রোদের তাপে রেললাইন বাঁকার শঙ্কা, ট্রেন চালাতে সতর্কতা


তীব্র গরমে রেললাইন বেঁকে গিয়ে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে এই আশঙ্কায় সতর্কতার সঙ্গে ট্রেন চালানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যদিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গুজব ছড়ায় ঘণ্টায় ৩০ কিলোমিটার গতিতে ট্রেন চালানোর নির্দেশ হয়েছে। তবে রেলওয়ের মহাপরিচালক কামরুল আহসান বলেছেন, গতি কমানো নয়, সতর্কতার সঙ্গে ট্রেন চালানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সপ্তাহখানেক ধরেই দেশের অধিকাংশ এলাকায় তাপপ্রবাহ বইছে। শনিবার চুয়াডাঙ্গায় দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৪২ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। খুলনা বিভাগের অধিকাংশ স্থানে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি ছাড়িয়েছে। ঢাকা, রাজশাহীর তাপমাত্রাও ৪০ ডিগ্রি ছাড়িয়ে গেছে। রেলওয়ের পশ্চিমাঞ্চলের মহাব্যবস্থাপক অসীম কুমার তালুকদার বলেন, উচ্চতাপে ইস্পাতের তৈরি রেললাইন সম্প্রসারিত হয়। নির্ধারিত মাত্রার চেয়ে বেশি সম্প্রসারিত হলে জোড়ার স্থানগুলোতে রেললাইন বেঁকে যেতে পারে। ট্রেন চলাচলের সময় চাকার সঙ্গে রেলাইনের ঘর্ষণে আরও তাপ উৎপন্ন হয়। ফলে অতি তাপে লাইন বেঁকে ট্রেন লাইনচ্যুত হয়ে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। কোথাও বাঁক তৈরি হয়েছে কিনা, তা দেখতে রেললাইন পরিদর্শন ও নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। যেসব এলাকায় লাইন দুর্বল সেখানে সতর্কতার সঙ্গে ট্রেন চালাতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। গতি কমিয়ে কত হবে তা লাইন ও ট্রেনের অবস্থার ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নেবেন লোকোমাস্টার (চালক)। বিভিন্ন জায়গা থেকে ছবি আসছে, তাপপ্রবাহের কারণে রেললাইনে পানি ঢালা হচ্ছে। রোদ থেকে আড়াল করতে রেল ট্র্যাকের সংযোগস্থলে কাদামাটি, কচুরিপানা দেওয়া হচ্ছে। রেলওয়ের পূর্বাঞ্চলের প্রধান প্রকৌশলী আবু জাফর মিঞা এ ব্যাপারে বলেছেন, রেলওয়ের থার্মোমিটার হয়েছে। ৪৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি তাপমাত্রা হলে ট্রেন চালানো বিপজ্জনক। সে কারণে দিনের নির্দিষ্ট সময়ে সতর্কতার সঙ্গে ট্রেন চালানোর বিষয়ে বলা হয়েছে। বেলা ১২টা থেকে বিকেল চারটা পর্যন্ত তীব্র রোদ থাকছে। এই সময়ের জন্য সতর্ক করা হয়েছে। বিকেল থেকে তাপমাত্র কমছে। রাতে স্বাভাবিক তাপমাত্রায় ট্রেনও স্বাভাবিক নিয়মে চলছে।