাকির নায়েক পাকিস্তানে এসেছেন। তিনি করাচি, লাহোর এবং ইসলামাবাদে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে ভাষণ দেবেন এবং গুরুত্বপূর্ণ জাতীয় ব্যক্তিত্বদের সাথেও দেখা করবেন।নিজ দেশ ভারতে আইনি জটিলতার কারণে বর্তমানে মালয়েশিয়ায় অবস্থান করছেন এই ধর্মপ্রচারক।জাকির নায়েক পিস টিভি নামের একটি টেলিভিশন চ্যানেল পরিচালনা করতেন। সেখানেই ধর্ম সংক্রান্ত আলোচনা করতেন তিনি। তবে লাগাতার উসকানিমূলক ও অন্যান্য ধর্মের প্রতি ‍ঘৃণামূলক বক্তব্য দেওয়ার কারণে ২০১৬ সালে বাংলাদেশ, ভারত এবং শ্রীলংকায় তার টেলিভিশন চ্যানেলটি নিষিদ্ধ হয়। উগ্র বক্তব্য দেওয়ার কারণে যুক্তরাজ্য এবং কানাডায় তার প্রবেশ নিষিদ্ধ করেছে দেশ দু’টির সরকার।যে বছর পিস টিভি নিষিদ্ধ হয়, সেই ২০১৬ সালে বিদেশে অর্থ পাচারের অভিযোগে মামলাও হয় তার বিরুদ্ধে। মামলা হওয়ার সময় অবশ্য দেশের বাইরে ছিলেন জাকির। মামলার সংবাদ শুনে আর ভারতে ফেরেননি তিনি।