শালিখায় কোরবানির জন্য প্রস্তুত ১৮ হাজার ৮২ টি পশু


শালিখায় কোরবানির জন্য প্রস্তুত ১৮ হাজার ৮২ টি পশু
আসন্ন কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে মাগুরার শালিখা উপজেলার কৃষক ও খামারিদের মাঝে চলছে কোরবানির পশু বিক্রির প্রস্তুতি।এবার কোরবানির বাজারে পশুর ভালো দাম পাওয়ার ব্যপারে আশাবাদী স্থানীয় খামারী ও পশু ব্যবসায়ীদের। এলাকার চাহিদা মিটিয়েও অন্তত ৩,১৬১টি পশু দেশের বিভিন্ন এলাকায় কোরবানির পশু হাটে পাঠানো যাবে বলে জানিয়েছেন তারা।শালিখা উপজেলার ৭টি ইউনিয়নে ছোট বড় মোট ১ হাজার ৬৩৩ টি খামার রয়েছে। এ সকল খামারগুলোতে কোরবানির জন্য গরু ও ছাগল প্রস্তুত করার শেষ সময় চলছে। এ সকল গ্রাম ও খামার থেকে গরু, ছাগল সংগ্রহ করছেন ব্যাপারীরা।উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিসের তথ্য মতে এ বছর শালিখা উপজেলায় কোরবানির পশুর চাহিদা ১৭ হাজার ৩ শ ৬৪ টি তবে প্রস্তুত রয়েছে ১৮ হাজার ৮২ টি পশু। অর্থাৎ চাহিদার থেকে ৩ হাজার ১৬১টি পশু বেশি রয়েছে। এসব পশুর মধ্যে রয়েছে ষাড় ৫,০০৪ টি, বলদ ১২৬ টি, গাভী ১,০৮৪ টি, ছাগল ১,৬৪০ টি, ভেড়া ১,২২৮ টি।জানা গেছে, প্রতি বছর মতো এবারও কোরবানিকে সামনে রেখে গরু, ছাগল মোটা তাজা করনে ব্যস্ত সময় পার করছেন উপজেলার কৃষক ও খামারীরা। ভারতীয় গরু আমদানি না থাকায় এবছর বেশি লাভবান হবে বলে আশা করছেন তারা।সূত্র জানায়, বর্তমানে উপজেলায় ১ হাজার ৬৭৮ জন মানুষ (খামারি, কৃষক ও ব্যাপারী) এ পেশায় রয়েছেন। খামারি ছাড়াও উপজেলায় সাধারণ কৃষকরা বাড়তি উপার্জনের জন্য বাড়িতে একটি দুইটি করে গরু মোটাতাজা করণ করেন।উপজেলা কাঠালবাড়িয়া গ্রামের খামারি রাব্বি সাইফ জানান, এবার গো-খাদ্যের দাম বেশি থাকায় কোরবানির পশুর দাম একটু বেশি হতে পারে। বাইরে থেকে পরশু না এলে ভালো দাম পাবে স্থানীয় খামারিরা।শালিখা উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ শাহারীন সুলতানা জানান, উপজেলায় ছোট বড় ১,৬৩৩ টি খামার রয়েছে। আমাদের ভেটোরিনারি মেডিকেল টিম প্রতিনিয়ত খামারিদের নানা ভাবে পরামর্শ ও সেবা দিয়ে যাচ্ছেন। এ বছর উপজেলায় কোরবানির জন্য ৫,৬১৪ টি গরু, ১০,৬৪০ টি ছাগল, ১,২২৮ টি ভেড়া প্রস্তুত রয়েছে। উদ্ধৃত পশু দেশের অন্য অঞ্চলের চাহিদা মেটাতে সহায়ক হবে।