হরিণাকুণ্ডুতে অসহায় পরিবারের পাশে আমরাও পারি মানব কল্যাণ স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন
অনলাইন নিউজ ডেক্স
ঝিনাইদহের হরিণাকুণ্ডুতে একটি অসহায় পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছে আমরাও পারি মানব কল্যাণ স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন। সংগঠনটি পরিবারটিকে এক মাসের বাজার করে দিয়েছে। একই সঙ্গে আরও সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছে।জানা গেছে, ওই অসহায় পরিবারটি থাকেন উপজেলার ৩ নং তাহেরহুদা ইউনিয়নের ভবানীপুর গ্রামে। তার স্বামী লক্ষাধিক টাকা ঋনের দায়ে আত্মহত্যা করে মারা গেছেন দুইটি সন্তান ও স্ত্রীকে রেখে। বড় সন্তান অর্পিতা হরিণাকুণ্ডু লালন শাহ কলেজে অনার্স করছে, এবং ছোট কমলমতি ছেলেটা ক্লাস ফাইভের ছাত্র।মেয়েটার কলেজে জাবার মত ভালো পোষাক নেই,নেই জামায়াতের ভাড়া, দুবেলা দু মুঠো ভাত জোটেনা তাদের, মায়ের অবস্থা একদমি খারাপ, শরীরে স্বামী হারানোর শোকে জটিল রোগে ভুগছেন তিনি।তার পরিবার এখন অন্যের কাছে হাত পেতে কোন রকম জীবন অতিবাহিত করছেন। তার শরীরে অনেক জটিল রোগ থাকায় এখন ঠিকমতো কাজও করতে পারেন না।তার আকাশ ভরা চিন্তায় ঘুম আসেনা, ছেলেমেয়ের পড়াশোনা করিয়ে মানুষের মত মানুষ করতে চাই।বড় মেয়ে অর্পিতা জানায় পড়াশোনা শেষ করে বাবা মায়ের স্বপ্ন পুরন করাটা এখন আমার জিবনের চ্যালেন্জ হয়ে দাড়িয়েছে, আমি পড়াশোনার পাশাপাশি যদি কোন একটা কাজ করতে পারতাম তাহলে আমার মায়ের ভালো চিকিৎসা এবং ছোট ভাইটাকে মানুষের মত মানুষ করে গড়ে তুলতে পারতাম, যদি আমাকে কেউ একটা ভালো চাকরির ব্যবস্থা করে দিতে পারেন আমি এবং আমার পরিবার চির কৃতজ্ঞতা জানাতাম ,তাই গ্রামের কিছু ব্যক্তির কাছে আমার অসহায়তার বিষয়টি তুলে ধরি। এই খবর পেয়ে তৎক্ষণাৎ আমরাও পারি মানব কল্যান সংগঠন টিম এক মাসের বাজার করে দেন এবং এবং সবধরনের সহায়তার আশ্বাস দেন।আমরাও পারি মানব সংগঠন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সভাপতি রাজন আহম্মেদ বলেন, আমরা হরিণাকুণ্ডুর সকল ইউনিটের সদস্যদের নিয়ে অসহায় মানুষের সেবা করে যাবো। তিনি এই সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত হয়ে সেবামূলক কাজে অংশ নিতে বিত্তবানদের প্রতি আহ্বান জানান।
ডোনেট বাংলাদেশ সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।