৫ আগস্টের পর জোর করে পদত্যাগ করানো শিক্ষকদের জন্য সুখবর


৫ আগস্টের পর জোর করে পদত্যাগ করানো শিক্ষকদের জন্য সুখবর
২০২৪ সালের ৫ আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের পর বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে জোর করে পদত্যাগ করানো অধ্যক্ষ, প্রধান শিক্ষকসহ অন্য শিক্ষকদের বেতন-ভাতা চালুর নির্দেশ দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এ ছাড়া, জোর করে পদত্যাগের অভিযোগে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ, প্রধান শিক্ষকসহ অন্য শিক্ষকদের বিষয়ে তদন্ত প্রতিবেদন দ্রুত পাঠানোর জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে তাগিদ দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। মঙ্গলবার (৭ অক্টোবর) মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের (মাউশি) উপসচিব (অতিরিক্ত দায়িত্ব) সাইয়েদ এ জেড মোরশেদ আলীর সই করা অফিস আদেশ থেকে এসব তথ্য জানা গেছে। বেতন-ভাতা চালুর নির্দেশ নিয়ে আদেশে বলা হয়, জোর করে পদত্যাগকারী শিক্ষক-কর্মচারীদের তদন্ত চলমান থাকলেও তাদের অনেকের বেতন-ভাতা বন্ধ রয়েছে। ফলে তারা মানবেতর জীবন যাপন করছেন বলে আবেদনপত্রে উল্লেখ করেছেন। চিঠিতে আরও বলা হয়েছে, তদন্ত করে অভিযোগ নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত সংশ্লিষ্ট শিক্ষকদের বেতন-ভাতা চালু রাখা প্রয়োজন। আদেশে বলা হয়, জোর করে পদত্যাগ করা শিক্ষকদের ইলেকট্রনিক ফান্ড ট্রান্সফার (ইএফটি) সিস্টেমে অন্তর্ভুক্ত করে বেতন-ভাতা চালু এবং কোনো কর্মকর্তা বা কর্তৃপক্ষ যদি বেতন-ভাতা চালুর ক্ষেত্রে অসহযোগিতা বা বাধা দেয়, তাদের বিরুদ্ধে বিধিমোতাবেক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এদিকে, ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের পর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষকদের জোরপূর্বক পদত্যাগের অভিযোগ দ্রুত তদন্ত করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে প্রতিবেদন পাঠানোর নির্দেশ দিয়ে বলা হয়েছে, ২০২৫ সালের ১৪ জানুয়ারির নির্দেশনা অনুযায়ী বিভাগ, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে জোরপূর্বক পদত্যাগের ঘটনায় যাদের বিরুদ্ধে যৌক্তিক অভিযোগ রয়েছে, তাদের বিষয়ে তদন্ত করে প্রতিবেদন পাঠানোর সিদ্ধান্ত হয়েছিলো। সে নির্দেশনায় আরও বলা হয়েছিল, তদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পর মন্ত্রণালয় পরবর্তী নির্দেশনা দেবে এবং তদন্ত নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত সংশ্লিষ্ট শিক্ষকদের বেতন-ভাতা চালু থাকবে। এতে আরও উল্লেখ করা হয়, অনেক প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ ও শিক্ষক এখনো তদন্ত প্রতিবেদন না পাওয়ায় বেতন-ভাতা বন্ধ অবস্থায় আছে। ফলে অনেকে মানবেতর জীবনযাপন করছেন বলে মন্ত্রণালয়ে আবেদন করেছেন। বিষয়টি দ্রুত সমাধানের স্বার্থে সংশ্লিষ্টদের তদন্ত কার্যক্রম সম্পন্ন করে জরুরি ভিত্তিতে প্রতিবেদন পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। প্রসঙ্গত, গত বছরের ৫ আগস্ট ক্ষমতার পটপরিবর্তনের পর দেশের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে জোর করে বিভিন্ন পর্যায়ের শিক্ষককে পদত্যাগ করতে বাধ্য করা হয়। এতে অনেক শিক্ষকের বেতন বন্ধ হয়ে যায়।