বিশ্ব ইজতেমা গরিবের হজ! ইসলাম কী বলে?
অনলাইন নিউজ ডেক্স
প্রশ্ন: বিশ্ব ইজতেমাকে গরিবের হজ, বিশ্ব ইজতেমায় গুনাহ মাফ হয়- ইত্যাদি বলা কতটুকু শরীয়ত সম্মত?
উত্তর: বিশ্ব ইজতেমার মূল উদ্দেশ্য হলো দ্বীনের পথে মানুষকে ফিরিয়ে নিয়ে আসা। ইমান ও দাওয়াতের চেতনা সৃষ্টি করা। নির্দিষ্ট সময়ের জন্য আল্লাহর রাস্তায় বের হওয়ার প্রতি উৎসাহিত করা। এ জন্য ইজতেমা থেকে মুসল্লিদেরকে তাবলিগের জামাতে বের করার জন্য সবচেয়ে বেশি জোর দেওয়া হয়।
নানা কারণে মানুষের মাঝে বিশ্ব ইজতেমা নিয়ে ভুল ধারণা তৈরি হয়েছে। যেমন কেউ কেউ বলে থাকেন বা মনে করেন, ইজতেমায় এলে গুনাহ মাফ হয়ে যায়। কেউ একে গরিবের হজ ভেবে থাকেন। কেউ কেউ মনে করেন, ইজতেমার মোনাজাতে অংশগ্রহণ করলে গুনাহ মাফ হয় এবং মনের দোয়া অবশ্যই কবুল হয়; কিন্তু এমন ধারণা একেবারে ভ্রান্ত, ইসলামে এর কোনো স্থান নেই।
তাবলিগের ইজতেমা আমলের দিক থেকে নফলের সমানও নয়। একে হজ বা হজের পরবর্তী ধাপের সঙ্গে মেলানো মহাঅপরাধ। কারণ হজ ইসলামের ফরজ বিধান। ইসলামের পাঁচ মূল ভিত্তির একটি হজ।
রাসূল (সা.) বলেছেন, ‘নিশ্চয়ই সর্বোত্তম বাণী আল্লাহর কিতাব। আর সর্বোত্তম আদর্শ মুহাম্মদের আদর্শ। সবচেয়ে নিকৃষ্ট বিষয় হলো (দ্বীনের মধ্যে) নব উদ্ভাবিত বিষয়। (দ্বীনের মধ্যে) নব উদ্ভাবিত সব কিছুই বিদআত। প্রতিটি বিদআত ভ্রষ্টতা, আর প্রতিটি ভ্রষ্টতার পরিণাম জাহান্নাম।’ (সহিহ মুসলিম শরিফ, হাদিস : ১৫৩৫; নাসাঈ, হাদিস : ১৫৬০)।
সুতরাং ইজতেমাকে গরিবের হজ ইত্যাদি বললে গুনাহ হবে। যে বা যারা এ ধারণা পোষণ করে বা বলে তাদের আল্লাহর দরবারে তাওবা করতে হবে। নি:সন্দেহ আল্লাহ তাওবা কবুলকারী।
উত্তর দিয়েছেন- মুফতি তোফায়েল গাজালি
ডোনেট বাংলাদেশ সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।