বোমাবর্ষণ ও খাদ্য সংকটের মধ্যে গাজায় ‘শোকাবহ ঈদ’
অনলাইন নিউজ ডেক্স

যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজা উপত্যকায় ঈদুল ফিতর উপলক্ষে আনন্দ উদযাপনের পরিবর্তে দখলদার ইসরাইলের বর্বর বোমাবর্ষণ ও অমানবিক খাদ্য সংকটের মধ্যে টিকে থাকার তীব্র লড়াই চলছে।আল-জাজিরার প্রতিবেদন অনুযায়ী, গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, রোববার ঈদের প্রথম দিনেই ইসরাইলি গাজা সিটি, খান ইউনিস, রাফাহসহ বিভিন্ন এলাকায় ইসরাইলি হামলায় অন্তত ৩০ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। যাদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু।অন্যদিকে, ফিলিস্তিনি রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি নিশ্চিত করেছে যে, দক্ষিণ রাফাহ থেকে অন্তত ১১টি মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। যাদের মধ্যে ৬টি তাদেরই কর্মীর মৃতদেহ এবং ৪টি গাজার সিভিল ডিফেন্স এজেন্সির সদস্যদের।ধ্বংসস্তূপে ঈদ প্রার্থনাএদিকে ইসরাইলি বিমান হামলায় গাজার অনেক মসজিদ ধ্বংস হয়ে যাওয়ায় রোববার ধ্বংসস্তূপের মধ্যেই ঈদের নামাজ আদায় করেছেন বহু ফিলিস্তিনি।তাদেরই একজন, মধ্য গাজার দেইর আল-বালাহ শহরের খোলা জায়গায় নামাজ আদায় করা আদেল আল-শায়ের আল-জাজিরাকে বলেন, ‘এটি বিষাদময় রক্তাক্ত ঈদ’।স্বজন হারানো গাজার বাসিন্দা বলেন, ‘আমরা আমাদের প্রিয়জনদের, আমাদের সন্তানদের, আমাদের ভবিষ্যৎ, স্কুল-কলেজ সবকিছু হারিয়েছি। আমরা সব হারিয়েছি।’মাত্র কয়েকদিন আগেই ইসরাইলি হামলায় তার পরিবারের ২০ জন নিহত হয়েছেন। যাদের মধ্যে চারজন ছোট শিশুও ছিল।ইসরাইলি হামলা ও খাদ্য সংকটগত ১৮ মার্চ ইসরাইল দুই মাসের অস্ত্রবিরতি ভেঙে গাজায় আবার তীব্র বোমাবর্ষণ ও স্থল অভিযান শুরু করে।এরপর থেকে কোনো খাদ্য, জ্বালানি বা মানবিক সহায়তা গাজায় প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি। এর ফলে গাজায় খাদ্য সংকট চরম আকার ধারণ করেছে।সংঘর্ষ বিরতির প্রচেষ্টাএদিকে শনিবার মিশর ও কাতারের মধ্যস্থতায় নতুন অস্ত্রবিরতির প্রস্তাব গ্রহণ করেছে হামাস। তবে যুদ্ধবাজ ইসরাইল এখনো নিজের অবস্থান পরিস্কার করেনি।গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে, ইসরাইলের হামলায় এখন পর্যন্ত ৬২,০০০-এর বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।
