প্রকাশিতঃ মার্চ ২০, ২০২৩
৮:২৭ অপরাহ্ণ

আন্তর্জাতিক

টেস্ট অধিনায়ক হিসেবে প্রথম ইনিংসেই ডাবল সেঞ্চুরি? এমন কীর্তি ক্রিকেট ইতিহাসে হয়েছে মাত্র তিনবার। আর এখন সে তালিকার শীর্ষে উইয়ান মুল্ডার। দক্ষিণ আফ্রিকার এই অলরাউন্ডার বুলাওয়েতে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে দ্বিতীয় টেস্টে অধিনায়কত্বের অভিষেকে অপরাজিত ২৬৪ রানে দিন শেষ করেছেন—যা এ ধরনের ম্যাচে সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত ইনিংস।  এর আগে ১৯৬৮ সালে ভারতের বিপক্ষে ক্রাইস্টচার্চে ২৩৯ রান করেছিলেন নিউজিল্যান্ডের গ্রাহাম ডাউলিং। সেটাই এতদিন ছিল অধিনায়কত্বে অভিষেক টেস্টে সর্বোচ্চ ইনিংসের রেকর্ড। আরও আগে ২০০৫ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের শিবনারায়ণ চন্দরপল দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে করেছিলেন ২০৩*।  ২৭ বছর বয়সী মুল্ডারের এই অধিনায়কত্ব আসলে অনেকটাই আকস্মিক। নিয়মিত অধিনায়ক টেম্বা বাভুমা হ্যামস্ট্রিং চোটে জিম্বাবুয়ে সফরে যাননি। সহ-অধিনায়ক এইডেন মার্করাম ও অভিজ্ঞ পেসার কাগিসো রাবাদাকেও বিশ্রামে রাখা হয়। এর ফলে প্রথম টেস্টে নেতৃত্ব পান স্পিনার কেশব মহারাজ। কিন্তু ব্যাটিংয়ের সময় কুঁচকিতে চোট পেয়ে দ্বিতীয় টেস্ট থেকে ছিটকে যান তিনিও। তখনই দায়িত্ব তুলে দেওয়া হয় মুল্ডারের কাঁধে।  আর সেই সুযোগের সর্বোত্তম ব্যবহারই করেছেন তিনি। ৩৪টি চার ও ৩টি ছক্কার মাধ্যমে দুর্দান্ত ইনিংস গড়ে প্রথম দিন শেষ করেছেন ২৬৪* রানে। দক্ষিণ আফ্রিকার স্কোর দাঁড়ায় ৯০ ওভারে ৪ উইকেটে ৪৬৫।  এটাই প্রথম নয়। সিরিজের প্রথম টেস্টেও দারুণ ব্যাটিং করেছিলেন মুল্ডার, করেছিলেন ১৪৭ রান। ফলে তার ফর্ম বলছে, তিনি শুধু স্ট্যান্ড-ইন অধিনায়ক নন, দক্ষিণ আফ্রিকার টেস্ট ভবিষ্যতের অন্যতম বড় ভরসাও বটে।  রেকর্ড বইয়ে নাম উঠলো যাদের  অধিনায়কত্বের অভিষেকে ডাবল সেঞ্চুরি:  উইয়ান মুল্ডার (দ.আফ্রিকা) – ২৬৪* বনাম জিম্বাবুয়ে, বুলাওয়ে ২০২৫ গ্রাহাম ডাউলিং (নিউজিল্যান্ড) – ২৩৯ বনাম ভারত, ১৯৬৮ শিবনারায়ণ চন্দরপল (ওয়েস্ট ইন্ডিজ) – ২০৩* বনাম দ.আফ্রিকা, ২০০৫ এছাড়া, মুল্ডার হলেন দক্ষিণ আফ্রিকার ইতিহাসে অধিনায়কত্বের অভিষেকে সেঞ্চুরি করা দ্বিতীয় ক্রিকেটার—১৯৫৫ সালে জ্যাকি ম্যাকগ্লু প্রথম এই কীর্তি করেছিলেন ইংল্যান্ডের বিপক্ষে।  বিভিন্ন নিয়মিত তারকার অনুপস্থিতিতে হঠাৎ নেতৃত্ব পাওয়া মুল্ডার ব্যাট হাতে যা করে দেখিয়েছেন, তা শুধু রেকর্ড নয়—একটি বার্তাও। হয়তো ভবিষ্যতের নিয়মিত অধিনায়ক হওয়ার দিকেও তাকিয়ে আছেন তিনি। আর এমন অভিষেকের পর দক্ষিণ আফ্রিকার ক্রিকেট বিশ্বও নিশ্চয় তার নামটি একটু আলাদা করে মনে রাখবে।

টেস্ট অধিনায়ক হিসেবে প্রথম ইনিংসেই ডাবল সেঞ্চুরি? এমন কীর্তি ক্রিকেট ইতিহাসে হয়েছে মাত্র তিনবার। আর এখন সে তালিকার শীর্ষে উইয়ান মুল্ডার। দক্ষিণ আফ্রিকার এই অলরাউন্ডার বুলাওয়েতে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে দ্বিতীয় টেস্টে অধিনায়কত্বের অভিষেকে অপরাজিত ২৬৪ রানে দিন শেষ করেছেন—যা এ ধরনের ম্যাচে সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত ইনিংস। এর আগে ১৯৬৮ সালে ভারতের বিপক্ষে ক্রাইস্টচার্চে ২৩৯ রান করেছিলেন নিউজিল্যান্ডের গ্রাহাম ডাউলিং। সেটাই এতদিন ছিল অধিনায়কত্বে অভিষেক টেস্টে সর্বোচ্চ ইনিংসের রেকর্ড। আরও আগে ২০০৫ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের শিবনারায়ণ চন্দরপল দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে করেছিলেন ২০৩*। ২৭ বছর বয়সী মুল্ডারের এই অধিনায়কত্ব আসলে অনেকটাই আকস্মিক। নিয়মিত অধিনায়ক টেম্বা বাভুমা হ্যামস্ট্রিং চোটে জিম্বাবুয়ে সফরে যাননি। সহ-অধিনায়ক এইডেন মার্করাম ও অভিজ্ঞ পেসার কাগিসো রাবাদাকেও বিশ্রামে রাখা হয়। এর ফলে প্রথম টেস্টে নেতৃত্ব পান স্পিনার কেশব মহারাজ। কিন্তু ব্যাটিংয়ের সময় কুঁচকিতে চোট পেয়ে দ্বিতীয় টেস্ট থেকে ছিটকে যান তিনিও। তখনই দায়িত্ব তুলে দেওয়া হয় মুল্ডারের কাঁধে। আর সেই সুযোগের সর্বোত্তম ব্যবহারই করেছেন তিনি। ৩৪টি চার ও ৩টি ছক্কার মাধ্যমে দুর্দান্ত ইনিংস গড়ে প্রথম দিন শেষ করেছেন ২৬৪* রানে। দক্ষিণ আফ্রিকার স্কোর দাঁড়ায় ৯০ ওভারে ৪ উইকেটে ৪৬৫। এটাই প্রথম নয়। সিরিজের প্রথম টেস্টেও দারুণ ব্যাটিং করেছিলেন মুল্ডার, করেছিলেন ১৪৭ রান। ফলে তার ফর্ম বলছে, তিনি শুধু স্ট্যান্ড-ইন অধিনায়ক নন, দক্ষিণ আফ্রিকার টেস্ট ভবিষ্যতের অন্যতম বড় ভরসাও বটে। রেকর্ড বইয়ে নাম উঠলো যাদের অধিনায়কত্বের অভিষেকে ডাবল সেঞ্চুরি: উইয়ান মুল্ডার (দ.আফ্রিকা) – ২৬৪* বনাম জিম্বাবুয়ে, বুলাওয়ে ২০২৫ গ্রাহাম ডাউলিং (নিউজিল্যান্ড) – ২৩৯ বনাম ভারত, ১৯৬৮ শিবনারায়ণ চন্দরপল (ওয়েস্ট ইন্ডিজ) – ২০৩* বনাম দ.আফ্রিকা, ২০০৫ এছাড়া, মুল্ডার হলেন দক্ষিণ আফ্রিকার ইতিহাসে অধিনায়কত্বের অভিষেকে সেঞ্চুরি করা দ্বিতীয় ক্রিকেটার—১৯৫৫ সালে জ্যাকি ম্যাকগ্লু প্রথম এই কীর্তি করেছিলেন ইংল্যান্ডের বিপক্ষে। বিভিন্ন নিয়মিত তারকার অনুপস্থিতিতে হঠাৎ নেতৃত্ব পাওয়া মুল্ডার ব্যাট হাতে যা করে দেখিয়েছেন, তা শুধু রেকর্ড নয়—একটি বার্তাও। হয়তো ভবিষ্যতের নিয়মিত অধিনায়ক হওয়ার দিকেও তাকিয়ে আছেন তিনি। আর এমন অভিষেকের পর দক্ষিণ আফ্রিকার ক্রিকেট বিশ্বও নিশ্চয় তার নামটি একটু আলাদা করে মনে রাখবে।

আরও খবর

যৌন হয়রানি ঠেকাতে যে ছোট ‘অস্ত্র’ ব্যবহার করছেন ভারতীয় নারীরা


যৌন হয়রানি ঠেকাতে যে ছোট ‘অস্ত্র’ ব্যবহার করছেন ভারতীয় নারীরা
ভারতের প্রায় প্রতিটা নারী জনসমাগমস্থলে যৌন হয়রানির শিকার হয়ে থাকেন। এসব হেনস্তা থেকে বাঁচতে নানা ধরনের কৌশলও গ্রহণ করেন তারা। অনেকে ছাতা ব্যবহার করেন, লম্বা নখ রাখেন, আবার অনেকে জুতার হিলকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করেন। তবে এবার সবকিছু ছাপিয়ে যৌন হয়রানি ঠেকাতে হাতিয়ারের তালিকায় শীর্ষে উঠে এসেছে সেফটি পিনের নাম।১৮৪৯ সালে এটি উদ্ভাবনের পর থেকে নারীদের কাছে দারুণ জনপ্রিয় সেফটি পিন। পোশাক সুন্দর করে পরতে বা শাড়ির ভাঁজ ঠিক রাখতে ব্যবহার হয় সেফটি পিন।ভারতের বেশ কয়েকজন নারী টুইটারে জানান, তারা সবসময় তাদের হ্যান্ডব্যাগ বা গায়ে একটি পিন বহন করেন। জনাকীর্ণ জায়গায় বিকৃতদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে এটি তাদের পছন্দের অস্ত্র।তাদের একজন ২০ বছরের দীপিকা শেরগিল জানান, তিনি অফিসে যাতায়াতের জন্য নিয়মিত একটি বাসে যেতেন। সেই বাসে ৪০ বছরের এক ব্যক্তিও যাতায়াত করতেন।শেরগিল বলেন, ‘তিনি সবসময় আমার পাশে এসে দাঁড়াতেন, ঝুঁকে পড়তেন। ড্রাইভার যখনই ব্রেক কষতেন, তখনই আমার ওপর পড়ে যেতেন।’তিনি বলেন, কিন্তু একদিন সব সীমা লঙ্ঘন করেন ওই ব্যক্তি। বাসে হস্তমৈথুন করে আমার কাঁধে বীর্যপাত করেন। সেদিনই সিদ্ধান্ত নিই, অনেক হয়েছে, আর না। এবার তাকে শাস্তি দিতেই হবে।\'তিনি বলেন, ‘নিজেকে ভীষণ অপবিত্র লাগছিল। বাড়িতে পৌঁছে অনেকক্ষণ গোসল করেছি। মাকেও বলিনি আমার সঙ্গে কি হয়েছে। সে রাতে ঘুমাতে পারিনি। চাকরি ছেড়ে দেওয়ার কথাও ভাবতে পারছিলাম না। তারপর প্রতিশোধ নেওয়ার কথা ভাবতে শুরু করি। আমি তার ক্ষতি করতে চেয়েছিলাম, তাকে আঘাত করতে চেয়েছিলাম। পরদিন ফ্লাট জুতা ছেড়ে হাইহিল পরি। কাপড়ের সঙ্গে নিই সেফটি পিন।\'শেরগিল বলেন, ‘তিনি এসে আমার পাশে দাঁড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে আমি আমার আসন থেকে উঠে দাঁড়ালাম এবং আমার হিল দিয়ে তার পায়ের আঙুলগুলো পিষে ফেললাম। তার চিৎকারে প্রচণ্ড আনন্দ অনুভব করেছিলাম। তারপর সেফটি পিন দিয়ে তার কপালে খোঁচা দিই এবং বাস থেকে নেমে পড়ি।পরের এক বছর ওই বাসে যাতায়াত করলেও, কেবল একদিন তাকে দেখতে পেয়েছিলেন শেরগিল। শেরগিলের গল্পটা শুনতে ভয়ংকর হলেও এমন ঘটনা সচরাচর ঘটে ভারতে।নারী অধিকার নিয়ে কাজ করা কর্মীরা বলছেন, এখানে আসলে ভয় বা লজ্জার কিছু নেই। সমাজের ভয়ে অনেক নারী প্রতিবাদ করে না। আর এটারই সুযোগ নেয় শ্লীলতাহানিকারীরা।২০২১ সালে ভারতের ১৪০টি শহরে চালানো অনলাইন সমীক্ষা অনুসারে, ৫৬ শতাংশ নারী গণপরিবহনে যৌন হয়রানির শিকার হওয়ার কথা জানিয়েছেন। মাত্র ২ শতাংশ পুলিশের কাছে গিয়েছিলেন। একটি বিশাল সংখ্যাগরিষ্ঠ বলেছে, তারা নিজেরাই পদক্ষেপ নিয়েছেন বা পরিস্থিতি উপেক্ষা করতে পেরেছেন। ৫২ শতাংশের বেশি বলেছেন, নিরাপত্তা শঙ্কায় শিক্ষা এবং চাকরির সুযোগ প্রত্যাখ্যান করেছেন তারা।