‘বাংলাদেশের নির্বাচন-রাজনীতিতে চীনের সংশ্লিষ্টতা নেই’


‘মানবাধিকার, নির্বাচন কিংবা রাজনীতি একান্তই বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়। এখানে চীনের কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই। পরীক্ষিত বন্ধু হিসেবে চীন সব সময় বাংলাদেশের উন্নয়নকে প্রাধান্য দিয়ে আসছে। বাংলাদেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতি বিস্ময়কর। এ উন্নয়নে অংশীদার হতে পেরে আমরা গর্বিত।’ বাংলাদেশ-চায়না চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (বিসিসিসিআই) কার্যালয়ে শনিবার এক কর্মশালায় চীনা দূতাবাসের কমার্শিয়াল কাউন্সিলর সং ইয়াং এসব কথা বলেন। বিনিয়োগ বাড়াতে বিসিসিসিআই ও বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা) যৌথভাবে এ কর্মশালার আয়োজন করে। বিসিসিসিআই সাধারণ সম্পাদক আল মামুন মৃধার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বিডার নির্বাহী সদস্য অভিজিত চৌধুরী। বক্তব্য দেন বাংলাদেশ চীনা উদ্যোক্তাদের সমিতি সিইএবির সভাপতি কে চাংলিয়াং। বেশ কয়েকটি চীনা বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি এতে অংশ নেন। সিইএবি সভাপতি কে চাংলিয়াং বলেন, করোনার পর বাংলাদেশে চীনা বিনিয়োগ ১৩ দশমিক ৫ শতাংশ বেড়েছে। তিনি বিদেশি বিনিয়োগকারীদের নিরাপত্তায় একটি বিশেষ টিম গঠনে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে অনুরোধ জানান। আল মামুন মৃধা বলেন, বাংলাদেশে বিনিয়োগ করার ক্ষেত্রে চীনের ব্যবসায়ীদের আগ্রহ রয়েছে। বাংলাদেশ সরকারও বিনিয়োগ চায়। কিন্তু বিনিয়োগের ক্ষেত্রে বর্তমানে কাঠামোগত কিছু প্রতিকূলতা রয়েছে। এগুলো দূর করতে হবে। পাশাপাশি সরকারি সংশ্লিষ্ট বিভাগের কর্মদক্ষতা ও সমন্বয় আরও বাড়ানো জরুরি। অভিজিত চৌধুরী বলেন, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা বাস্তবায়নে কাজ করছে বিডা। এ প্রতিষ্ঠান সব সময় সব দেশের বিনিয়োগকারীদের সহায়তায় উন্মুক্ত। বিশেষ করে এদেশের বৃহত্তম উন্নয়ন সহযোগী চীনের প্রত্যক্ষ বিনিয়োগে সর্বদা তৎপর। বিদেশি বিনিয়োগে ৬৭টি কাঠামোগত সেবা সহায়তার মধ্যে ২৩টি সেবা দেয় বিডা। সংশ্লিষ্ট অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের সমন্বয়ে শিগগিরই কারিগরি সহায়তা, দক্ষতা উন্নয়ন ও কমপ্লায়েন্স ইস্যুতে ব্যাপক কার্যক্রম শুরু হচ্ছে। কর্মশালায় অন্য বক্তারা বলেন, বাংলাদেশে চীনা বিনিয়োগ ও বিনিয়োগকারীদের সুযোগ-সুবিধা সম্পর্কিত প্রস্তাব বিসিসিসিআই-এর মাধ্যমে বিডায় পাঠালে দ্রুত বাস্তবায়ন হবে। কারণ ইতোমধ্যে দুই প্রতিষ্ঠানের সমঝোতা স্মারক চুক্তি হয়েছে। ওই চুক্তি অনুসারে বিসিসিসিআই এবং বিডা দুমাস পরপর বৈঠক করবে। উন্মুক্ত আলোচনায় বিনিয়োগকারীদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন অনুষ্ঠানে উপস্থিত বিডার কর্মকর্তারা। এক্ষেত্রে বেশ কিছু বিষয় উঠে আসে। এর মধ্যে রয়েছে- কাস্টমসসহ জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের বিভিন্ন সমস্যার সমাধান, ভিসা প্রক্রিয়ারকরণ, দীর্ঘমেয়াদি ভিসা ইস্যুকরণ, বিনিয়োগ-পরবর্তী বিভিন্ন সেবা এবং সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগ থেকে বিনিয়োগকারীদের নিরাপত্তা ছাড়পত্র প্রদান প্রক্রিয়া সহজ করা।