বিএনপি নেতার ছবিতে জুতার মালা পরিয়ে স্বেচ্ছাসেবক দলের বিক্ষোভ
অনলাইন নিউজ ডেক্স

গাজীপুর জেলা বিএনপির সাবেক কোষাধ্যক্ষ ও উপজেলা বিএনপি আহ্বায়ক সদস্য ইসলাম উদ্দিনের ছবিতে জুতার মালা পড়িয়ে বিক্ষোভ মিছিল করেন স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতাকর্মীরা। এ সময় বিএনপি ওই নেতার ছবি ব্যঙ্গ করে ও ছবিতে জুতার মালা পড়িয়ে বিক্ষোভ মিছিল করতে দেখা গেছে।বৃহস্পতিবার (২৪ জুলাই) বিকালে উপজেলার ভাওয়ালগড় ইউনিয়ন বাঘের বাজারে ওই বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। মিছিলটি ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক প্রদক্ষিণ করে। প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করতে বিএনপির এই অন্তর্কোন্দলে হতাশ সাধারণ নেতাকর্মী সহ এলাকাবাসী।জানা যায়, গত ১১ জুলাই বাঘের বাজার অটোরিকশা স্ট্যান্ডে চাঁদাবাজি ঘটনায় দু’গ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে হতাহতের ঘটনায় গত ১৩ জুলাই গাজীপুর সদর উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক সদস্য ইসলাম উদ্দিন সহ পাঁচজনের নাম উল্লেখ করে থানায় চাঁদাবাজি মামলা হয়। পরবর্তীতে একই ঘটনাকে কেন্দ্র করে গত ২০ জুলাই গাজীপুর সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব ইউনুস আলী নছ মিয়াসহ পাঁচ জনের নাম উল্লেখ করে আরও একটি চাঁদাবাজি মামলা হয়। শুরু হয় দুই গ্রুপের পাল্টা পান্টি কর্মসূচি।বৃহস্পতিবার বিকালে উপজেলা বিএনপির ৭ নম্বর আহ্বায়ক সদস্য ইসলাম উদ্দিনের ছবি ব্যাঙ্গ করে ও জুতার মালা দিয়ে বিক্ষোভ মিছিল করতে দেখা গেছে। বিএনপির এই অন্তর্কোন্দল স্থানীয় বিএনপির নেতাকর্মী ও এলাকাবাসীদে মাঝে হতাশা বাড়ছে। তাদের ধারণা কোন্দলের কারনে ভোটের মাঠেও এর নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে।স্থানীয়দের মতে, ইউনুস আলী নছ মিয়া অতীতে ডেকোরেটর এর ব্যবসা করতো। রিকশা দিয়ে চলার সমর্থ তার ছিলো না। গত ২০২২ সালে উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিবের পদ পান নছ মিয়া। গত ৫ আগস্ট এর পর থেকে শুরু হয় অধিপত্যে বিস্তার। হঠাৎ আঙুল ফুলে কলাগাছ হয়ে হাকান কোটি টাকার গাড়ী। ইতিমধ্যে থানায় তার নামে চাঁদাবাজি মামলা হয়েছে। চাঁদাবাজি ছাড়া কি করে একটা লোক অল্প কয়েক মাসের ব্যবধানে এতো টাকার মালিক হয়। কেন্দ্রীয় নেতাদের কাছে নছ মিয়ার টাকার উৎস খতিয়ে দেখা ও ব্যবস্থা গ্রহণের দাবিও জানান এলাকাবাসী।উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব ইউনুস আলী নছ মিয়া মুঠোফোনে প্রতিনিধিকে জানান, বিক্ষোভ মিছিলে ইসলাম উদ্দিন কে চাঁদাবাজ উল্লেখ করে মিছিল করা হয়েছে। বিএনপি নেতার হিসেবে ব্যানারে তার নাম দেয়া হয়নি। ইসলাম উদ্দিন বিএনপির নেতা কিনা এমন প্রশ্নে নছ মিয়া বলেন, সে বিএনপির পদধারী নেতা।বিএনপির একজন সিনিয়র নেতার ছবিতে জুতার মালা পড়িয়ে ও ছবি ব্যঙ্গ করে প্রচার করার বিষয়ে বলেন, ছবিতে জুতার মালা দেয়া মোটেও উচিৎ হয়নি। তবে তার দাবি আমি মিছিলে উপস্থিত ছিলাম না।গাজীপুর সদর উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু তাহের মুসল্লি জানান, বিএনপির একজন সিনিয়র নেতার ছবিতে জুতার মালা পরানো সত্যি নিন্দনীয় কাজ। বিক্ষোভ মিছিলটি করেছে স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব ইউনুস আলী নছ মিয়া সহ অন্যান্য নেতাকর্মীরা। আমি বিষয়টি নিয়ে উপরে বিএনপি ও স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতাদের সাথে কথা বলে ব্যবস্থা নিব।
