‘সেখানে পৌঁছে আমি নির্বিকার ছিলাম’


আনটারমায়ার গার্ডেন কনজারভেন্সিতে যাওয়ার পরিকল্পনা হঠাৎ করেই। সেদিন সকালটা ছিল খুব সুন্দর। ঘুম থেকে উঠে অল্প কিছু খেয়েই চলে গেলাম স্টারবাক্সে। একটা কফি নিয়ে শুরু হলো আমাদের যাত্রা। বাসা থেকে ১ ঘণ্টা দূরে আনটারমায়ার গার্ডেনে যেতে খুব বেশি ঝামেলা হয়নি। উইকেনড থাকাতে যানজট কম ছিল। ফলে দ্রুতই চলে গেলাম সেখানে। সেখানে পৌঁছে আমি খুব অবাক হয়েছিলাম। এটা এত সুন্দর ছিল যে আমি নির্বিকার ছিলাম। আবহাওয়া উষ্ণ ছিল। এটি ছিল প্রায় ৭৮ ডিগ্রি ফারেনহাইট। আমরা অনেক ফুল দেখেছি। শুধু তাই নয়, হাডসন নদী সূর্যের আলো প্রতিফলিত করছিল। হাডসন নদীর জলের রঙ ছিল রূপালী। তাই এটি ক্যারিশম্যাটিক লাগছিল, আমরা কিছুক্ষণ নদীর ধারে বসেছিলাম। দেখলাম অনেক শিক্ষার্থী তাদের সমাবর্তনের ফটোশুটের জন্য এসেছে। ১৮৬৫ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বৃহত্তম টুপি কারখানার মালিক জন টি ওয়ারিং ‘বোলমার এস্টেট’ থেকে ৩৩ একর জমি কিনেছিলেন। পরে স্থপতি জন ডেভিস হ্যাচকে দিয়ে এটির ওপর একটি বুরুজ অট্টালিকা তৈরি করেছিলেন, যার নাম দিয়েছিলেন ‘গ্রেস্টোন’। ১৮৭৬ সালে ওয়ারিং কিছু আর্থিক বিপর্যয়ের সম্মুখীন হলে বোস্টনে চলে যান। আর ৯৯ রুমের প্রাসাদটি ভাড়ার জন্য রেখে দেন। ১৮৭৯ সালে ওয়ারিংয়ের কাছ থেকে প্রাসাদটি ভাড়া নেন নিউইয়র্ক রাজ্যের একজন সাবেক গভর্নর এবং রাজনীতিবিদ স্যামুয়েল জে. টিল্ডেন। এরপর তিনি এটি কিনে নেন। রাজনীতিবিদ টিল্ডেন উদ্যান পালনে আগ্রহী ছিলেন এবং শোভাময় গাছের পাশাপাশি ফল ও শাকসবজি লাগিয়ে ১৩টি গ্রিনহাউস তৈরি করেছিলেন। ১৮৮৬ সালের ৪ আগস্ট গ্রেস্টোন মারা যান। এরপর ১৮৯৯ সালে টিল্ডেনের এস্টেটগুলো নিলামে কিনে নেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রথম আইনজীবী স্যামুয়েল আনটারমায়ার। তারপর তিনি নিজের নামে আনটারমায়ার পার্ক এবং গার্ডেন নির্মাণ করেন।