সড়ক দুর্ঘটনায় একই পরিবারের ৪জন নিহত, পরিবারে শোকের মাতম
অনলাইন নিউজ ডেক্স

ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ের নিমতলায় এলাকায় ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনায় পাঁচজন নিহত হয়েছেন। এদের মধ্যে একই পরিবারের ৪জন। নিহতের পরিবারের বইছে শোকের মাতম। এদিকে ঘাতক বাস চালকের শান্তি দাবী ও নিহতের পারিবাররের জন্য আর্থিক সহযোগিতা দাবী এলাকাবাসীবাসী। উপজেলা প্রশাসন আর্থিক সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মাদারীপুর সদর উপজেলার মিঠাপুর গ্রামের বিল্লাল ফকিরের অন্তস্বত্তা স্ত্রী রোজিনা বেগমকে নিয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যাচ্ছিলেন পরিবারসহ। এসময় অ্যাম্বুলেন্সের চাকা পাংচার হয়ে গেলে ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ের নিমতলা তালুকদার পাম্পের সামনে অ্যাম্বুলেন্স চাকা সচল করার জন্য থামানো ছিল। পিছন থেকে ঢাকাগামী গোল্ডেন লাইন পরিবহনের যাত্রীবাহী বাসটি অ্যাম্বুলেন্স এর পিছনে ধাক্কা দেয়। এতে অ্যাম্বুলেন্সের চালক মাহবুব সরদারসহ ৫জন মারা যায়। এদের মধ্যে একই পরিবারের ৪জন মারা গেছে। এদুর্ঘটনা ঘটেছে বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে ১২টায় ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ের সিরাজদিখান উপজেলার নিমতলা তালুকদার পাম্পের সামনে। এই ঘটনায় নিহতরা হলেন, মাদারীপুর সদর উপজেলার মিঠাপুর গ্রামের সামাদ ফকির, তার স্ত্রী সাহেদা বেগম এবং তার ছেলে বিল্লাল ফকির ও মেয়ে আফসানা আক্তার। এই ঘটনায় এলাকায় নেমে এসেছে শোকের ছায়া। একাবাবাসী ও স্বজনরা বাস চালকের বিচার দাবী করেছেন এবং নিহতের পরিবারের জন্য অর্থিক সহযোগিতা দাবী করেছেন।
সরেজমিন দেখা গেছে, সামাদ ফকিরের বাড়ির পাশেই ৪টি কবর খুড়ছে এলাকাবাসী ও স্বজনরা। কান্নায় ভেঙ্গে পড়ছেন স্বজন ও শুভাকাঙ্খিরা। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, নিহত মাওলানা সামাদ ফকির ও তার ছেলে হাফেজ বিল্লাল ফকির দুজনেই ছিলেন দুইটি মসজিদের ইমাম। নিহত বিল্লালের স্ত্রী অন্তঃসত্তা রোজিনা বেগম অসুস্থ্য থাকায় তাকে নিয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল যাচ্ছিলেন পরিবারসহ। এসময়ই ঘটে দুর্ঘটনা।
স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক সদস্য শারাফ উদ্দিন বলেন, মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় ৫জন নিহত হয়েছে। এদের মধ্যে একই পরিবারের রয়েছে ৪জন। মুলত থেমে থাকা একটি অ্যাম্বুলেন্সকে চাপা দেয় দ্রুত
গতির একটি বাস। এতেই নিহত হয়েছে। আমরা চাই বাস চালকের শাস্তি হোক এবং নিহতদের পরিবারকে অর্থিক সহযোগিতা প্রদানের অনুরোধ করছি সরকারের প্রতি।
মাদারীপুর উন্নয়ন সংগ্রাম পরিষদের সভাপতি এ্যাডভোকেট মাসুদ পারভেজ বলেন, ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে বেপরোয়া গতির কারনে প্রতিনিয়তই ঘটছে দুর্ঘটনা ঘটছে। যাদের অবহেলা দুর্ঘটনা ঘটছে তাদের বিরুদ্ধে কার্যকর ব্যবস্থা নিবে প্রশাসন এমনটাই প্রত্যাশা করি।
মাদারীপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ওয়াদিয়া শাবাব বলেন, একই পরিবারের ৪জন নিহত হয়েছে। বিষয়টি খুবই দুঃখজনক। নিহতের পরিবার আবেদন করলে প্রশাসনের পক্ষ থেকে আর্থিক সহযোগিতার ব্যবস্থা করা হবে।
