‘হৃদিতার প্রেমের ফাঁদ’ থেকে সাবধান!
অনলাইন নিউজ ডেক্স
ফেসবুকে তার আইডির নাম হৃদিতা রহমান। প্রোফাইলে আকর্ষণীয় ছবি। তার মোহনীয় রূপে আকৃষ্ট হয়ে অনেকেই ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট পাঠান। এরপরই শুরু হয় আসল খেলা। কয়েকদিনের কথোপকথনে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে দেখা করার জন্য ডাকে হৃদিতা। এরপর টার্গেট করা ব্যক্তিকে সুবিধাজনক স্থানে নিয়ে আটকে ফেলা হয়। কেড়ে নেওয়া হয় তাঁর মোবাইল ফোন ও টাকাসহ সঙ্গে থাকা মূল্যবান সামগ্রী। তবে হৃদিতার দেখা মেলে না।সম্প্রতি এমন একটি ঘটনার শিকার হন নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার বাসিন্দা মো. ইউনুস। ভার্চুয়াল জগতের হৃদিতার প্রেমের ফাঁদে পড়ে গত ১৪ মার্চ তিনি ঢাকায় আসেন। একইভাবে জিম্মি করে তার টাকা-ফোন কেড়ে নেওয়া হয়।পুলিশ বলছে, প্রেমের ফাঁদ পেতে সর্বস্ব হাতিয়ে নেওয়ার এমন বেশ কিছু চক্র রাজধানীতে সক্রিয় রয়েছে। তাদের আইনের আওতায় আনতে কাজ করছে পুলিশ।ওয়ারী থানার ওসি মোস্তাজিরুর রহমান বলেন, প্রতারকরা নানা কৌশলে অনলাইনে সক্রিয়। এরমধ্যে প্রেমের ফাঁদ পেতে ডেকে নিয়ে ছিনতাই বা মুক্তিপণ আদায় একটি কৌশল। সম্প্রতি এমন ফাঁদে পড়া ইউনুসকে উদ্ধার ও চক্রের সদস্যদের গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।ওসি জানান, ওয়ারীর সেন্ট্রাল উইমেন কলেজ প্রাঙ্গণে ইউনুসের সঙ্গে কথিত হৃদিতার দেখা হওয়ার কথা ছিল। তিনি সেখানে পৌঁছালে হৃদিতার কাছে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে এগিয়ে যায় আদনান ও জিসান নামে দু\'জন। তাদের সঙ্গে ইউনুস যান এক গলিতে। তিনি এগোতেই থাকেন। একপর্যায়ে বুঝতে পারেন, বিপদে পড়েছেন তিনি। ততক্ষণে তাকে একটি লেপ-তোশকের গুদামে আটকে ফেলা হয়েছে। সেখানে আগে থেকেই অবস্থান করছিল তামিমসহ চক্রের অপর সদস্যরা। তারা মোবাইল ফোন, দামি ঘড়ি ও নগদ টাকা ছিনিয়ে নেওয়ার পর মুক্তিপণ চেয়ে ফোন দেয় ইউনুসের এক বন্ধুকে। তিনি পরিস্থিতি বুঝে সরাসরি ওয়ারী থানা পুলিশের সহায়তা চান। পরে ওয়ারী থানা পুলিশের একটি দল সেখানে অভিযান চালায়।পুলিশ জানায়, চক্রের মূল হোতা আদনান এর আগেও ফেসবুকে নারী সেজে অন্তত ১২ জনকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে লুটপাট করেছে। তার সঙ্গী ছিল জয়। সেসব ঘটনায় ভুক্তভোগীরা লোকলজ্জার ভয়ে পুলিশের কাছে অভিযোগ করেননি।
ডোনেট বাংলাদেশ সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।