মামলার স্বার্থেই প্রাথমিক আসামির সংখ্যা বেশি হয়: সংসদে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী


স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির সৃষ্টি হলে জনগণের নিরাপত্তা ও মামলার স্বার্থেই প্রাথমিকভাবে ১০০ থেকে ৫০০ জনকে আসামি করা হয়। তবে তদন্ত করে দেওয়া চার্জশিটে এত নাম থাকে না। সোমবার জাতীয় সংসদে এ কে আব্দুল মোমেনের এক সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন। এ প্রসঙ্গে মন্ত্রী আরও বলেন, পুলিশের প্রশংসা করেছেন সংসদ সদস্য আব্দুল মোমেন। যথার্থই বলেছেন। প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম তাদের ধীরে ধীরে সরবরাহ করছি। সেজন্য আমরা খুব তাড়াতাড়ি শনাক্ত করতে পারছি এবং তাড়াতাড়ি ব্যবস্থা নিতে পারছি। সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেনের উল্লেখ করা কতগুলো মামলার প্রসঙ্গ টেন তিনি বলেন, এসব মামলা সাধারণত হয় বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি যখন ঘটে। যেমন আমি ২৮ অক্টোবরের কথাই বলি। হাজার হাজার মানুষ এক জায়গায় অ্যাটাক করে বসলো। আমাদের তো তাদের নাম জানা থাকে না। চিহ্নিত দুই চারজনের বিষয়ে পুলিশ জানতে পারে। তখন তাদের নামসহ ১০০ থেকে ৫০০ জনের নাম লেখে। তিনি বলেন, আমাদের অনেক ডিভাইস রয়েছে। আমরা এখন আধুনিক ক্যামেরা ব্যবহার করছি, ড্রোন ব্যবহার করছি। আমরা তদন্তের পর চার্জশিট দিই। তখন কিন্তু এত নাম থাকে না। যারা অভিযুক্ত, তাদের নামগুলোই যায়। প্রাথমিক অবস্থায় তা করা হয় মামলার স্বার্থেই এবং জনগণের নিরাপত্তার স্বার্থে। তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়ার প্রয়োজনে তা করা হয়। আওয়ামী লীগের ৩ মেয়াদে পুলিশে ৮৩৫৭৭ পদ সৃষ্টি: মামুনুর রশীদ কিরনের এক প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় পুলিশের জনবল পর্যাপ্ত না থাকার কারণে সরকারের গত তিন মেয়াদে ৮৩ হাজার ৫৭৭টি পদ বাড়ানো হয়েছে। তিনি বলেন, পুলিশ জনসংখ্যার অনুপাত আগের তুলনায় কমেছে। বিভিন্ন দেশ ও মানদন্ডের তুলনায় পুলিশের জনবল বাড়ানোর কার্যক্রম চলমান রয়েছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বর্তমানে পুলিশের মোট মঞ্জুরিকৃত জনবল ২ লাখ ১৪ হাজার ১৭৬টি (পুলিশ পদ ২ লাখ ৩হাজার ৩৬৭টি এবং নন-পুলিশ পদ ১০৮০৯টি)।