রাশিয়ার পালটা হামলায় ইউক্রেনে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি, আহত ৪৬


রাশিয়ার পালটা হামলায় ইউক্রেনে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি, আহত ৪৬
রাশিয়ার কৃষ্ণসাগরীয় বন্দর নগরী নভোরোসিস্কে ড্রোন হামলা চালিয়েছে ইউক্রেন। এর পরই (শনিবার) ওই বন্দরে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছেন শহরটির মেয়র আন্দ্রে ক্রাভচেঙ্কো।স্থানীয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, ইউক্রেনের ড্রোন হামলায় একটি শস্য টার্মিনাল ও একাধিক আবাসিক ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং অন্তত পাঁচজন আহত হয়েছেন।ইউক্রেনীয় বিমানবাহিনী দাবি করেছে, শুক্রবার রাতভর রাশিয়ায় ১৮৩টি ড্রোন ও দুটি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে আক্রমণ করেছে ইউক্রেন।ইউক্রেনের হামলার জবাবে শুক্রবার রাতে দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর খারকিভে ব্যাপক ড্রোন হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। এ হামলায় একটি বহুতল আবাসিক ভবনে আগুন ধরে যায় এবং অন্তত ৪৬ জন আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ। খবর রয়টার্সের।খারকিভের মেয়র ইহোর তেরেখভ জানান, শহরের চারটি কেন্দ্রীয় জেলায় ১২টি স্থানে হামলা হয়েছে। রাশিয়ার সীমান্ত থেকে মাত্র ৩০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত এই শহরটি বারবারই রুশ হামলার লক্ষ্যবস্তু হয়ে উঠছে।তেরেখভ আরও জানান, হামলায় একটি বাড়িও আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছে এবং ৮ জনকে হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। আহতদের মধ্যে ১১ বছরের একটি শিশুও রয়েছে।ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি শনিবার এ হামলার নিন্দা জানিয়ে বলেন, ‘হামলায় কোনো সামরিক লক্ষ্যবস্তু ছিল না। কারণ এমন কিছু সেখানে ছিলই না। রাশিয়া এমন সময় হামলাটি চালালো, যখন ইউক্রেনীয়রা নিজেদের ঘরে সন্তানদের ঘুম পাড়াচ্ছে’।তিনি আরও বলেন, ‘বিশ্ব যখন সিদ্ধান্ত নিতে দেরি করছে, তখন ইউক্রেনের প্রতিটি রাত একেকটি বিভীষিকায় রূপ নিচ্ছে। আমাদের আরও শক্তিশালী আকাশ প্রতিরক্ষা প্রয়োজন এবং আমাদের মিত্র— যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপ ও অন্যান্য দেশ, যারা শান্তি চায়, তাদের কাছ থেকে বাস্তব পদক্ষেপ দরকার’।এদিকে খারকিভ অঞ্চলের গভর্নর ওলেহ সিনেহুবভ জানান, উদ্ধারকর্মীরা রাতভর কাজ করেছে এবং দ্বিতীয়বার হামলার আশঙ্কা সত্ত্বেও আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।ইন্টারনেটে প্রকাশিত ছবিতে দেখা যায়, অগ্নিনির্বাপক কর্মীরা আগুন নেভাচ্ছেন, ভবনের কালো হয়ে যাওয়া দেয়াল ও ভাঙা জানালাগুলোর পাশে ধ্বংসস্তূপে পুড়ে যাওয়া গাড়ি পড়ে আছে।অন্যদিকে, দক্ষিণাঞ্চলের দ্নিপ্রোপেত্রভস্ক অঞ্চলে রুশ ড্রোন ও গোলাবর্ষণে আরও চারজন আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন।খেরসন অঞ্চলে, একটি ড্রোন পড়ে গেলে সেটি সরাতে গিয়ে একজন গ্রামবাসীর মৃত্যু হয়েছে।এদিকে রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় দাবি করেছে, তাদের আকাশ প্রতিরক্ষা বাহিনী ব্রিয়ানস্ক ও ক্রিমিয়া অঞ্চলে এক ঘণ্টার মধ্যে ইউক্রেনের ১০টি ড্রোন ধ্বংস করেছে।