শালিখায় আঙ্গুর চাষে জামাল মন্ডলের সফলতা
মোঃ সাইফুল ইসলাম, ব্যুরো প্রধান, মাগুরা

আঙ্গুর বিদেশি ফল হলেও জনপ্রিয় এই ফলটির পরীক্ষামূলক চাষে সফল হয়েছেন। মাগুরা\'র শালিখা উপজেলার ধনেশ্বরগাতী ইউনিয়নের পিপরুল গ্রামের কৃষক জামাল মন্ডল।তিনি তার বাড়ীর পাশে ২০ শতাংশ জমিতে মালটা, লেবু, ডালিম, ননিফল, বরই, এলাচের পাশাপাশি পরীক্ষামূলকভাবে আঙ্গুর চাষ শুরু করেন। এবং সফলতার মুখ দেখেন। এবছর তিনি বানিজ্যিক ভাবে আঙ্গুর চাষ শুরু করেছেন বলে জানিয়েছেন।তার এই আঙ্গুর বাগানে প্রতিদিনই দর্শনার্থীরা ভীড় জমাচ্ছেন। দেখতে আসা অনেকেরই তিনি আঙ্গুর তুলে খাওয়াচ্ছেন। জামাল মন্ডলের বাগানের আঙ্গুর খেয়ে অনেকে জানান। বাজার থেকে কেনা আঙ্গুর থেকে এ আঙ্গুর কোন অংশে কম নয়। বরঞ্চ সুস্বাদু ও মিষ্টি।সরে জমিনে গিয়ে দেখা যায়, জামাল মন্ডলের আঙ্গুর বাগানে লতানো গাছে থোকায় থোকায় ঝুলছে রসালো আঙ্গুর। লাল চয়ন, বাইক্লো, জি,এস থ্রি ও জাম্বুরা এই চার জাতের প্রায় ৬০ টি চারা রোপন করেছেন তিনি।ভারত ও যশোরের খাজুরা ও লেবুতলা থেকে সংগ্রহ করা এসব চারা দিয়ে পরিক্ষামূলক ভাবে শুরু হয়েছিল চাষ। প্রথম মৌসুমে আশানুরূপ ফল পেয়ে এবার বানিজ্যিক ভাবে চাষ করছেন বলে জানান।জামাল মন্ডল সকালের সময় প্রতিনিধিকে জানান, গত বছর এ চাষে ভাল ফল পেয়েছি তাই এবার বানিজ্যিক ভাবে চাষ শুরু করেছি।বর্তমানে প্রতিগাছে গড়ে ৩০ কেজি পর্যন্ত আঙ্গুর ধরেছে। স্থানীয় বাজারে প্রতি কেজি ২০০ থেকে ২৫০ টাকায় বিক্রি করছি। গত বছরে প্রায় ১লক্ষ টাকার ফল বিক্রি হয়েছে। এবার আরো বেশি বিক্রির আশা করছি। শুধু নিজে এ ফল চাষ করছেন না, এ চাষে আগ্রহী স্থানীয় কৃষকদের সহযোগিতা করছেন তিনি।তিনি আরো বলেন, গত বছর প্রায় এক হাজার চারা স্থানীয় কৃষকদের মাঝে দিয়েছি। কেউ আগ্রহ দেখালে পরামর্শ সহ সব ধরনের সহযোগিতা করছি। এ আঙ্গুর বাগানে বছরের দুবার ফল সংগ্রহ করা যায়। পরিবারের চাহিদা মিটিয়ে আঙ্গুর বিক্রি করে আয় ও বাড়ছে। তার এ সফলতা দেখে অনেকে ঝুকছে আঙ্গুর চাষে।শালিখা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মোঃ আলমগীর হোসেন বলেন, কৃষি অফিস থেকে জামাল মন্ডলের আঙ্গুর বাগান নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। আমাদের একজন কৃষি কর্মকর্তা তাকে প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিয়ে সহায়তা করছেন। জামাল মন্ডলের এই উদ্যোগ গ্রামীণ অর্থনীতিতে নতুন দিগন্ত খুলেছে।দেশের আবহাওয়া ও মাটিকে কাজে লাগিয়ে বিদেশি ফল চাষে এমন সফলতা অনুপ্রেরণা যোগাবে অন্য কৃষকদের। এমনটাই প্রত্যাশায় স্থানীয়দের।
