পুতিন-ট্রাম্প ফোনালাপের খবর ‘ভিত্তিহীন’, দাবি রাশিয়ার


সম্প্রতি রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এবং নবনির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যে একটি ফোনালাপ হয়েছে বলে যে খবর সংবাদমাধ্যমগুলোতে প্রচারিত হয়েছে, তা প্রত্যাখ্যান করেছে রাশিয়া।সোমবার (১১ নভেম্বর) রুশ প্রেসিডেন্টের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ পশ্চিমা মিডিয়ার এ ধরনের প্রতিবেদনগুলোকে ‘সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন’ এবং ‘পুরোপুরি কাল্পনিক’ বলে আখ্যায়িত করেন।সম্প্রতি এ সংক্রান্ত ওয়াশিংটন পোস্ট এবং রয়টার্সের প্রতিবেদনগুলোতে দাবি করা হয় যে, এই কথোপকথনের সময় পুতিন এবং ট্রাম্প ইউক্রেন পরিস্থিতি এবং ইউরোপে শান্তি বজায় রাখার বিষয়ে আলোচনা করেছিলেন।পেসকভ এ ধরনের প্রতিবেদনের তীব্র সমালোচনা করে একে ‘অত্যন্ত সম্মানিত কিছু সংবাদমাধ্যমেও যে কখনও কখনও ভুল তথ্য প্রকাশিত হয়, তার একটি জ্জ্বলন্ত উদাহরণ’ বলে মন্তব্য করেছেন।ক্রেমলিনের ওয়েবসাইট অনুসারে, পুতিন ও ট্রাম্পের মধ্যে শেষবারের মতো ফোনালাপ হয়েছিল ২০২০ সালের জুলাই মাসে, ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদের শেষের দিকে। সেই কথোপকথনে দুই নেতা বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ইস্যু, বিশেষত কৌশলগত স্থিতিশীলতার বিষয়ে আলোচনা করেছিলেন।পরবর্তী কয়েক মাসে, পুতিন নাগর্নো-কারাবাখ সংঘাত এবং অন্যান্য বিষয় নিয়ে মার্কিন ও ফরাসি নেতাদের সঙ্গে যৌথ বিবৃতি দেন। পরে করোনা আক্রান্ত ট্রাম্পের দ্রুত আরোগ্য কামনা করেও বার্তা পাঠান পুতিন।পেসকভ এসব বিষয়ে পরিষ্কার করে বলেছেন, গত দুই বছরে পশ্চিমা কোনো নেতার কাছে পুতিন কোনো শুভেচ্ছা বার্তা পাঠাননি। এমনকি মার্কিন প্রেসিডেন্ট বাইডেনকেও নয়।উল্লেখ্য, পুতিন ও ট্রাম্প বেশ কয়েকবার সামনাসামনি সাক্ষাৎ করেছেন। বিশেষ করে ২০১৮ সালের জুলাই মাসে ফিনল্যান্ডের হেলসিঙ্কিতে অনুষ্ঠিত রাশিয়া-মার্কিন শীর্ষ সম্মেলনে। সেখানে দুই নেতা একান্তে এবং সম্প্রসারিত পরিসরে বিভিন্ন ইস্যুতে আলোচনা করেছিলেন।এছাড়া মার্কিন প্রবীণ সাংবাদিক বব উডওয়ার্ডের মতানুসারে, ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদ শেষ হওয়ার পরও তার এবং পুতিনের মধ্যে যোগাযোগ থাকতে পারে।তবে, ক্রেমলিন মুখপাত্র পেসকভ এই দাবি সম্পূর্ণ অস্বীকার করেছেন।অন্যদিকে প্রেসিডেন্ট বাইডেনের সঙ্গে পুতিনের শেষ কথোপকথন হয়েছিল ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে। সেই আলাপে তারা ইউক্রেন পরিস্থিতি এবং রাশিয়ার নিরাপত্তা গ্যারান্টি বিষয়ে আলোচনা করেন।সাম্প্রতিক মাসগুলোতে পুতিন জানিয়েছেন, ইউক্রেন বিষয়ে বাইডেন তাকে একটি চিঠি পাঠিয়েছিলেন। যার উত্তরে পুতিন লিখেছিলেন যে, যদি ওয়াশিংটন ইউক্রেনে অস্ত্র সরবরাহ বন্ধ করে, তবে দুই থেকে তিন মাসের মধ্যে এই সংঘাত শেষ হতে পারে।সমস্ত ঘটনাগুলো থেকে বোঝা গেল যে, আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বর্তমান পরিস্থিতিতে নেতাদের মধ্যে যোগাযোগ নিয়ে নানা ধরনের জল্পনা রয়েছে। তার মধ্যে কিছু ভিত্তিহীন তথ্যও ছড়ানো হচ্ছে।যার মধ্যে সর্বশেষ প্রকাশিত পুতিন-ট্রাম্প ফোনালাপ একটি, যা ক্রেমলিন মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ প্রকাশ্যে প্রত্যাখ্যান করেছেন। সূত্র: তাস