স্ত্রীর ভোট পেলেন কিনা তা নিয়ে মাথাব্যথা নেই এমপি প্রার্থীর
অনলাইন নিউজ ডেক্স
তিন বার ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান নির্বাচন করে ফেল করা স্বশিক্ষিত মো. আব্দুল আলী বেপারী এবার লড়বেন আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মানিকগঞ্জ-১ আসন থেকে। স্ত্রীর ভোট পেলেন কিনা তা নিয়ে কোনো মাথাব্যথা নেই ওই এমপি প্রার্থীর।তিনি জানান, স্ত্রী কিংবা তার পরিবারের কোনো সদস্য কিংবা অন্য কেউ তাকে ভোট দিল কিনা সেটি নিয়ে তার কোনো টেনশন নেই। শুধু তার টেনশন তার নিজের ভোটটি ব্যালটে পরেছে কিনা সেটি নিয়ে! নিজের ভোট নিজে দিবে সেটি নিশ্চিত করতে তিনি এমপি নির্বাচনে লড়তে যাচ্ছেন। তিনি ব্যালটে তার ভোট না পেলে দেশের সর্বোচ্চ আদালত পর্যন্ত লড়বেন বলে জানালেন। প্রয়োজনে যে দেশে বিচার পাওয়া যায় সেখানেই যাবেন তিনি।বৃহস্পতিবার দুপুরে মনোনয়নপত্র জমা দান শেষে মানিকগঞ্জ জেলা প্রশাসকের অফিসের বারান্দায় এই প্রতিবেদকের সঙ্গে কথা হয় এমপি প্রার্থী ষাটোর্ধ আব্দুল আলী বেপারীর। আবুল আলী বেপারী ঘিওর উপজেলার সিংজুরী ইউনিয়নের বেড়াডাংগা গ্রামের কিয়ামুদ্দিনের ছেলে।এমপি প্রার্থী আব্দুল আলী বেপারী জানালেন, তিনি ২০১১, ২০১৬ সর্বশেষ ২০২১ সালে তিনি স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করে সব চেয়ে কম ভোট পেয়ে ফেল করেছেন। আমাকে মানুষ ভোট দেয় না! এটি আমি আমার নিজের দেওয়ার জন্য। স্বতন্ত্র হিসেবে তিনি দেখবেন তার নিজের ভোটটি দিতে পারেন কিনা সেটিই দেখার জন্য ভোটে দাঁড়িয়েছেন। আমাকে যদি কারো ভালো লাগে তাহলে সে দিবে না হলে আমার ভোট না হলে আমি আমার ভোটটি আমি নিজে দিব।তিনি আরও বলেন, আমার স্ত্রীসহ বাড়ির লোকজন আমাকে ভোট দিল কিনা সেটি নিয়ে আমার কোনো মাথাব্যথা নেই।পক্ষ থেকে তার কাছে জানতে চাওয়া হয় তিন বার ইউপি চেয়ারম্যান পদে হেরে সরাসরি এমপি পদে নির্বাচন কেন আসলেন? এর জবাবে আব্দুল আলী জানালেন, কেন যেন নির্বাচন আসলেই মন চায় আমি নির্বাচন করি। সেই খায়েশ থেকে মানুষের জন্য কিছু করতে চাওয়া থেকে তার নির্বাচনে আসা।তিনি জানালেন, প্রথম নির্বাচনে ৮ জন প্রার্থীর মধ্যে ষষ্ঠ হয়েছিলেন। আর সর্বশেষ ইউপি নির্বাচনে ৬৩ ভোট পেয়েছিলেন। তিনি এক সময়ে ঢাকায় ইট, বালু সাপ্লাই ব্যবসা করতেন। এখন দু বছর ধরে অবসরে আছেন। শরীরটাও ভালো যাচ্ছে না।বললেন, এমপি হয়ে জনগণের জন্য জানপ্রাণ দিয়ে জনগণের সেবা করতে চাই। আমার স্ত্রী আমাকে নির্বাচন করতে নিষেধ করা স্বত্বেও পালিয়ে এসে মনোনয়ন পত্র কিনেছি।তিনি বলেন, সর্বশেষ ইউপি নির্বাচনের সময় নমিনেশন কিনে স্ত্রীর ভয়ে অন্যের বাড়ি রেখে এসেছিলাম। বাড়ি আসার পর আমার স্ত্রী দা দিয়ে জবাই করতে আসে। পরে দৌড়ে প্রাণে রক্ষা পাই।তিনি বলেন, আমার আয়ু থাকতে যত নির্বাচন হবে সব গুলোতে নির্বাচন করার ইচ্ছে আছে বলে জানান আব্দুল আলী।তার নির্বাচনে আসার পেছনের ইতিহাস বলতে গিয়ে জানালেন, বিএনপির চিফ হুইপ খন্দকার দেলোয়ার হোসেন বেঁচে থাকতে তিনি তার গ্রামের বাড়ি ঘিওরের পাচুরিয়া এসেছিলেন চীফ হুইপের বাড়ির বিল্ডিংয়ের কাজের ইট বালু সাপ্লাই দিতে। তখন তার কাছে কাজটি পাওয়া খন্দকার দেলোয়ারকে একাধিক বার অনুরোধ করে ব্যর্থ হয়ে ফিরে যাওয়ার সময় বলেছিলেন আপনার পায়খানা যাওয়ার রাস্তা আছে কিন্তু আমার গ্রামের বাড়ি যাওয়ার রাস্তাটুকু নেই। সেদিকে নজর দেওয়ার জন্য বলেছিলেন। প্রতি উত্তরে খন্দকার দেলোয়ার বলেছিলেন- আমার মতো কিছু একটা হয়ে রাস্তা করে নিও। সেই কথার মেনে ব্যথা পেয়ে প্রথমে ইউপি নির্বাচন পরে এমপি পদে নির্বাচন করতে এসেছেন।
ডোনেট বাংলাদেশ সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।