‘স্ত্রীকে সম্মান করুন, তাহলে বিনা হিসেবে বেহেশতে প্রবেশ করবেন’


‘স্ত্রীকে সম্মান করুন, তাহলে বিনা হিসেবে বেহেশতে প্রবেশ করবেন’
ইসলাম নারীকে দিয়েছে যথাযোগ্য সম্মান। ইসলামের বরণ্যে মহামনীষী ও মহামানবরাও নারীর প্রতি সম্মান জানানোর ওপর জোর দিয়ে গেছেন। মহানবীর (সা.) এমন এক যুগে আবির্ভাব ঘটেছিল, যখন কন্যাদেরকে জীবন্ত কবর দেওয়া হতো। মহানবী (সা.) নিজ কন্যা ফাতিমাকে নিজের চোখের আলো ও দেহের অংশ বলে উল্লেখ করেছিলেন। অথচ পশ্চিমা অনেক মহল ও তাদের নিয়ন্ত্রিত গণমাধ্যমগুলো ইসলাম-বিদ্বেষের অংশ হিসেবে ইসলাম নারী জাতিকে ন্যায্য সম্মান ও অধিকার দেয়নি বলে মিথ্যাচার চালিয়ে আসছে।এর মোক্ষম জবাবের অংশ হিসেবে এখানে নারী সম্পর্কে মহানবীর (সা.) ও তাঁর আহলে বাইতের কয়েকটি বাণী বা হাদিস তুলে ধরা হলো-নারীদের প্রতি আল্লাহর দয়ামহানবী হযরত মুহাম্মাদ (সা.) বলেছেন, মহান আল্লাহ পুরুষের তুলনায় নারীদের প্রতি বেশি দয়াদ্র। আর যে পুরুষ তার স্ত্রী বা নারীদের খুশি করবে, মহান আল্লাহ তাকে বিচার দিবস বা কিয়ামতের দিন খুশি করবেন।ইমাম জাফর আস সাদিক বলেছেন, যারা আমাদের (তথা মহানবীর (সা.) আহলে বাইতের) বেশি পছন্দ করে তারা যেন নিজ স্ত্রী বা নারীদের বেশি দয়া ও স্নেহ করে।মহানবী হযরত মুহাম্মাদ (সা.) বলেছেন, তোমরা একে অপরকে নারীর সঙ্গে ভালো আচরণের পরামর্শ বা উপদেশ দিবে।আমিরুল মু\'মিনিন হযরত আলী (রা.) বলেছেন, নারী সুগন্ধি ফুল, তারা সেবিকা নয়। তোমরা তাদের সঙ্গে সব সময় আপোস করে চলবে, তাদের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করবে ও জীবনকে তোমাদের জন্য সুমিষ্ট করবে।মহানবী হযরত মুহাম্মাদ (সা.) বলেছেন, মহান আল্লাহর কাছে স্ত্রীর পাশে তার স্বামীর বসা মসজিদে এতেকাফ করার চেয়েও বেশি প্রিয়।মহানবী হযরত মুহাম্মাদ (সা.) বলেছেন, তোমরা তোমাদের স্বভাবকে সুন্দর কর, প্রতিবেশীর সঙ্গে দয়ার্দ্র আচরণ কর ও নিজ স্ত্রী বা নারীদের সঙ্গে সম্মানজনক আচরণ কর তাহলে বিনা হিসেবে বেহেশতে যাবে।