রামগতিতে ট্রলারে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে ঘটনায় নিহত বেড়ে ২


রামগতিতে ট্রলারে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে ঘটনায় নিহত বেড়ে ২
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলায় ট্রলারে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণের ঘটনায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় আরও এক জেলের মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) ভোরে রাজধানীর জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ফারুক হাওলাদারের (৪০) মৃত্যু হয়। তিনি শরীয়তপুর জেলার ভেদরগঞ্জ উপজেলার সখিপুর ইউনিয়নের মোল্যা কান্দি এলাকার বাচ্ছু হালদারের ছেলে। এর আগে শনিবার রাতে এই ঘটনায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় আমজাদ হোসেন নামে এক জেলের মৃত্যু হয়। তাছাড়া দগ্ধ দুজন আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। তারা হলেন—আবুল খায়ের (৩২) ও আবদুল গনি (৫০)। আবুল খায়েরের শরীরের ৩৫ শতাংশ এবং গনির ৪০ শতাংশ পুড়ে গেছে। জাতীয় মৎস্যজীবী সমিতির উপজেলা সভাপতি আল-হেলাল জানান, দগ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করে প্রথমে তাদেরকে রামগতি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। অবস্থার অবনতি দেখে সেখান থেকে নোয়াখালী সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসা শেষে ৪ জনকেই ঢাকা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে স্থানান্তর করেছিল নোয়াখালী সদর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। তারা সেখানে চিকিৎসাধীন ছিলেন। শনিবার সন্ধ্যার পর থেকে আমজাদ হোসেন পাটোয়ারীর অবস্থার অবনতি ঘটে। রাত সাড়ে ১০টার দিকে জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে তিনি মারা যান। মঙ্গলবার ভোরে ফারুক হোসেনও মারা যান। তাছাড়া দগ্ধ ২ জেলের আবদুল গনি খাঁ ও আবুল খায়ের চিকিৎসাধীন। তাদের অবস্থা আশঙ্কাজনক। লক্ষ্মীপুরের রামগতির বড়খেরী নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ সফিকুল ইসলাম বলেন, ফারুক হাওলাদারের মৃত্যুর বিষয়টি ঢাকার শাহবাগ থানা-পুলিশের মাধ্যমে নিশ্চিত হয়েছি। তার স্বজনরাও জানিয়েছেন। প্রসঙ্গত, এর আগে গত বৃহস্পতিবার সকালে লক্ষ্মীপুরের রামগতির মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের পাশে নদীতে নৌকায় রান্নার সময় গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এতে নৌকায় থাকা পাঁচ জেলে দগ্ধ হন। প্রথমে তাদের রামগতি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। পরে অবস্থার অবনতি হলে চারজনকে জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে স্থানান্তর করা হয়েছে।