‘পুরানো খেলায় নতুন প্লেয়ার নয়, খেলার নিয়ম পাল্টাতে এসেছি’


‘পুরানো খেলায় নতুন প্লেয়ার নয়, খেলার নিয়ম পাল্টাতে এসেছি’
জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)’র জুলাই পদযাত্রার অংশ হিসেবে বগুড়ায় নানা কর্মসূচি পালিত হয়েছে। শনিবার (৫ জুলাই) বেলা এগারোটায় বগুড়ার দলটির কেন্দ্র নেতারা পর্যটন মোটেলে সাংবাদিকদের সাথে এক মত বিনিময় সভায় অংশ নেয়।এসময় দলটির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেন, যারা গণহত্যা করেছে, আমরা তাদের বিচার করবো। এই বাংলার মাটিতেই শেখ হাসিনাসহ আওয়ামী লীগ ও যেসব পুলিশরা গুলি চালিয়ে আমাদের ভাইদের মেরেছে, আমরা তার বিচার নিশ্চিত করবো। এদেশে বিচার ও সংস্কারের পরেই নির্বাচন হবে।এর পর বগুড়া পলিটেকনিকেল ইনষ্টিটিউটের সামনে দলটির নেতা কর্মীরা সমবেত হয়ে একটি আনন্দ পথযাত্রা নিয়ে শহরের সাতমাথা হয়ে বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিন শেষে পথসভার অংশ হিসেবে সাতমাথাস্থ মুক্তমঞ্চে বক্তব্য রাখেন।এসময় নাহিদ ইসলাম বলেন, এই দিন দিন নয়, আরো কিন্তু দিন আছে। এই বগুড়ায় কোনো দলবাজ প্রশাসনের স্থান হবেনা, জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন ও আদালতসহ সকল দপ্তরগুলোকে নিরপেক্ষ আচরন করতে হবে। তিনি আরো বলেন আপনাদের পুরোনো খেলায় আমরা অংশ গ্রহণ করবোনা, আমরা পুরোনো খেলায় কোনো নতুন প্লেয়ার হতে আসিনাই, আমরা খেলার নিয়ম বদলাতে এসেছি।নাহিদ ইসলাম আরো বলেন, এই রাজনৈতিক বৈষম্যের প্রতিবাদেই গণ অভ্যুত্থান হয়েছিল। তাই আর কোনো বৈষম্যে মেনে নেয়া হবেনা। এই অঞ্চল একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও ঐতিহাসিক অঞ্চল এমন একটি অঞ্চলের মানুষকে ১৭টি বছর বঞ্চিত করা হয়েছে। বগুড়ার কথা শুনলে কোনো চাকরি দেয়া হয়নি, এমনকি কোথাও স্থান পর্যন্ত দেয়া হয়নি। আমরা বগুড়ায় এসে শুনতে পেয়েছি এই বগুড়ার প্রশাসন নিরেপেক্ষ আচরণ করছেনা।২৪ এর গণ অভ্যুস্থানের পরে আর কোনো পক্ষ নিয়ে বৈষম্যেমূলক আচরন করা যাবেনা। তাই এই প্রশাসনকে সতর্ক করে বলছি, আপনাদের নিশ্চয়ই মনে আছে ফ্যাসিবাদী সরকারের আমলের মতো দলবাজ প্রশাসনের কি অবস্থা হয়েছে। অর্থাৎ তাদের মতো যারা আচরণ করবে তাদের পরিনতিও ফ্যাসিবাদী মুজীব বাদীদের মতোই হবে।২০১৮ সালে যারা ডিসি ছিল, যারা ওই সময় ভোট ডাকাতি করেছে, তাদের পরিনতি আপনারা নিশ্চয়ই দেখতে পাচ্ছেন। তাই সময় থাকতে কোনো দলের পক্ষে না নিয়ে গণ মানুষের পাশে থাকুন।পরিশেষে তিনি বলেন এখন আর দু-একটি দল নেই, এখন এসসিপি নামের দল এসেছে। আগামীতে তরুন-যুবকদের এগিয়ে আসতে হবে, তাদেরকেই এই দেশের হাল ধরতে হবে।এসময় অন্যান্যর মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সদস্য সচিব আখতার হোসেন, উত্তরাঞ্চল মূখ্য সমন্বয়ক সারজিস আলম, দক্ষিন অঞ্চলের মূখ্য সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্রাহ, মূখ্য সমন্বয়ক নাসিরুদ্দিন পাটোয়ারী, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক সামান্তা শারমিন, সদস্য সচিব ডাঃ তাসনীম জারা, যুগ্ম সদস্য সচিব নাহিদা সাওয়ার নিভা, অনিক রায়, সাইফ মুস্তাফিজ, মনিরা শারমিন, মাহিন সরকার, সাইফুল্লাহ হায়দার, আবু সাঈদ লিওন, খালেদ সাইফুল্লাহ, লুৎফর রহমান, নীলিমা দোলা, আরিফুর রহমান তুহিন, মুশফিক সালেহীনসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা।এছাড়া বগুড়া জেলার যুগ্ম মূখ্য সংগঠক আব্দুল্লাহিত তাকিসহ জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের বিভিন্ন নের্তৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।