আবেদনের পাঁচ মিনিটেই মিলছে ফ্যামিলি ভিসা
অনলাইন নিউজ ডেক্স
দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ থাকার পর কুয়েতে আবারও উন্মুক্ত হয়েছে ফ্যামিলি ভিজিট ভিসা। নতুন ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম চালুর ফলে আবেদন প্রক্রিয়া আগের তুলনায় আরও সহজ হয়েছে। আবেদনকারীর তথ্য আপলোড ও যাচাইকরণ সম্পন্ন হওয়ার মাত্র পাঁচ মিনিটের মধ্যেই ই-মেইলে পৌঁছে যাচ্ছে ই-ভিসা—ফলে স্বস্তি ফিরেছে দেশটিতে থাকা তিন লাখেরও বেশি বাংলাদেশি প্রবাসীর মাঝে।
আগের ৩০ দিনের পরিবর্তে এবার ভিজিট ভিসার মেয়াদ বাড়িয়ে ৯০ দিন করা হয়েছে। শিথিল করা হয়েছে বেতন-শর্তও। ফলে এখন শুধু স্ত্রী-সন্তান নয়, চার ডিগ্রি আত্মীয়—খালা, কাকা, ভাই-বোন, দাদা-দাদী, নাতি-নাতনি, শ্বশুর-শাশুড়ি বা ছেলে-মেয়ের স্ত্রী/স্বামীকেও কুয়েতে আনা সম্ভব হবে।
সম্পর্ক প্রমাণে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে জন্মসনদই যথেষ্ট হলেও কখনো বিবাহ সনদ লাগতে পারে। সব নথি আরবি ভাষায় জমা দিতে হবে—অন্য ভাষার নথি অনুমোদিত অনুবাদ অফিস থেকে অনুবাদ করতে হবে।
জিসিসি অঞ্চলের পেশাজীবীদের জন্য সুবিধা
জিসিসি দেশগুলোর বহু পেশাজীবী অনলাইনে বা আগমনের সময় সহজেই পর্যটন ভিসা পাবেন। তালিকায় রয়েছে কোম্পানি চেয়ারম্যান, এমডি, কূটনীতিক, বিচারক, বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক, গোল্ডেন ভিসাধারী, ব্যবসায়ী, বিনিয়োগকারী, হিসাবরক্ষক, চিকিৎসক, প্রকৌশলী, শিক্ষক, পাইলট, মিডিয়া কর্মীসহ আরও অনেক পেশা। আবেদনকালে পেশা যাচাই স্বয়ংক্রিয়ভাবে সম্পন্ন হবে। একই সঙ্গে আবেদনকারীর কুয়েতে নিজস্ব অথবা আমন্ত্রণকারীর ঠিকানা দেওয়া বাধ্যতামূলক।
ইসরায়েল বাদে সবার জন্য উন্মুক্ত
ইসরায়েলের নাগরিক ছাড়া বিশ্বের সব দেশের নাগরিকই নতুন ভিসা সুবিধা পাবেন। তবে ভিজিট ভিসায় কাজ করা বা ভিসা পরিবর্তনের চেষ্টা সম্পূর্ণ অবৈধ। এসব আইন লঙ্ঘন করলে ভিজিটরকে নির্বাসন এবং স্পন্সরকে কঠোর শাস্তির মুখে পড়তে হতে পারে।
মাল্টিপল এন্ট্রি ভিসা চালু
নতুন নীতিমালা অনুযায়ী ফ্যামিলি ভিজিট ভিসায় সর্বোচ্চ তিন মাস অবস্থানের সুযোগ থাকছে। পাশাপাশি চালু হয়েছে এক বছরের মাল্টিপল এন্ট্রি ভিজিট ভিসা—যেখানে প্রতিবার দেশে প্রবেশের পর সর্বোচ্চ এক মাস অবস্থান করতে হবে।
বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, ভিজিট ভিসার অপব্যবহার হলে বাংলাদেশিদের জন্য এ সুবিধা আবারও বন্ধ হয়ে যেতে পারে। তাই ভিসার মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই স্বজনদের দেশে ফেরত পাঠাতে প্রবাসীদের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন তারা।
