বিমানে যান্ত্রিক ত্রুটি বাড়ছে, ১৫ দিনে চার ফ্লাইটে ত্রুটি
অনলাইন নিউজ ডেক্স
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ফ্লাইট ঘনঘন যান্ত্রিক ত্রুটির কবলে পড়ছে। ফলে যাত্রীসেবার মান ও পরিচালনার দক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
সোমবার বিমান কর্মকর্তারা জানান, ২৬২ জন যাত্রী নিয়ে যান্ত্রিক ত্রুটিতে রোমে আটকা পড়েছে ঢাকাগামী বিমানের বিজি ৩৫৬ ফ্লাইট। স্থানীয় সময় ১০ আগস্ট সন্ধ্যা ৭টা ২০ মিনিটে রোমের লিওনার্দো দ্য ভিঞ্চি ফিউমিসিনো বিমানবন্দর থেকে ফ্লাইটটি ঢাকার উদ্দেশে উড্ডয়নের কথা ছিল। কিন্তু ডানার ফ্ল্যাপ নষ্ট হওয়ায় তা সম্ভব হয়নি। ওই ফ্লাইটে থাকা ২৬২ জন যাত্রীসহ ক্রুদের রাখা হয়েছে হোটেলে।
এর আগে বৃহস্পতিবার রাতে শাহজালাল বিমানবন্দর থেকে বিমানের আবুধাবীগামী একটি উড়োজাহাজ উড্ডয়ন করে। এ সময় উড়োজাহাজের টয়লেটের ফ্লাশ নষ্ট থাকার কারণে চরম ভোগান্তিতে পড়েন যাত্রীরা। পরিস্থিতি বুঝতে পেরে গন্তব্যে যাওয়ার আগেই ফ্লাইটটি হযরত শাহজালাল বিমানবন্দরে ফেরত নিয়ে আসা হয়।
৬ আগস্ট বিমানের ব্যাংককগামী একটি ফ্লাইটের ইঞ্জিনে অস্বাভাবিক কম্পন শনাক্ত হওয়ায় উড্ডয়নের এক ঘণ্টা পর ঢাকায় ফিরে আসে। সেদিনও যাত্রীদের অন্য একটি উড়োজাহাজে করে গন্তব্যে পাঠানো হয়। একইভাবে গত ২৮ জুলাই দাম্মামগামী বোয়িং ৭৭৭-ইআর উড়োজাহাজ যান্ত্রিক ত্রুটি থাকায় আকাশে ওড়ার পর ঢাকায় ফিরে আসে।
এ ব্যাপারে বিমানের জিএম (পিআর) এ বি এম রওশন কবির বলেন, সম্প্রতি বিমানে যান্ত্রিক ত্রুটির ঘটনা বেড়েছে। এ ব্যাপারে বিমানের প্রশাসন থেকে শুরু করে সংশ্লিষ্ট সবাইকে সতর্ক করা হয়েছে। এসব ঘটনায় দায়িত্ব পালনে কারও অবহেলা থাকলে কঠোর ব্যবস্থা নেবে কর্তৃপক্ষ।
বিমানের এ কর্মকর্তা বলেন, রোমে আটকা পরা উড়োজাহাজের স্পেয়ার পার্টস লন্ডন থেকে আনা হচ্ছে। মেরামত শেষে জানা যাবে, কবে উড়োজাহাজটিকে ফেরত আনা হবে।
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের প্রধান প্রকৌশলী মো. আলী নাছের জানান, বিমানে টেকনিক্যাল সমস্যা হতেই পারে। বিশ্বে সব এয়ারলাইন্সেই এ সমস্যা আছে। তবে পরিস্থিতি সামাল দিতে বিদেশি প্রতিষ্ঠানগুলোর রয়েছে বিকল্প ব্যবস্থা। ফলে কারিগরি ত্রুটি হলেও যাত্রীদের ভোগান্তিতে পড়তে হয় না।
তিনি বলেন, বিমানের ২৫টি উড়োজাহাজ কেনার কথাবার্তা চলছে। এ প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে বিশ্বের নামিদামি এয়ারলাইন্সের মতোই উন্নত হবে বিমানের সেবার মান।
