শাবিতে নেই জরুরি সেবা, ভোগান্তিতে শিক্ষার্থীরা
অনলাইন নিউজ ডেক্স
শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবি) ক্যাম্পাসে নেই নিত্য প্রয়োজনীয় জরুরি সেবা। সর্বক্ষণ ওষুধ, মোবাইল ব্যাংকিং সেবা ও পর্যাপ্ত সংখ্যক স্টেশনারি দোকানের মতো জরুরি সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে শিক্ষার্থীরা। এতে প্রতিনিয়ত ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে শিক্ষার্থী- শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের।
এছাড়া পর্যাপ্ত সংখ্যক স্টেশনারি দোকান না থাকায় নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের জন্য যেতে হচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে অবস্থিত দোকানগুলোতে। যা শিক্ষার্থীদের জন্য সময়সাপেক্ষ হয়ে দাড়িয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় লাইব্রেরি ভবনে দুটি স্টেশনারি দোকান রয়েছে। এর একটিতে ফটোকপির দোকান এবং অন্যটি শিক্ষার্থীদের নিত্য প্রয়োজনীয় শিক্ষা সরঞ্জামের দোকান।
বিপুল সংখ্যক শিক্ষার্থীদের জন্য যা অপ্রতুল। ফটোকপির দোকানে প্রায়সময়ই ভিড় লেগে থাকে। এছাড়া এ দুটি দোকানও সবসময় খোলা থাকেনা। বিশেষ করে দুপুরের পরে দোকান দুটি বেশিরভাগ সময় বন্ধ থাকতে দেখা যায়। বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল সেন্টারে নাপা, এমোডিস আর খাবার স্যালাইন বাদে অন্য কোনো ওষুধ পাওয়া যায় না বলে শিক্ষার্থীদের অভিযোগ।
বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলোতেও নেই কোনো ধরনের জরুরি সেবা । এছাড়া ছাত্র হলে অবস্থানরত ছাত্রদের আবাসিক হলের পার্শবর্তী এলাকা টিলারগাও ও নতুনবাজার এলাকা থেকে এসব জরুরি সেবা নিতে হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন শিক্ষার্থীরা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে নেই প্রয়োজনীয় কোনো মোবাইল ব্যাংকিং সেবা। এক্ষেত্রেও শিক্ষার্থীদের প্রয়োজনীয় টাকা উত্তোলনের জন্য যেতে হয় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে অবস্থিত দোকানগুলোতে। এতে করে শিক্ষার্থীদের বাড়তি সময়ের অপচয় হচ্ছে বলে অনেক শিক্ষার্থীর অভিমত। প্রয়োজনীয় স্টেশনারি দোকান স্থাপন করে ভোগান্তি লাঘবের জন্য দাবি জানিয়েছে বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীরা।
এ বিষয়ে গনিত বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী মো দেলোয়ার হোসেন বলেন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় হলেও প্রযুক্তি গত ভাবে অনেক অংশেই পিছিয়ে আমাদের ক্যাম্পাস, এর মধ্যে অন্যতম একটি হলো মোবাইল ব্যাংকিং ব্যবস্থা অনুপস্থিত।
স্টুডেন্ট এবং স্টাফ সকলকে ক্যাম্পাসের বাহির থেকে নিত্য প্রয়োজনীয় সেবা বাহিরে থেকে নিতে হয়, এতে করে অনেক ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে সকলকে। তাই অনতিবিলম্বে ক্যাম্পাসে মোবাইল ব্যাংকিং ব্যবস্থা চালু করার দাবি জানাচ্ছি।
দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী মো নুরুল হক বলেন, ক্যাম্পাসের অভ্যন্তরে স্টেশনারির দোকান স্থাপন করা এখন সময়ের দাবি। প্রতিদিন শত শত শিক্ষার্থীদের ভোগান্তির শিকার হতে হয় ক্যাম্পাসে পর্যাপ্ত স্টেশনারির দোকান না থাকার কারণে। একটা কলম কিনতে হলেও ভার্সিটি গেইটে যেতে হয়।
যেখানে যাওয়া-আসা করতে অন্তত ৩০ মিনিট সময় লাগে সাথে ১০ টাকা ভাড়া। লাইব্ররীতে একটা ছোট স্টেশনারির দোকান আছে,তবে সেটা এই বিশাল সংখ্যক শিক্ষার্থীদের জন্য যথেষ্ট নয়। তারচেয়ে বড়কথা এটা সবসময় খোলা পাওয়া যায়না। সবচেয়ে বেশি ভোগান্তির শিকার হয় হলে থাকা শিক্ষার্থীদের সামান্য ফটোকপি করতেও যেতে হয় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে অবস্থিত স্টেশনারি দোকানগুলোতে।
এমতাবস্থায় প্রতিটি একাডেমিক বিল্ডিংয়ের সামনে স্টেশনারি দোকান স্থাপন করলে শিক্ষার্থীদের ভোগান্তি অনেকাংশে লাঘব হবে।
সার্বিক বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র উপদেশ ও নির্দেশনা পরিচালক অধ্যাপক ড. মো এছাক মিয়া বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ভোগান্তি লাঘবে নতুন ফুড কোর্টে স্টেশনারি একটি দোকান বরাদ্দ দেয়া হবে। এছাড়া শিক্ষার্থীরা চাইলে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন মোবাইল ব্যাংকিংসহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় সেবা চালু করার জন্য কাজ করবে।
