সোশ্যাল মিডিয়া ‘টেস্ট’-এ পাস হলে তবেই মিলবে আমেরিকার ভিসা
অনলাইন নিউজ ডেক্স

গত কয়েক মাস ধরে মার্কিন ভিসা নিয়ে চলছে টানাপোড়েন। যদিও সেই সমস্যা এবার মিটতে চলেছে বলেই মনে করছেন ওয়াকিবহাল মহলের একাংশ। এবার ঢাকার মার্কিন দূতাবাসের তরফে জানানো হল, স্টুডেন্ট ভিসা ও এক্সচেঞ্জ ভিজিটর ভিসায় যাঁরা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে আসতে চান, তাঁদের সোশ্যাল মিডিয়ার সমস্ত তথ্য দিতে হবে। কোনও রকম বিতর্কিত পোস্ট বা মন্তব্য দেখা গেলেই আর ভিসা মিলবে না। জাতীয় নিরাপত্তা ও মার্কিন জনগণের নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখেই এই সিদ্ধান্ত।বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) দূতাবাসের ফেসবুক পেজে ভিসা সংক্রান্ত এই তথ্য শেয়ার করা হয়েছে।
সেখানে উল্লেখ করা হয়, ভিসা আবেদনকারীদের ডিএস-১৬০ ভিসা আবেদন ফর্মে গত ৫ বছরে ব্যবহৃত সব সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের ব্যবহারকারী নাম বা হ্যান্ডেল উল্লেখ করা বাধ্যতামূলক। আবেদনকারীরা তাদের আবেদনপত্রে দেওয়া সব তথ্য সঠিক ও সত্য বলে স্বীকার করে তবেই তা স্বাক্ষর করেন ও জমা দেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের তথ্য গোপন করলে ভিসা প্রত্যাখ্যানের পাশাপাশি ভবিষ্যতে ভিসা পাওয়ার অযোগ্যতা তৈরি হতে পারে।
দূতাবাস সূত্রে জানা গেছে, এফ, এম এবং জে ক্যাটিগরিতে ভিসা দেওয়ার আগে প্রত্যেক আবেদনকারীর যাবতীয় তথ্য খুঁটিয়ে দেখা হবে। নতুন নির্দেশ অনুযায়ী এই স্ক্রিনিং পদ্ধতির মধ্যে দিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তার ক্ষেত্রে কারা বিপজ্জনক বা কাদের এদেশে প্রবেশের অধিকার নেই, তাও চিহ্নিত করা হবে। আর সেই কারণে যাঁরা এফ এবং এম ক্যাটিগরি (স্টুডেন্ট ভিসা) ও জে ক্যাটেগরিতে (এক্সচেঞ্জ ভিজিটর) ভিসার আবেদন করবেন, তাঁদের প্রত্যেককে নিজেদের সোশ্যাল মিডিয়ার প্রোফাইল ‘পাবলিক’ করে রাখতে হবে।বিশেষজ্ঞদের মতে, প্যালেস্টাইন ইস্যুতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে প্রতিবাদে সরব হন বহু পড়ুয়া। তাঁদের একটা বড় অংশই বিভিন্ন দেশ থেকে পড়তে এসেছিলেন। এই ঘটনায় তীব্র অস্বস্তিতে পড়ে ডোনাল্ড ট্রাম্প সরকার। তারপরেই একাধিক পড়ুয়াকে চিহ্নিত করে নিজেদের দেশে ফেরত পাঠানো হয়। এরপরেই সিদ্ধান্ত হয়েছে, পড়ুয়া বা এক্সচেঞ্জ প্রোগ্রামের জন্য আবেদনকারীদের সোশ্যাল মিডিয়ার পোস্ট খতিয়ে দেখবেন মার্কিন কনস্যুলার অফিসাররা। সেখানে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র-বিরোধী কোনও রকম পোস্ট থাকলে আবেদনকারীকে ভিসা দেওয়া হবে না।
এদিকে, সম্প্রতি বিদেশী শিক্ষার্থীদের জন্য ভিসা প্রক্রিয়া পুনরায় শুরু করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। ভিসা প্রক্রিয়া পুনরায় শুরু করার সময়, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কনস্যুলেটগুলিকে সেই সব শিক্ষার্থীদের অগ্রাধিকার দিতে বলেছে যারা সেইসব কলেজে ভর্তি হতে চান যেখানে বিদেশী শিক্ষার্থীর সংখ্যা ১৫ শতাংশের কম।
