বরুড়ায় বাজারে প্রকাশ্যে শিয়ালের মাংস বিক্রি


বরুড়ায় বাজারে প্রকাশ্যে শিয়ালের মাংস বিক্রি
কুমিল্লার বরুড়া উপজেলার বিভিন্ন বাজারে প্রকাশ্যে বিক্রি হচ্ছে শিয়ালের মাংস। এই প্রাণীর মাংস অনেক রোগের উপকারী আখ্যা দিয়ে একটি চক্র প্রায়ই শিয়াল জবাই করে মাংস বিক্রি করছে। সবশেষ শনিবার বিকালে শামীম হোসেন নামে এক ব্যক্তি উপজেলার আড্ডাবাজারে শিয়ালের মাংস বিক্রি করেন। রাতে বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়। এতে নেটিজেনরা মিশ্র প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করছেন। এর আগে বেশ কয়েকবার উপজেলার বিভিন্ন বাজারে প্রকাশ্যে শিয়ালের মাংস বিক্রির খবর প্রকাশিত হয়।বিক্রেতা শামীম শিয়ালের মাংসের নানা উপকারিতার কথা উলে­খ করে প্রতি কেজি ২ হাজার টাকা দরে ভোক্তাদের কাছে বিক্রি করেন। এর আগে তিনিসহ একটি চক্র প্রকাশ্যে এবং ফেসবুকে প্রচার করে শিয়ালের মাংস বিক্রি করেছেন বলে জানান স্থানীয়রা।স্থানীয়রা জানান, শনিবার বিকালে আড্ডা ব্রিজে শিয়ালটি জবাই করার পর বাজারে নিয়ে এলে সেখানে দুই কেজি মাংস বিক্রি করা হয়। এরপর বাকি মাংস পাশের বাগমারা বাজারে নিয়ে বিক্রি করা হয়।নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ক্রেতা জানান, মাংস বিক্রেতারা বলেছিলেন, বাত-ব্যথা কিংবা কঠিন রোগের প্রতিষেধক হিসাবে শিয়ালের মাংস রান্না করে খাওয়ার বিকল্প নেই। এসব ক্ষেত্রে শিয়ালের মাংসই অব্যর্থ ওষুধ। তাদের কথা বিশ্বাস করে আমরা শিয়ালের মাংস কিনেছি।স্থানীয় ব্যবসায়ীরা জানান, এখানে প্রায়ই শিয়ালের মাংস বিক্রি করা হয়। বিক্রেতা নির্দিষ্ট না। একেক সময় একেকজন এসে বিক্রি করছেন। তবে তারা এক জায়গায় বেশিক্ষণ থাকেন না। সামান্য সামান্য বিক্রি করে বাজার পরিবর্তন করেন বিক্রেতারা।আড্ডা ইউপি চেয়ারম্যান জাকের হোসেন বাদল বলেন, আড্ডাবাজারে শিয়ালের মাংস বিক্রির কথা শুনেছি। কিন্তু আমার চোখে পড়েনি।উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নু এমং মারমা মং বলেন, বন্যপ্রাণী জবাই করে মাংস বিক্রি করা দণ্ডনীয় অপরাধ। ঘটনাটি তদন্ত করা হচ্ছে। প্রমাণ পেলে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।বরুড়া উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. নাসরিন সুলতানা তনু বলেন, শিয়ালের মাংস যখন বিক্রি করা হয়, তখন আমাদের কেউ জানায় না। খবর পেলে তাৎক্ষণিক অভিযান চালিয়ে তাদের আইনের আওতায় আনতে পারতাম।