রাশিয়ার জব্দকৃত সম্পদ ইউক্রেনকে দেবে জি-৭


রাশিয়ার কাছ থেকে জব্দকৃত সম্পদ ইউক্রেনকে দিতে সম্মত হতে পারে বিশ্বের শীর্ষ ধনী সাত দেশের জোট জি-৭। এমনটাই উঠে এসেছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদন থেকে। বৃহস্পতিবার ইতালিতে শুরু হওয়া এ সম্মেলনে সদস্য দেশ—যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন, কানাডা, ফ্রান্স, ইতালি, জার্মানি ও জাপান ছাড়াও আরও বেশ কয়েকটি দেশের নেতারা অংশগ্রহণ করবেন। যুক্তরাষ্ট্রের দেওয়া প্রস্তাব অনুসারে, রাশিয়ার জব্দ করা সম্পদ থেকে জি-৭ ভুক্ত দেশগুলো প্রতিবছর ইউক্রেনের জন্য ৫ হাজার কোটি ডলার তহবিল সংগ্রহ করতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ইতালিতে শুরু হওয়া জি-৭-এর বৈঠকে এ বিষয়টি ছাড়াও গাজায় চলমান ইসরাইলি আগ্রাসন, অভিবাসন, অর্থনৈতিক নিরাপত্তা এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার বিষয়ে আলোচনা হবে। এ সম্মেলন এমন এক সময়ে শুরু হতে যাচ্ছে, যখন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক, ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ, মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন নিজ নিজ দেশে নির্বাচনের মুখোমুখি হতে যাচ্ছেন। আসন্ন নির্বাচনে ঋষি সুনাক, বাইডেন ও ম্যাক্রো হারার সম্ভাবনা থাকলেও এবারের জি-৭ সম্মেলনের আয়োজক দেশ ইতালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনি বরং ক্ষমতার যাত্রায় তার অবস্থান সুসংহত করেছেন। আর কিছুদিন পর কানাডায় অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া নির্বাচনেও দেশটির বর্তমান প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর সরকারের পতন হতে পারে। এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্তাবিত পরিকল্পনা অনুসারে—রাশিয়ার কাছ থেকে জব্দ করা জি-৭ভুক্ত এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশগুলোতে থাকা ৩২ হাজার ৫০০ কোটি ডলারের সম্পদের সুদ থেকে প্রাপ্ত অর্থ ইউক্রেনকে ঋণ আকারে দেওয়া হবে। রাশিয়া ২০২২ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেন আক্রমণের পর পশ্চিমা দেশগুলো পর্যায়ক্রমে এসব সম্পদ জব্দ করে। আন্তর্জাতিক নিয়ম অনুসারে, কোনো দেশ রাশিয়ার কাছ থেকে জব্দ করা সম্পত্তি ইউক্রেনকে দিতে পারবে না। কিন্তু জি-৭ যদি এই পরিকল্পনা পাশ করে, তবে হয়তো সরাসরি না দিলেও সেই সম্পদ থেকে অর্জিত সুদ ইউক্রেনকে দেওয়া সম্ভব হবে, যা দেশটিকে রণক্ষেত্রে দারুণ সুবিধা দেবে।