বাড়ছে করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা, নতুন শনাক্ত ১৩


বাড়ছে করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা, নতুন শনাক্ত ১৩

দেশে বাড়ছে করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। গত ২৪ ঘণ্টায় ১৩ জনের শরীরে করোনাভাইরাস পাওয়া গেছে। ১০১ জনের নমুনা পরীক্ষা করে এই ১৩ জনের শরীরে করোনা ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। তবে ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত কারও মৃত্যু হয়নি।

এ নিয়ে মোট আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২০ লাখ ৫১ হাজার ৭৬০ জনে।

মঙ্গলবার (১০ জুন) স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো করোনাবিষয়ক নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

এতে বলা হয়, ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন দুজন। এর ফলে এ সংখ্যা ২০ লাখ ১৯ হাজার ৩৭৮ জনে দাঁড়িয়েছে।

বাড়ছে করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা, নতুন শনাক্ত ১৩ গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্তদের প্রত্যেকেই ঢাকা মহানগরী এলাকার বাসিন্দা বলে জানা গেছে। এর আগে গতকাল (৯ জুন) ৪১ জনের নমুনা পরীক্ষায় ৫ জনের শরীরে করোনা ভাইরাস পাওয়া যায়।

উল্লেখ্য, বাংলাদেশে ২০২০ সালের ৮ মার্চ প্রথমবারের মতো ৩ জনের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। এর দশ দিন পর, ১৮ মার্চ দেশে করোনায় প্রথম একজনের মৃত্যু ঘটে। করোনা মহামারির সবচেয়ে ভয়াবহ সময় ছিল ২০২১ সালের আগস্ট মাস। ওই বছরের ৫ আগস্ট ও ১০ আগস্ট- এই দুই দিনে সর্বোচ্চ প্রতিদিন ২৬৪ জন করে মৃত্যুবরণ করেন, যা ছিল দেশের করোনাকালের সর্বোচ্চ দৈনিক মৃত্যু সংখ্যা।

এদিকে সম্প্রতি ভারতসহ পার্শ্ববর্তী বিভিন্ন দেশে করোনাভাইরাসের নতুন উপধরনের সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ায় বাংলাদেশেও সতর্কতা জোরদার করা হয়েছে। এই প্রেক্ষাপটে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে করোনা প্রতিরোধে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ৫টি নির্দেশনা কঠোরভাবে প্রতিপালনের জন্য অনুরোধ জানিয়েছেন মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা (মাউশি) অধিদপ্তরের মহাপরিচালক প্রফেসর ড. মুহাম্মদ আজাদ খান।

সোমবার (৯ জুন) রাতে এক ফেসবুক পোস্টে মাউশি মহাপরিচালক এই নির্দেশনা দেন। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর কর্তৃক জারি করা নির্দেশনাবলীতে নতুন সাব-ভ্যারিয়েন্ট, বিশেষ করে অমিক্রনের সংক্রমণ বৃদ্ধির দিকে ইঙ্গিত করে আন্তর্জাতিক ভ্রমণকারীদের মাধ্যমে দেশে এর প্রবেশ রোধে বিশেষভাবে সতর্ক করা হয়েছে। দেশের সব স্থল, নৌ এবং বিমানবন্দরে ইন্টারন্যাশনাল হেলথ রেগুলেশনস (আইএইচআর) ডেস্কগুলোতে সার্ভেল্যান্স এবং সচেতনতামূলক কার্যক্রম জোরদার করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

সংক্রমণ প্রতিরোধে প্রধান নির্দেশনাগুলো হলো :

* নিয়মিতভাবে সাবান ও পানি দিয়ে অন্তত ২০ সেকেন্ড ধরে হাত ধোয়া।

* জনসমাগমস্থলে এবং ঘরের বাইরে মাস্ক ব্যবহার করা।

* আক্রান্ত ব্যক্তি থেকে নিরাপদ শারীরিক দূরত্ব (অন্তত ৩ ফুট) বজায় রাখা।

* অপরিষ্কার হাতে চোখ, নাক ও মুখ স্পর্শ করা থেকে বিরত থাকা।

* হাঁচি-কাশির সময় টিস্যু বা কনুই দিয়ে মুখ ও নাক ঢেকে রাখা।

এছাড়াও, দেশের প্রবেশপথগুলোতে থার্মাল স্ক্যানার ও ডিজিটাল থার্মোমিটারের মাধ্যমে যাত্রীদের তাপমাত্রা পরীক্ষার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। স্বাস্থ্যকর্মীদের জন্য পর্যাপ্ত মাস্ক, গ্লাভস এবং ব্যক্তিগত সুরক্ষা সামগ্রী (পিপিই) মজুত রাখার কথাও বলা হয়েছে। জরুরি প্রয়োজন ব্যতীত ভারত ও অন্যান্য সংক্রমিত দেশগুলোতে ভ্রমণ থেকে বিরত থাকার জন্য নাগরিকদের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

কোনো ব্যক্তির মধ্যে করোনার লক্ষণ দেখা দিলে তাকে ঘরে থাকতে এবং অসুস্থতা বাড়লে নিকটস্থ হাসপাতালে যোগাযোগ করার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে। প্রয়োজনে রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের (আইইডিসিআর) হটলাইন নম্বরে (০১৪০১-১৯৬ ২৯৩) যোগাযোগের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

শিক্ষা অধিদপ্তরের এই নির্দেশনার ফলে স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়সহ সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে পুনরায় করোনা প্রতিরোধে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।