বাংলাদেশের নীলা মিস ওয়ার্ল্ডের চূড়ান্ত রাউন্ডে


আগামী ৯ মার্চ অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে মিস ওয়ার্ল্ড ২০২৪ এর প্রতিযোগিতা। ১৯৯৬ সালের পর ২৮ বছর বিরতি দিয়ে এবার ৭১তম মিস ওয়ার্ল্ড প্রতিযোগিতার চূড়ান্ত আসর বসছে ভারতে। এতে এশিয়ার বাংলাদেশ, ভারত, নেপাল ও জাপানের চার প্রতিযোগীসহ সারাবিশ্ব থেকে অংশ নিচ্ছেন মোট ১২০ জন প্রতিযোগী। খবর শি দ্য পিপল। ‘বিউটি উইথ অ্যা পারপাস’ প্রতিপাদ্যে এবারের চূড়ান্ত প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে ইতোমধ্যেই প্রতিযোগীদের সবাই ভারতে পৌঁছে গেছেন। ভারতের মুম্বাইয়ের জিও ওয়ার্ল্ড কনভেনশন সেন্টার থেকে শনিবার তিন ঘণ্টার এ আয়োজনের চূড়ান্ত পর্ব সরাসরি সম্প্রচার করা হবে। এবারের প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী এশিয়ার চার প্রতিযোগীর মধ্যে রয়েছেন-বাংলাদেশের শাম্মী ইসলাম নীলা, ভারতের সিনি শেঠি, নেপালের প্রিয়াংকা রানি যোশি এবং জাপানের কানা ইয়ামাগুচি। বাংলাদেশ : এবার মিস ওয়ার্ল্ড প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশের প্রতিনিধি শাম্মী ইসলাম নীলা। তিনি শৈশব থেকেই মিস ওয়ার্ল্ড হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন। নীলা বলেন, আমি যখন একেবারে ছোট্ট ছিলাম, তখন জন্মদিনে মিস ওয়ার্ল্ড প্রতিযোগিতার মুকুট কিনতাম। তারপর আয়নার সামনে দাঁড়াতাম। বলতাম- এই দেখ আমি মিস ওয়ার্ল্ড। তারপর নিজে নিজেই সেখানে নাচতাম। সেটা বাবাকে দেখাতাম। এখন আমার সেই জার্নি যেন বাস্তবের কাছাকাছি। কিন্তু আমার বাবা আর বেঁচে নেই। তবে আমি নিশ্চিত আমার ওপর বাবার আশীর্বাদ আছে। আমার স্বপ্ন নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছি। নিজের ত্বকের যত্ন নিচ্ছি। আর ভাবছি- ওকে, বাস্তবেই ঘটছে সব। আমি শেষ পর্যন্ত এই প্রতিযোগিতায়। ভারত : ভারতের প্রতিনিধি সিনি শেঠি বলেন, প্রিয়াংকা চোপরা এবং ঐশ্বর্য রাইকে দেখেছি। তাদের মতো করে নিজে নিজে বাড়িতে র‌্যাম্পে হেঁটেছি। তবে এ ক্ষেত্রে আমার কোনো পরিকল্পনা ছিল না। শেষ পর্যন্ত সেটাই ঘটে যাচ্ছে। এ জন্য আমি কৃতজ্ঞ। করোনা মহামারির সময় নাচের শিক্ষা দিচ্ছিলেন সিনি শেঠি। ওই সময়ই মিস ইন্ডিয়া প্রতিযোগিতায় তিনি আকস্মিকভাবে প্রবেশ করেন। নিজের ইচ্ছায়ই তিনি এতদূর এগিয়েছেন। নেপাল : নেপালের প্রতিনিধি প্রিয়াংকা রানি যোশি বলেন, দেখেন সব কিছুই কল্পনা থেকে শুরু হয়। মিস ওয়ার্ল্ড প্রতিযোগিতাও তেমনই একটি মঞ্চ। এখানে আসতে পেরেছি। পুরো জার্নিটা আরও মজাদার আরও সহজ লাগছে। জাপান : জাপানের প্রতিনিধি কানা ইয়ামাগুচি এ নিয়ে দ্বিতীয়বার উদ্যোগ নিয়েছেন। তার আগ্রহ শিক্ষায়। ২০২০ সালে তাকে কঠিন এক পথ বেছে নিতে হয়। তখন মিস ওয়ার্ল্ড জাপান ফাইনাল এমন এক সময়ে হয়েছিল, যখন ছিল তার শিক্ষক হওয়ার পরীক্ষা। তারপর দ্বিতীয়বারের মতো মিস ওয়ার্ল্ড প্রতিযোগিতায় যোগ দিয়েছেন। তিনি বলেন, নতুন প্রজন্ম প্রতিদিন যেসব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে তার মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ এক উদাহরণ সৃষ্টি করতে আমি অংশ নিয়েছি। এর আগে মডেল হিসেবে এবং জাপানে একজন টিভি উপস্থাপক হিসেবে কাজ করেছি। আমি তরুণ প্রজন্মকে, বিশেষ করে মেয়েদেরকে ক্ষমতায়ন করতে চাই।