সিরাজগঞ্জে দালালদের দৌরাত্ম্যে দিশেহারা বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হাসপাতালের রোগীরা


২৫০ শয্যা বিশিষ্ট বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জেনারেল হাসপাতালে দালালদের দৌরাত্মো দিশেহারা রোগীরা। অনিয়ম ও দুর্ভোগের শিকার আসা শত শত রোগী। দালালদের নিয়ন্ত্রণেই এখন চলতে হচ্ছে রোগীদের। চিকিৎসা নিতে আসা রোগীরা দালালের খপ্পরে পড়ে প্রতারিত হচ্ছেন প্রতিনিয়ত ভুক্তভোগীদের অভিযোগ দালালদের সাথে জড়িত রয়েছেন সিরাজগঞ্জ বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জেনারেল হাসপাতালের একশ্রেণির কর্মকর্তা ও কর্মচারী (সরেজমিন ঘুরে জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরেই সিরাজগঞ্জ বঙ্গমাতা মুজিব জেনারেল হাসপাতালে দালালদের দৌরাত্মা চলছে। এসব হাসপাতালের ছাতার মতো গড়ে ওঠা ডায়াগনস্টিক প্রভাবশালীদের নিয়োগপ্রাপ্ত। এই মালিকদের মধ্যে কেউ আবার হাসপাতালের কর্মকর্তা-কর্মচারী তারা স্থানীয় হওয়ায় তাদের ছত্রছায়ায় আধিপত্যের কারণেই ডায়াগনস্টিকের রমরমা ব্যবসা। তাদের নিয়োগকৃতরা সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত হাসপাতালের ও বাইরে বিচরণ করে থাকে। আউটডোরসহ ভেতরে কোনো নতুন রোগী ও স্বজনদের দেখলেই পিছু নিয়ে ভালো ডাক্তার দেখানোয় কথা বলে নিয়ে যায় কন্ট্রাক্ট করা চিকিৎসকরা অনেক টেস্ট লিখে চিকিৎসকের কাছে। ওই প্রেসক্রিপশন দালালদের বাধ্য করা হয় রোগীকে। রোগীদের এদের বিষয়ে হাতে ধরিয়ে দেয়। ফলে দালালদের কয়েক হাজার টাকার টেস্ট করাতে ফলে চরম ভোগান্তি পোহাতে হয় বরাবরই চুপ থাকেন হাসপাতালের অভিযোগ পেলেও টনক নড়ে না তাদের। হাসপাতালে এসে দালালের খপ্পরে পরা একাধিক ইসলাম, হিলটন ফকির, আলী আশরাফ আক্তার মিলু, মরিয়ম সহ একাধিক বাংলা ইনসাইডার কে বলেন, হাসপাতালে রোগী ঢোকার রোগী অভিযোগ করে সাথে সাথেই রোগীকে কীভাবে প্রাইভেট ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিকে পাঠাবে টেস্ট করানোর জন্য ব্যস্ত হয়ে পড়ে ঘোরাঘুরি করা দালাল ও হাসপাতালের কর্মচারীরা। প্রাইভেট তাদের কমিশন নির্ধারিত। টেস্ট প্রতি হাতিয়ে নিচ্ছে ৩০- ৪০ শতাংশ কমিশন। আবার ডাক্তাররা তাদের পাঠানো ডায়াগনস্টিক সেন্টারের টেস্ট রিপোর্ট হয়রানির শিকার হয়ে থাকে রোগীরা। চিকিৎসা নিতে শেখ ফজিলাতুন্নেছা কাছাকাছি ব্যাঙের ছাতার মত, প্রাইভেট ক্লিনিকের হাসপাতালে চলছে ভায়াগনস্টি গিয়ে কর্মকর্তা, সিরাজগঞ্জ ২৫০ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জেনারেল হাসপাতালটি দালালমুক্ত দেখতে চায় চিকিৎসা নিতে আসা শত শত অসহায় সিরাজগঞ্জ জেলার মানুষ। নাম প্রকাশ না থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি সিরাজুল ইসলামের সাথে নিয়ে,ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জেনারেল হাসপাতালের একাধিক ডাক্তার জানান, প্রাইভেট ডায়াগনসিস্টক ও ক্লিনিকের মালিক হাসপাতালে চাকরি করলে ও তাদের সাথে ভালো সম্পর্ক থাকলে কিভাবে দালাল নির্মূল করবে এই হাসপাতাল থেকে। এখানে যতদিন পর্যন্ত ডায়াগনস্টিক ও ক্লিনিকের মালিকদের আধিপত্য থাকবে ততদিন হাসপাতাল থেকে দালাল নির্মূল করা সম্ভব হবে না সিরাজগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জেনারেল হাসপাতালে আবাসিক মেডিকেল অফিসার ফরিদুল ইসলামে কে মুঠোফোনে কল দিলে তিনি ফোন রিসিভ করেন নি। সিরাজগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্ববাবধায়ক ডা. রতন কুমার রায়ের সাথে মুঠোফোনে কথা হলে তার কাছে জানতে চাওয়া হয় ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জেনারেল হাসপাতালে দালালের দৌরাত্মো অসহায় সাধারণ মানুষ এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বাংলা ইনসাইডার কে বলেন , হাসপাতালে দালাল আছে, আমরা মাসিক মিটিং এ এই বিষয়ে আলাপ করেছি কি ভাবে দালাল মুক্ত করা যায়। সেই মাসিক মিটিং এ সদরের এমপি মহদয় উপস্থিত ছিলেন, সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি উপস্থিত ছিলেন। আমরা প্রশাসনের কাছে লিস্ট দিয়েছি। এখন প্রশাসন যদি না ধরে আমরা কি করবো আমরা কিছু বলতে গেলে আমাদের সাথে অনেক ঝামেলা হয় কারণ তারা এখানকার স্থানীয়। তিনি আর ও বলেন, দালালদের সাথে যদি আমাদের কোন স্টাফ যুক্ত থাকে আর এমন প্রমান যদি কেউ দিতে পারে তবে তার বিরুদ্ধে আমরা কঠোর ব্যবস্থা নেব এবং আমাদের উর্ধতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করবো। ডাক্তাররা তাদের তাদের পছন্দের ডায়গোনেষ্টিক এ সাধারণ জনগণকে অতিরিক্ত টেস্টস্ট দিয়ে কমিশন খায় এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন এখন কোন ডাক্তার আর এই কাজ করে না। আমি নিজে সকল ডাক্তাদের চিঠি দিয়েছি। তবে সাবেক এমপি মহদয়ের সময়ে আমাদের একজন ডাক্তার আলতাব হোসেনের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ উঠেছিল। তখন তার বিরুদ্ধে আমরা ব্যবস্থা নেই তখন তিনি আমাদের কাছে ভুল স্বিকার করেন এবং এমপি মহদয়ের সাথে কথা বলে তিনি ঠিক করে নেন এখন তার বিরুদ্ধে আর এমন অভিযোগ পাওয়া যায় নি। যদি কোন ডাক্তারের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ পাওয়া যায় তবে তার বিরুদ্ধে সঙ্গে সঙ্গে আমরা ব্যবস্থা নেব হাসপাতাল থেকে দালাল নির্মূল করতে আমার চেষ্টা অব্যাহত থাকবে দালানের দৌরাত্ম্যে দিশেহারা সাধারণ জনগণ এই বিষয়ে মুঠোফোনে কথা হয় সিরাজগঞ্জ সদর বলেন, এটা আমাদের কাজ না এটা আদালতের কাজ। সেই সাথে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে সজাক থাকতে হবে। এর আগে একটা ফোন চোরকে ধরে চালান করে দিয়ে ছিলাম। তারা বের হয়ে আবার চুরি করে। আমরা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে সাহায্য করবো ।তারা নাম দিলেই আমরা ধরতে পারি না। তারা দালাল ধরে আমাদের ফোন করবে তখন আমরা তাদেরকে ধরে নিয়ে এসে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারি, সিরাজগঞ্জ জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের প্রধান সিভিল সার্জন ডাঃ রাম পদ রায়ের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ হলে তিনি বলেন, আমি এই প্রথম শুনলাম এর আগে কখন ও আমি শুনি নি আর আমাকে কেউ কখনও বলেনি। আপনিই প্রথম জানালেন। এই বিষয়ে আমি হাসপাতালের প্রধান ও হাসপাতাল ব্যবস্থাপনা কমিটির সাথে কথা বলবো এবং মাসিক মিটিং এ কথা বলে যদি সভাতা পাই তাহলে পরবর্তী সময়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করবো। এ বিষয়ে সিরাজগঞ্জ জেলা প্রশাসক মীর মাহবুবুর রহমানের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ হলে তিনি বলেন এই বিষয়ে আমার জানা নেই আমি জেনে পরবর্তীতে ব্যবস্থা গ্রহণ করবো। সিরাজগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জেনারেল হাসপাতালের সদ্য নব নির্বাচিত ব্যবসহাপনা পরিচালক সিরাজগঞ্জ এক আসনের মাননীয় জাতীয় সংসদ সদস্য প্রোকৌশলী তানভীর শাকিল জয়ের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে তাকে ফোনে পাওয়া যায়নি। সিরাজগঞ্জ জেলার সচেতন মহলের দাবি দালাল নির্মূল করতে হলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ কমিশন খাওয়া বন্ধ করতে হবে ও হাসপাতাল প্রধানদের আর ও সচেতন হবে সেই সাথে হাসপাতাল ব্যবস্থাপনা কমিটির সবাইকে আর ও সচেতন হতে হবে এবং প্রশাসনের কঠিন নজরদারি থাকতে হবে তবেই হাসপাতাল থেকে দালাল নির্মূল করা যাবে। সিরাজগঞ্জ জেলা মুক্তি যোদ্ধা কমান্ডের সাবেক কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা গাজী শফিকুল ইসলাম শফির সাথে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি বলেন, ১৯৭১ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ডাকে আমরা যুদ্ধ করেছি দেশ স্বাধীন করেছি অথচ এই স্বাধীন দেশে স্বাধীন দেশের মানুষ সরকারি হাসপাতালে যাবে ভালো চিকিৎসা পাবে এই জন্যই তো আমরা যুদ্ধ করেছিলাম। আমি একজন মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে বলবো হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সহ প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি যেন সাধারণ মানুষ সরকারি হাসপাতালে এসে কোন দালালের খারে না পরে। দালাল মুক্ত হবে সিরাজগঞ্জ সদর হাসপাতাল। স্বাধীনতার ৫৩ বছর পর ও যদি শুনতে হয় যে সরকারি হাসপাতালে,এখন ও দালাল আছে তবে বিষয়টি অত্যান্ত দুঃখ জনক।