রাবির নবনিযুক্ত উপাচার্য ড. সালেহ হাসান নকীব


কাজী এনায়েত উল্লাহ, রাজশাহী অফিস: রা:বি: ২৫তম উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. সালেহ হাসান নকীব। বৃহস্পতিবার (০৫ সেপ্টেম্বর) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মো. শাহিনুর ইসলাম স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে তাকে উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়। নবনিযুক্ত এই উপাচার্য বিশিষ্ট পদার্থবিজ্ঞানী হিসেবে দেশে ও বিদেশে সমাদৃত। তিনি ১৯৭০ সালে রাজশাহীতে জন্মগ্রহণ করেন। রাজশাহী বোর্ড থেকে ১৯৮৭ সালে এসএসসি ও ১৯৮৯ সালে এইচএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। পরে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৯২ সালে পদার্থবিজ্ঞান বিষয়ে বিএসসি (অনার্স) ও ১৯৯৩ সালে এমএসসি ডিগ্রি লাভ করেন। কমনওয়েলথ স্কলারশিপে ২০০৩ সালে তিনি ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন এই অধ্যাপক। শিক্ষাজীবনে সব পরীক্ষায় তিনি প্রথম বিভাগ ও প্রথম শ্রেণি অর্জন করেন। ড. সালেহ হাসান নকীব ১৯৯৭ সালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন। পরে ২০১১ সালে তিনি অধ্যাপক হন। বিভিন্ন সময়ে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক আন্তর্জাতিক সম্মেলন ও সেমিনারে অংশগ্রহণ করে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেছেন তিনি। এখন পর্যন্ত প্রায় ১৭৫টি গবেষণা প্রবন্ধ দেশ-বিদেশে প্রকাশিত হয়েছে। এছাড়াও তিনি বেশ কিছু গবেষণা তত্ত্বাবধান করেছেন। তার সাইটেশনের সংখ্যা প্রায় পাঁচ হাজার। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় সিনেটের একজন নির্বাচিত শিক্ষক প্রতিনিধি সদস্য ড. সালেহ হাসান নকীব। ওয়ার্ল্ড একাডেমি অব সায়েন্সেস ও বাংলাদেশ একাডেমি অব সায়েন্সেসসহ অন্যান্য কয়েকটি জাতীয় ও আন্তর্জাতিক গবেষণা, বৃদ্ধিবৃত্তিক ও পেশাজীবী সংগঠনের ফেলো ও সদস্য তিনি। জার্নাল অব সায়েন্টিফিক রিসার্চ এবং রাজশাহী ইউনিভার্সিটি জার্নাল অব সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের সম্পাদনা বোর্ডের অন্যতম সদস্য এই অধ্যাপক। ড. সালেহ হাসান নকীব প্রায় ১০ বছর জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরামের সদস্য ছিলেন। তবে গত ১১ আগস্ট তিনি এই পদ থেকে পদত্যাগ করেন। ওই সময় তিনি তার পদত্যাগ পত্রে বলেন, \'দেশের এক ক্রান্তিকালে, প্রায় এক দশক আগে, আমি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরামের সদস্যপদ গ্রহণ করি। এরপর শিগগিরই ফোরামের কার্যপদ্ধতি, চিন্তা ইত্যাদি কিছু কিছু বিষয়ে চিন্তাগত পার্থক্য অনুধাবন করি। এর প্রেক্ষিতে বিগত অন্তত ছয়-সাত বছর ফোরামের কোন সভা, শোভাযাত্রা, সমাবেশ, মিছিল বা মানববন্ধনে অংশ নেয়া থেকেও বিরত ছিলাম। এই অবস্থায় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরামে আমার নাম থাকুক, সেটা চাচ্ছি না