ভারি বৃষ্টিপাতে প্লাবিত হতে পারে ৯ জেলার নিম্নাঞ্চল


ভারি বৃষ্টিপাতে প্লাবিত হতে পারে ৯ জেলার নিম্নাঞ্চল
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপ আর সক্রিয় মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে ভারি বৃষ্টিপাত হচ্ছে। এর ফলে দেশের নয়টি জেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হওয়ার আভাস দিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র। সাময়িক প্লাবনের ঝুঁকিতে থাকা নয়টি জেলা হলো— রংপুর, লালমনিরহাট, নীলফামারি, কুড়িগ্রাম, সিলেট, সুনামগঞ্জ, মৌলভীবাজার, চট্টগ্রাম ও ফেনী। আবহাওয়া অধিদপ্তরের বরাত দিয়ে রোববার কেন্দ্রের নিয়মিত বুলেটিনে বলা হয়েছে, পশ্চিম-মধ্য ও তৎসংলগ্ন উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপটি ভারতের উত্তর তেলেঙ্গানা ও সংলগ্ন অঞ্চলে স্থল লঘুচাপ হিসেবে অবস্থান করছে। পাউবো জানায়, আগামী ১৭ সেপ্টেম্বর সকাল পর্যন্ত রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগ এবং সংলগ্ন উজানে ভারতের মেঘালয়, আসাম, পশ্চিমবঙ্গ, সিকিম, বিহার ও ত্রিপুরা প্রদেশে বিচ্ছিন্নভাবে ভারি (৪৪ থেকে ৮৮ মিলিমিটার) থেকে অতিভারি (৮৯ মিলিমিটার বা বেশি) বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। এ সময় উত্তরে রংপুর বিভাগের তিস্তা, ধরলা ও দুধকুমার নদ-নদীর পানি বাড়তে পারে। বিপৎসীমা অতিক্রম করতে পারে তিস্তা ও দুধকুমার। এতে লালমনিরহাট, নীলফামারি, রংপুর ও কুড়িগ্রাম জেলার নদীসংলগ্ন নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হতে পারে। এক‌ই সময়ে উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সুরমা, কুশিয়ারা ও সারিগোয়াইন নদীর পানি বেড়ে সতর্কসীমায় প্রবাহিত হতে পারে। এতে সাময়িকভাবে প্লাবিত হতে পারে সিলেট, সুনামগঞ্জ ও মৌলভীবাজার জেলার নদীসংলগ্ন নিম্নাঞ্চল। বুধবার পর্যন্ত নদ-নদীর পানি বাড়তে পারে চট্টগ্রাম বিভাগেও। এছাড়া, ব্রহ্মপুত্র ও যমুনা নদ-নদীর পানি গত ২৪ ঘণ্টায় বৃদ্ধি পেয়েছে। এসব নদ-নদীর পানি আগামী পাঁচ দিন বৃদ্ধি পেতে পারে; তবে বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হতে পারে। অন্যদিকে, গঙ্গা নদীর পানি সমতল গত ২৪ ঘণ্টায় বৃদ্ধি পেয়েছে। অপরদিকে, পদ্মা নদীর পানি সমতল স্থিতিশীল আছে। এসব নদীর পানিও আগামী তিন দিন বৃদ্ধি পেতে পারে। তবে এর পরবর্তী দুদিন পানি স্থিতিশীল থাকতে পারে এবং বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হতে পারে।