ভূ-উপগ্রহ কেন্দ্র স্থাপন বঙ্গবন্ধুর দূরদৃষ্টির উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত: পলক


ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, যুদ্ধের ধ্বংসস্তূপের উপর দাঁড়িয়েও বেতবুনিয়ায় স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম ভূ-উপগ্রহ কেন্দ্র স্থাপন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দূরদৃষ্টি সম্পন্ন নেতৃত্বের উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলার আধুনিক রূপ প্রতিনিয়ত গড়ে তুলছেন তারই সুযোগ্য উত্তরসূরি প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৪ জুন বঙ্গবন্ধু স্থাপন করেছিলেন ভূ-উপগ্রহ কেন্দ্র, ২০১৮ সালের ১২ মে বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য দৌহিত্র সজীব ওয়াজেদ জয়ের নেতৃত্বে বাংলাদেশের নিজস্ব স্যাটেলাইট বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ সফলভাবে উৎক্ষেপণ করা হয়। প্রতিমন্ত্রী আজ শুক্রবার বেতবুনিয়ায় ভূ-উপগ্রহ কেন্দ্র এবং বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১–এর জন্য স্থাপিত সজীব ওয়াজেদ উপগ্রহ ভূকেন্দ্র বেতবুনিয়া বিকল্প নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্র পরিদর্শনের সময় মতবিনিময়ে এ কথা বলেন। ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী বিশ্ব পরিমণ্ডলে তথ্য যোগাযোগ প্রযুক্তির সংযোগ স্থাপনে ভূ-উপগ্রহকেন্দ্র বেতবুনিয়ার ঐতিহাসিক তাৎপর্য তুলে ধরেন। তিনি স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভিশন-২০৪১ বাস্তবায়নে নিবেদিত সৈনিক হিসেবে কাজ করার দৃঢ় অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন জুনাইদ আহমেদ পলক। প্রতিমন্ত্রী বলেন, আগামী ১৪ জুন বেতবুনিয়া ভূ-উপগ্রহ কেন্দ্র উদ্বোধনের ৪৯ বছর পূর্ণ হবে। আধুনিক তথ্যপ্রযুক্তির অগ্রগতিতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা ও আর্কিটেক্ট অব ডিজিটাল বাংলাদেশ সজীব ওয়াজেদ জয় ‘মুজিব থেকে সজীব’-এই তিনের অবদান চির অম্লান হয়ে থাকবে। জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, বঙ্গবন্ধুর স্মৃতিবিজড়িত এই ভূ-উপগ্রহ কেন্দ্র আজ আবার গুরুত্ব পেয়ে দেশ-বিদেশে পরিচিতি পাচ্ছে। বেতবুনিয়া কেন্দ্র শুরু থেকেই যুক্তরাষ্ট্রের স্যাটেলাইটের সঙ্গে সংযুক্ত। এই কেন্দ্রের মাধ্যমে ১১টি দেশের সঙ্গে টেলিফোন ডাটা কমিউনিকেশন, ফ্যাক্স, টেলেক্স ইত্যাদি আদান-প্রদান শুরু করা হয়। প্রায় ৩৫ হাজার ৯০০ কিলোমিটার ঊর্ধ্বাকাশে অবস্থিত কৃত্রিম উপগ্রহের মাধ্যমে শক্তিশালী অ্যান্টেনা দিয়ে বার্তা বা তথ্য আদান-প্রদানের কাজ সম্পাদিত হয়েছে ২০১৮ সালের আগ পর্যন্ত। তবে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ মহাকাশে উৎক্ষেপণের পর এই কেন্দ্রের কার্যকারিতা আরও বেড়ে গেছে। উল্লেখ্য, স্বাধীনতা-উত্তর যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশ গঠনে এই কেন্দ্রের অবদান ছিল অপরিসীম। আশির দশকের বিশ্বকাপ ফুটবলে ম্যারাডোনার খেলা আর মুষ্টিযুদ্ধে সারা দুনিয়ার সেরা মোহাম্মদ আলীর খেলা হলে এই কেন্দ্রের মাধ্যমেই সমগ্র বাংলাদেশে তা দেখানো হতো। এমনকি বাইরের সব অনুষ্ঠান সম্প্রচারিত হতো এর মাধ্যমে। প্রতিমন্ত্রী বেতবুনিয়া ভূ-উপগ্রহ কেন্দ্র এবং বঙ্গবন্ধু-১ স্যাটেলাইটের জন্য স্থাপিত ‘সজীব ওয়াজেদ উপগ্রহ ভূকেন্দ্র বেতবুনিয়া বিকল্প নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্র’ পরিদর্শন করেন। পরে জুনাইদ আহমেদ পলক রাঙ্গামাটি প্রধান ডাকঘর ও বিটিসিএল কার্যালয় পরিদর্শন করেন।