সালিশ মীমাংসার নামে অভিনব কায়দায় চলছে অর্থ বাণিজ্য।


সালিশ মীমাংসার নামে অভিনব কায়দায় চলছে অর্থ বাণিজ্য।
জামালপুর জেলার সরিষাবাড়ী উপজেলাধীন পোগলদিঘা ইউনিয়ন পরিষদে কর্মরত গ্ৰাম পুলিশ সুভাষ রবিদাস গত তিন বছর আগে তার স্বীয় দায়িত্ব স্বরূপ এক অভিযানে থানা পুলিশকে সহযোগিতা করে। সেই সফল অভিযানে থানা পুলিশ মাদক (২৫/৩০ গ্ৰাম হিরোইন) সহ মাজালিয়া গ্ৰামের দিমান নামে এক মাদক কারবারিকে থানা হেফাজতে নেয় এবং মাদক মামলায় আদালতে সোপর্দ করে পরবর্তীতে আদালত তাকে জেলহাজতে প্রেরণ করেন।সেই ঘটনার জের ধরে গত ২৫ মার্চ তিন বছর আগে মাদক মামলায় আটককৃত দিমান সহ আরো ২ জন জুয়েল ও শিবলু পুলিশকে সহযোগিতা কারী গ্ৰাম পুলিশ সুভাষ রবিদাস কে হাসড়া মাজালিয়া মজিবর মোড় এলাকায় গতিরোধ করে পাশ্ববর্তী নির্জন মাঠে নিয়ে বেধড়ক মারধর ও জখম করে। সুভাষ রবিদাসকে পরিবারের সদস্যরা উদ্ধার করে সরিষাবাড়ী হাসপাতালে ভর্তি করে। এবং থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করে।এই ঘটনায় ২৮ মার্চ স্বপ্রণোদিত হয়ে রুদ্র বয়ড়া ২১শে মোড় ইট ভাটায় মীমাংসার নামে সালিশ দরবারের আয়োজন করে পোগলদিঘা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মামুনুর রশিদ ফকির, সাধারণ সম্পাদক রাশেদুল ইসলাম রঞ্জু, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি লিটন তালুকদার, সম্পাদক সোহাগ মিয়া, যুবদল সভাপতি সুমন ফকির ও জাকির হোসেন সহ তাদের অনুসারী আরও কয়েকজন। সালিশ বৈঠক চলাকালে সরিষাবাড়ী উপজেলা শ্রমিক দলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মনিরুজ্জামান আদম উপস্থিত ছিলেন। কিন্তু আশ্চর্যের বিষয় হচ্ছে কথিত বিচারকগণ এবং বিবাদীরা উপস্থিত থাকলেও সেই সালিশে বাদি বা ভূক্তভূগী সুভাষ রবিদাসকে ডাকা হয়নি এমনকি তাকে সালিশ সম্পর্কে জানানোই হয়নি।উক্ত সালিশ দরবারে বিচার শেষে সালিশিয়ান মামুন ফকির বাদী/ভূক্তভূগী সুভাষ রবিদাসের চিকিৎসা খরচ বাবদ বিবাদী তিনজনকে আর্থিক জরিমানা ধার্য করে। দিমান-৩০০০০ টাকা, জুয়েল-১৫০০০ টাকা, শিবলু-১৫০০০ টাকা মোট ৬০ হাজার টাকা এবং তা আদায় করে নিজেদের কাছে গচ্ছিত রাখে।৩ এপ্রিল প্রতিবেদক উক্ত সালিশ ও জরিমানা সম্পর্কে জানতে চাইলে গ্ৰাম পুলিশ সুভাষ রবিদাস জানায় এ বিষয়ে এখন পর্যন্ত তাকে এক টাকাও দেয়নি এমনকি জরিমানা যে আদায় করা হয়েছে সেটাও তাকে জানানো হয়নি।পরবর্তীতে এ বিষয়ে এলাকায় কানাঘুষা শুরু হলে এপ্রিলের তৃতীয় সপ্তাহে কোন এক সময় অন্যতম সালিশিয়ান ইউনিয়ন বিএনপির সম্পাদক রঞ্জু মিয়া জরিমানার ৬০ হাজার টাকা থেকে বাদি/ভূক্তভূগী সুভাষ রবিদাসকে ১৫ হাজার টাকা দিয়ে দফারফা করে।সালিশে উপস্থিত একজন নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন এধরনের সালিশ দরবার এখানে প্রায়শই বসানো হচ্ছে। সে আরো বলেন এহেন কর্মকান্ড বন্ধ হওয়া উচিৎ, গ্ৰাম্য সালিশ বিচারের নামে এধরনের অবিচার দেশের প্রচলিত আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি প্রদর্শনের সামিল।