সৈকতে চেয়ারে বসে বিপাকে বাইডেন!


সৈকতে চেয়ারে বসে বিপাকে বাইডেন!
দায়িত্ব ছাড়ার পর যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম স্বাধীনতা দিবসটি বেশ আরামেই কাটাতে চেয়েছিলেন দেশটির সাবেক প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। সেজন্যই আগের দিন বৃহস্পতিবারই (৩ জুলাই) ক্যালিফোর্নিয়ার মালিবু শহরে ছেলে হান্টার বাইডেনের বাড়ির কাছে সমুদ্র সৈকতে যান সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট। সেখানে বিচ চেয়ারে বসা নিয়ে বেশ বিপাকেই পড়তে হয়েছে বাইডেনকে।শুক্রবার নিউইয়র্ক পোস্টের এক প্রতিবেদন ছবিসহ খবরটি প্রকাশ করা হযেছে। ছবিতে বসতে গিয়ে ‘পড়ে গেছেন ’মনে হলেও আদতে সৈকতের বালুতে চেয়ার ঠিক করতে গিয়েই পড়ে যান বাইডেন।তবে পরে দেখা যায়, চেয়ারের পাটা খুলতে গিয়ে কিছুটা কষ্ট করছেন। হাঁটুতে ভর দিয়ে চেয়ার খোলার চেষ্টা করছেন তিনি। শেষমেশ অবশ্য খুলতে সক্ষম হলেন। একবার চেয়ারে বসে গেলেন, তারপর সানবাথ নিলেন। পাশে ছিলেন তার স্ত্রী জিল বাইডেন, আর নাতি-নাতনি ফিনেগান ও বেউ বাইডেন জুনিয়র একপাশে বালি নিয়ে খেলা করছিলেন।বাইডেন সবচেয়ে বেশি ছুটি কাটানো মার্কিন প্রেসিডেন্টদের একজন। নিজের ১ হাজার ৪৬৩ দিন মেয়াদের অন্তত ৫৭৭ দিন ছুটি কাটিয়েছেন তিনি। এর মধ্যে সেন্ট ক্রয়িক্স, নানটাকেট, রেহোবথ বিচ ছিল তার নানা ছুটি কাটানোর অন্যতম স্থান। সেখানে তিনি পরিবারকে নিয়ে সময় কাটাতেন।সেসময় তার একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছিল, যেখানে তিনি বিচে হাঁটতে গিয়ে প্রায় পড়ে গিয়েছিলেন। এমনই দৃশ্য দেখে কিছু সমালোচক প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছিলেন, প্রেসিডেন্ট কি শারীরিকভাবে সক্ষম?বাইডেনের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছিল, প্রেসিডেন্ট হিসাবে তার গুরুত্বপূর্ণ অনেক সিদ্ধান্তে হয়তো তার অজান্তেই অন্যরা হস্তক্ষেপ করেছেন। বিশেষ করে নির্বাহী আদেশ, ক্ষমা আদেশের বিষয়টি নিয়ে অনেকের মনে সন্দেহ ছিল। এমনকি, কিছু ক্ষমা আদেশ অটোমেটিক সাইনিং মেশিন দিয়ে সই করা হয়েছিল কিনা, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল।বাইডেন এসব অভিযোগে উত্তেজিত হয়ে বলেছিলেন, আপনি আমাকে মানসিকভাবে অক্ষম মনে করতে পারেন, কিন্তু আমি ঠিক আছি। আমি যদি চাই, আমি তাদের দুজনকেও মাটিতে নামিয়ে দিতে পারব।তিনি আরও স্পষ্টভাবে বলেন, যে কোনো ক্ষমা আদেশ বা নির্বাহী আদেশ আমি নিজেই নিয়েছি, এসব নিয়ে কোনো সন্দেহ থাকলে তা ভুল। এখন বাইডেনের ব্যক্তিগত চিকিৎসক ড. কেভিন ও’কনরকে ৯ জুলাই হাউজ কমিটির সামনে ডাকানো হয়েছে এবং তাকে প্রশ্ন করা হবে বাইডেনের শারীরিক অবস্থা, বিশেষ করে তার প্রস্টেট ক্যানসারের ব্যাপারে। এভাবে বাইডেনের শারীরিক এবং মানসিক অবস্থার ওপর বিতর্ক বাড়ছে, কিন্তু তিনি এসব অস্বীকার করে বলছেন, তিনি তার কাজের প্রতি আত্মবিশ্বাসী।