পালটাপালটি আক্রমণে ইউক্রেন-রাশিয়া


পালটাপাল্টি আক্রমণ চলছে ইউক্রেন-রাশিয়ায়। দক্ষিণ রাশিয়ার রোভ অঞ্চলে বিমানঘাঁটিতে ড্রোন হামলা চালিয়েছে ইউক্রেন। এ ঘটনায় বিধ্বস্ত হয়েছে ছয়টি রুশ বিমান। পাশাপাশি আরও আটটি বিমান গুরুতর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ঘটনায় প্রায় ২০ জন সেনাসদস্যের হতাহতের বিষয়টি জানিয়েছে এক নিরাপত্তা সূত্র। অন্যদিকে ইউক্রেনের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর খারকিভে হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। এ হামলায় ৬ জন বেসামরিকসহ ১০ জন আহত হয়েছেন। শনিবার স্থানীয় সময় মধ্যরাতে এ হামলা চালানো হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে অঞ্চলটির কর্মকর্তরা। এএফপি, বিবিসি। দক্ষিণ রাশিয়ার বৃহত্তম শহর রোস্তভ-অন-ডন। সেখানেই মরোজোভস্ক বিমানঘাঁটিতে সাধারণত রাশিয়ার এসইউ-২৭ ও এসইউ-৩৪ বিমান রাখা হয়। সেই বিমানগুলো ইউক্রেনের বিরুদ্ধে যুদ্ধে ফ্রন্টলাইনে ব্যবহার করছে রাশিয়া। রুশ কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, ইউক্রেনের সীমান্তবর্তী ওই অঞ্চল লক্ষ্য করে ৪০টিরও বেশি ড্রোন ছোড়া হয়েছে। এ বিষয়ে রুশ সামরিক বিশ্লেষক পাভেল আকসিয়োনভ বলেন, অল্প সময়ের ব্যবধানে এতগুলো ড্রোন দিয়ে হামলা চালানোর কারণে বিমান প্রতিরক্ষাব্যবস্থা ভেঙে পড়তে পারত। রোস্তভ হামলার বিষয়ে রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, সারাতভ, কুর্স্ক, বেলগোরদ ও ক্রাসনোদার অঞ্চলকেও লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছিল। হামলায় অংশগ্রহণকারী সব ড্রোনকেই ভূপাতিত করা হয়েছে। সম্প্রতি রাশিয়ায় ড্রোন হামলা জোরদার করেছে ইউক্রেন। ড্রোন দিয়ে রাশিয়ার সামরিক ও জ্বালানি ক্ষেত্রগুলোতে হামলা চালাচ্ছে দেশটি। এদিকে ইউক্রেনের উত্তর-পূর্ব শহর খারকিভ অঞ্চলে ড্রোন হামলা চালাচ্ছে রাশিয়া। খারকিভের মেয়র ইহোর তেরেখভ বলেছেন, শনিবার ভোরে অ্যাপার্টমেন্ট ব্লকসহ বেশ কয়েকটি ভবনে ইরানের তৈরি শাহেদ ড্রোন দ্বারা আঘাত করা হয়েছে। ইউক্রেনীয় পুলিশ কর্তৃক প্রকাশিত ফটোতে দেখা যায় উদ্ধারকারীদের ঘটনাস্থলে অভিযান পরিচালনা করছে, ক্ষতিগ্রস্ত ও পুড়ে যাওয়া ভবনগুলোও সেখানে দৃশ্যমান। পুলিশ জানিয়েছে, হামলায় অ্যাপার্টমেন্ট ব্লক, পেট্রোল স্টেশন, প্রশাসনিক ভবন এবং গাড়ির ক্ষতি হয়েছে। এদিকে ইউক্রেনের জাপোরিঝিয়া শহরে রুশ ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় আরও চারজন নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছেন ইউক্রেনের কর্মকর্তারা। হামলার পরপরই খারকিভ এবং কিয়েভসহ দেশের অধিকাংশ স্থানে কয়েক ঘণ্টার জন্য বিমান হামলার সতর্কতা কার্যকর করা হয়। জাপোরিঝিয়ার আঞ্চলিক গভর্নর ইভান ফেদোরভ বলেন, বেশ কয়েকটি বহুতল ভবন ও ব্যক্তিগত বাড়িঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। প্রথমে দুটি ক্ষেপণাস্ত্র হামলা করে। এরপর পুলিশ ও উদ্ধারকর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছানোর পর আরও তিনটি ক্ষেপণাস্ত্র হামলা করে। ইউক্রেনের সংবাদমাধ্যমগুলো অনুসারে, কয়েকজন সংবাদকর্মীও এ হামলায় আহত হয়েছেন। প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির চিফ অফ স্টাফ অ্যান্ড্রি ইয়ারমাক। বৃহস্পতিবার প্রকাশিত একটি সাক্ষাৎকারে নিউজ আউটলেট পলিটিকোকে তিনি বলেছেন, মে বা জুনে রাশিয়ার করা যে কোনো নতুন হামলার জন্য সম্ভাব্য লক্ষ্যবস্তু হিসাবে খারকিভকে দেখেছেন তিনি।