মুন্সীগঞ্জে বৃষ্টিতে কমেছে শীতকালীন সবজির আমদানি বেড়েছে দাম।
অনলাইন নিউজ ডেক্স
মুন্সীগঞ্জে ঘূর্ণিঝড় মিগজাউম ও মিথিলির প্রভাবে প্রচুর পরিমাণ বৃষ্টিপাতের কারণে নিচু জমি তলিয়ে যাওয়ায় কমেছে শীতকালীন সবজি আমদানি। এতে সরবরাহ কম থাকায় বেড়েছে সবজির দাম। কৃষক যে সময়ে নিচু জমিগুলোতে বপন করেছিলেন ফুলকপি, লাল শাক, ডাটা সহ অন্যান্য সবজি। বৃষ্টির আগে ফুলকপি , লাউ, ডাটা, লাল শাক আমদানি বেশি থাকলেও বর্তমানে আড়তগুলোতে নেই তেমন সবজির দেখা।আজ সোমবার সকালের দিকে মুন্সীগঞ্জ শহর বাজার, দেওভোগ বাজার ও বজ্রযোগিনী আড়তে ঘুরে দেখা গেছে, বিভিন্ন ধরনের শীতকালীন সবজি। গেল দুই সপ্তাহ আগে সবজি আড়তে কিংবা বাজারে ফুলকপিসহ অন্যান্য সবজির যে পরিমাণ আমদানি হয়েছিল তার চেয়ে অনেক কম বর্তমান বাজার এবং আড়তে।কৃষক বলছে বৃষ্টির কারণে জমিতে অর্ধেকের মতো বিক্রির উপযুক্ত কপি পচে গেছে। এতে কৃষকের যা ক্ষতি হয়েছে তা অবশিষ্ট কপিগুলো বিক্রি করলেও ক্ষতি পোষানো যাবে না।জমিতে যা রয়েছে তাই বাজারে আনা হচ্ছে। জমিতে পানি জমে যাওয়ার কারণে ফুলকপি গুলো পচে যাওয়ায় বেছে বেছে ছোট বড় সাইজের কপি গুলো বাজারে আনা হচ্ছে। তবে গত দুই সপ্তাহের আগের তুলনায় একটু বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে। দাম বেশি হলেও ক্ষতির পরিমাণ কৃষকের অনেক বেশি।সবজি পাইকার শরীফ হোসেন হাওলাদার জানান, বৃষ্টির পর ফুলকপি সহ অন্যান্য সবজির আমদানি আগের চেয়ে অনেক কম। ঝড়ের কারণে কপি নষ্ট হয়ে যাওয়ায় আমদানি অনেক কম। কৃষকদের কাছ থেকে আমরা বড় কপি ৫০ টাকা ছোট সাইজেরটি ২৫-৩০ টাকা কিনতে হচ্ছে। প্রতি সাইজের কপি কেনার চেয়ে দশ টাকা বেশি লাভে আমরা খুচরা বাজারে বিক্রি করছি। সাধারণ ক্রেতাদের আগের তুলনায় এখন একটু বেশি দরেই ফুলকপি কিনছেন। তবে আগের তুলনায় কপি আমদানি অনেক কম হওয়ায় বেশি দরে বিক্রি করতে হচ্ছে।বজ্রযোগিনী সবজি আরতদার মোঃ আখতার জানান, বৃষ্টির কারণে অন্যান্য সবজির পাশাপাশি ফুলকপি নষ্ট হয়ে যাওয়ায় কৃষক অনেক ক্ষতিগ্রস্ত। তাই আমদানি কম থাকায় ফুলকপির দাম একটু বেশি। আগের তুলনায় প্রায় ডাবল। যদি বৃষ্টিতে সবজি নষ্ট না হত তাহলে গত দুই সপ্তাহের আগের তুলনায় আরো কম দামে ফুলকপি পাওয়া যেত। সাধারণ মানুষ কম দামে খেতে পারতো। এছাড়াও বৃষ্টির কারণে অন্যান্য সবজির মধ্যে লাউয়ের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। কৃষক নিচু জমিতে ফসল করায় বৃষ্টিতে পানি উঠে যাওয়ায় কৃষকের সবজি নষ্ট হয়ে যাওয়ায় এখন আমদানি অনেক কম। আড়তের সবজি যা আছে তা একটু বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে। সবজির দাম বেশি হলে কি হবে যে পরিমাণ কৃষকের ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এই ক্ষতি কেউ পোশাতে পারবে না বলে মনে করি। বৃষ্টিতে পানি না উঠলে হয়তো সবজির আমদানি বেড়ে গিয়ে দাম অর্ধেকে চলে আসতো। বর্তমানে পাইকারি এক একটি লাউয়ের দাম ৭০ থেকে ৮০ টাকায় বিক্রি করছে। সেটা বাজারে গিয়ে হয়তো আরো অনেক বেশি দরে বিক্রি হয়।তাছাড়া লাল শাক পাইকারি ৩৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি করছে কৃষক। ডাটা বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকা আটি। এগুলো হয়তো বাজারে গেলে আরো অনেক বেশি দরে বিক্রি হয়। প্রায় দেড় মাস আগে থেকেই এখানে ফুলকপির বেচাকেনা হয়। আগামী আরো দুই মাস পর্যন্ত এভাবেই ফুলকপি আড়তে বিক্রি হবে।
ডোনেট বাংলাদেশ সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।