ব্যাংকে জমানো টাকার ওপর কি জাকাত ফরজ হয়?
অনলাইন নিউজ ডেক্স
প্রশ্ন: আমাদের বসত বাড়ি নির্মাণের জন্য ব্যাংকে কিছু টাকা রাখা হয়েছে, এখন টাকাগুলা এক বছরের বেশি অতিক্রম করেছে, আমাদের এই টাকার ওপরে জাকাত ওয়াজিব হয়েছে কি?
উত্তর: এ টাকার জাকাত অবশ্যই দিতে হবে। কেননা, ব্যাংকের ব্যক্তি মালিকানাধীন সব প্রকার অ্যাকাউন্টের গচ্ছিত টাকা সন্দেহাতীতভাবে জাকাতযোগ্য। চাই কারেন্ট অ্যাকাউন্ট হোক, মুদারাবা বা সেভিংস একাউন্ট হোক বা ফিক্সড ডিপোজিট হোক বা দীর্ঘমেয়াদী ডিপোজিট হোক; সর্বপ্রকার অ্যাকাউন্টের জাকাত আদায় করতে হবে যদি ব্যক্তি নেসাবের মালিক হয়।
যদি এর সঙ্গে আপনার হাতে আরো টাকা থাকে বা জাকাতযোগ্য সম্পদ থাকে, তাহলে জাকাত আদায়ের সময় সেগুলোরও জাকাত প্রদান করতে হবে। (ফাতাওয়ায়ে উসমানী ২/৭১)
কার কার ওপর জাকাত ফরজ?
জাকাতের নেসাব হলো সাড়ে সাত ভরি স্বর্ণ বা সাড়ে বায়ান্ন ভরি রুপা বা সমমূল্যের নগদ অর্থ, বন্ড, সঞ্চয়পত্র, শেয়ার, ব্যাংকে জমাকৃত যে কোনো ধরনের টাকা, ফিক্সড ডিপোজিট হলে মূল জমা টাকা অথবা সমমূল্যের ব্যবসার পণ্য থাকলে জাকাত আদায় করতে হবে।
স্বাধীন, প্রাপ্তবয়স্ক, সুস্থ ও বুদ্ধিসম্পন্ন মুসলিম নর-নারী যার কাছে ঋণ, নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র ও প্রয়োজনীয় খাদ্যবস্ত্রের অতিরিক্ত সোনা, রুপা, নগদ টাকা, প্রাইজবন্ড, সঞ্চয়পত্র, ডিপিএস, শেয়ার ও ব্যবসায়িক সম্পত্তির কোনো একটি বা সবকটি রয়েছে, যার সমষ্টির মূল্য উল্লিখিত নেসাব পরিমাণ হয়, তিনিই সম্পদশালী। এ পরিমাণ সম্পদ এক বছর স্থায়ী হলে বা বছরের শুরু ও শেষে থাকলে বছর শেষে জাকাত দিতে হবে।
ডোনেট বাংলাদেশ সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।