বাংলাদেশ থেকে প্রতিবেশী দেশগুলোতে ব্যান্ডউইডথ দিতে চায় স্টারলিংক
অনলাইন নিউজ ডেক্স
বাংলাদেশ থেকে ব্যান্ডউইডথ নিয়ে আশপাশের দেশগুলোতে সেবা দিতে আগ্রহী মার্কিন স্যাটেলাইটভিত্তিক ইন্টারনেট সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান স্টারলিংক। এ জন্য প্রতিষ্ঠানটি বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনকে (বিটিআরসি) চিঠি পাঠিয়েছে।
স্টারলিংক জানিয়েছে, তারা বাংলাদেশকে ‘পয়েন্ট অব প্রেজেন্স’ বা পপ হিসেবে বিবেচনা করে আশপাশের দেশগুলোতে ইন্টারনেট–সেবা সম্প্রসারণের জন্য ব্যান্ডউইডথ নিতে চায়। এই প্রক্রিয়ায় তারা বাণিজ্যিকভাবে ইন্টারন্যাশনাল প্রাইভেট লিজড সার্কিট (আইপিএলসি) এবং আনফিল্টারড আইপি ব্যবহারের অনুমোদন চাইছে।
বাংলাদেশে গত মে মাসে স্টারলিংক বাণিজ্যিকভাবে যাত্রা শুরু করেছে। প্রতিবেশী দেশগুলোর মধ্যে শ্রীলঙ্কা ও ভুটানে ইতিমধ্যে স্টারলিংকের সেবা চালু হয়েছে। ভারত ও নেপালে সেবার জন্য অপেক্ষা চলছে। বর্তমানে দেশে স্টারলিংকের চারটি গ্রাউন্ড স্টেশন রয়েছে—দুটি গাজীপুর, বাকি দুটি রাজশাহী ও যশোরে।
স্টারলিংকের চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, বাংলাদেশের পপ থেকে সিঙ্গাপুর ও ওমানে নিজেদের পপের সঙ্গে সংযোগ স্থাপন করতে তারা আইপিএলসি ব্যবহার করবে। এতে ‘আনফিল্টারড’ আইপি ট্রানজিট ব্যবহার করা হবে, যা বাংলাদেশের স্থানীয় ট্রাফিকের সঙ্গে সম্পর্কিত হবে না। বাংলাদেশে ব্যবহারকারীর সব কার্যক্রম স্থানীয় আইআইজি ও আইপি ট্রানজিটের মাধ্যমে রাউট হবে এবং দেশের আইনি বিধান ও কনটেন্ট নিয়ন্ত্রণ প্রযোজ্য হবে।
এ বিষয়ে বিটিআরসি চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) মো. এমদাদ উল বারী বলেন, তারা এটিকে ব্যান্ডউইডথ রপ্তানির প্রক্রিয়া হিসেবে দেখছেন।
স্টারলিংক যদি বাংলাদেশের মাধ্যমে প্রতিবেশী দেশে ব্যান্ডউইডথ দিতে চায়, বিটিআরসি বিষয়টি সরকারের কাছে নিবেদন করবে। তবে আগে কারিগরি সক্ষমতা যাচাই করা হবে।
খাত সংশ্লিষ্টরা বলছেন, দূর থেকে ব্যান্ডউইডথ আনার তুলনায় বাংলাদেশ থেকে সেবা দেওয়া সুবিধাজনক, বিশেষ করে ভুটান ও নেপালের মতো দেশগুলোতে।
ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (আইএসপিএবি) সভাপতি আমিনুল হাকিম মনে করেন, দেশের চাহিদা ও সক্ষমতা বিবেচনা করে ব্যান্ডউইডথ রপ্তানি দেওয়া উচিত।
