ফের পাকিস্তানে তথ্য পাচার, ভারতীয় কর্মকর্তা আটক


নবীন পাল ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা। কাজে তার বেশ সুনাম রয়েছে। কিন্তু তিনি এমন এক কাণ্ড করেছেন যার জন্য তাকে কারাগারে যেতে হলো। তার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাচার অভিযোগ আনা হয়েছে। ভারতের চিরশত্রু পাকিস্তানের এক ব্যাক্তি কাছে সেই তথ্য পাচারের দায়ে তাকে আটক করেছেন ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থ্যার সদস্যরা। জানা যায়, বিশ্বের ২০টি বৃহৎ অর্থনীতির দেশ নিয়ে গঠিত জি-২০ জোটের সভাপতিত্বের দায়িত্ব পেয়েছে ভারত। দায়িত্ব পাওয়ার পর থেকে দেশটির বিভিন্ন স্থানে অনুষ্ঠিত হচ্ছে বৈঠক। আর এর মধ্যেই সামনে এলো চাঞ্চল্যকর তথ্য। ভারতে জি-২০ বৈঠক সংক্রান্ত বিভিন্ন গোপনীয় নথি ও তথ্য পাকিস্তানে ফাঁস করে দেওয়া হয়েছে। আর এই অভিযোগ উঠেছে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক কর্মচারীর বিরুদ্ধে। গোপনীয় নথি ফাঁসের অভিযোগে তাকে আটকও করেছে ভারতীয় কর্তৃপক্ষ। মঙ্গলবার (১১ জুলাই) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জি-২০ বৈঠকের বিবরণ এবং অন্যান্য আরও গোপনীয় তথ্য ও নথি পাকিস্তানে এক অজ্ঞাত ব্যক্তির কাছে ফাঁস করায় এক ব্যক্তিকে আটক করা হয়েছে। আটককৃত ওই ব্যক্তির নাম নবীন পাল। তিনি ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে অস্থায়ী কর্মী হিসেবে কাজ করছিলেন। এনডিটিভি বলছে, ইন্টেলিজেন্স ব্যুরোর (আইবি) তথ্যের ভিত্তিতে নবীন পাল নামের ওই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করে গাজিয়াবাদ পুলিশ। তার বিরুদ্ধে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগ আনা হয়েছে। সংবাদমাধ্যম বলছে, জি-২০ বৈঠক সংক্রান্ত নানা গোপনীয় তথ্য হোয়াটসঅ্যাপে পাকিস্তানের এক নারীকে জানিয়েছিলেন ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ওই কর্মী। সোশ্যাল মিডিয়ায় পরিচয় হওয়া ওই নারীর ভার্চুয়াল ফোন নম্বরের সঙ্গে যুক্ত হোয়াটসঅ্যাপ অ্যাকাউন্টটি ট্রাক করে উত্তর প্রদেশের বরেলিতে পাওয়া গেলেও, পরে আইপি অ্যাড্রেস ট্রাক করে দেখা যায়, পাকিস্তানের করাচি থেকে নবীন পালের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছিল। অভিযুক্ত ওই ব্যক্তি জি-২০ বৈঠকের বিস্তারিত তথ্য ছাড়াও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নানা গেপনীয় তথ্যও ওই নারীকে হোয়াটসঅ্যাপে পাঠিয়েছিলেন বলে জানা গেছে। তার ফোন থেকে উদ্ধার বহু সংখ্যক তথ্য ‘সিক্রেট’ হিসাবে চিহ্নিত করা ছিল। আটকের পর নবীন পালকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে গাজিয়াবাদ পুলিশ ও ইন্টেলিজেন্স ব্যুরো। এদিকে রাজস্থানের আলওয়ারের এক নারীও তদন্তকারী সংস্থার নজরে রয়েছে বলে এনডিটিভি জানিয়েছে। মূলত ওই নারী অভিযুক্ত নবীন পালকে ইউপিআই প্ল্যাটফর্মে অর্থ পাঠিয়েছিলেন।