প্রধানমন্ত্রী যে কথা দেন, তা রাখেন: শিক্ষামন্ত্রী


শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী যে কথা দেন, সেই কথা তিনি রাখেন। তিনি আজ পর্যন্ত আমাদের যা কথা দিয়েছেন, সবকিছু দিয়েছেন এবং আগামীতেও দিবেন ইনশাআল্লাহ। এসব কাজের পথে কেউ কেউ বাধা তৈরি করার চেষ্টা করেন, কিন্তু সেটা কখনো টিকবে না। কারণ শুভবুদ্ধির কাছে কখনো অশুভ বুদ্ধি দাঁড়াতে পারে না। বুধবার দুপুরে চাঁদপুর শহরের বাবুরহাট স্কুল অ্যান্ড কলেজ মাঠে বঙ্গবন্ধু ও বঙ্গমাতা গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্টের পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠান শেষে আওয়ামী লীগ সরকার প্রসঙ্গে বিদেশি মিডিয়া ও ভারতের আনন্দবাজার পত্রিকায় বিভিন্ন প্রতিবেদন সম্পর্কে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। শিক্ষামন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ যে অপ্রতিরোধ্য গতিতে এগিয়ে চলছে তা দেশেই নয়, সারা বিশ্বের সবাই জানেন। সম্প্রতি জি-২০ সম্মেলনে আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যেভাবে সম্মানিত হয়েছেন এবং সম্মানিত অতিথিরা যেভাবে আমাদের দেশে আসছেন সবকিছু মিলিয়ে আপনাদের কি মনে হয়। কোথায় কিংবা কোন পত্রিকায় গিয়ে কে কোন কথা বলল তাতে কিছু যায় আসে! বাংলাদেশ একটি স্বাধীন সার্বভৌম দেশ এবং এ দেশটি বঙ্গবন্ধু কন্যার নেতৃত্বে যে আদর্শের ভিত্তিতে তৈরি হয়েছিল তা অসাম্প্রদায়িক, গণতান্ত্রিক, একটি উদার গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ। যেখানে কোনো বৈষম্য, অত্যাচার, নির্যাতন ও নিপীড়ন থাকবে না। সে রকম একটি উন্নত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়বার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এগিয়ে চলছেন। তিনি বলেন, সামনে নির্বাচন। আমরা নির্বাচনমুখী দল। আমরা জনগণের রায়ে বিশ্বাস করি। আমাদের সমস্ত চেষ্টা দিয়ে জনগণের সেবা করেছি। তারা আমাদের সুযোগ দিয়েছে গত ১৫ বছর কাজ করার। তারও আগে বঙ্গবন্ধু কন্যাকে ১৯৯৬ সাল থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত কাজ করার সুযোগ দিয়েছেন। জনগণের সঙ্গে দেওয়া কথা রেখেছি। এই চাঁদপুরে আমরা জনগণকে যা কথা দিয়েছি তা রেখেছি। আশা করছি জনগণ আবারো আমাদের ওপর আস্থা ও বিশ্বাস রেখে সেবা করার সুযোগ দিবেন। ‘সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অন্যরা যেভাবে অপপ্রচার চালাচ্ছে তার বিপরীতে আওয়ামী লীগের উন্নয়ন প্রচার কার্যক্রম খুবই দুর্বল’- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, আমাদের নেতাকর্মী সবার প্রতি আবেদন থাকবে, আমাদের যা কিছু ভাল আছে এবং আমাদের অর্জনগুলোর কথা, একই সঙ্গে আমাদের বিরোধী সে অপশক্তি, যারা ’৭১, ’৭৫ ও ২০০৪ এর খুনি চক্র, যারা ২০১৩-১৪ সালে অগ্নিসন্ত্রাস করেছে। তাদের যে অপকর্ম সেটাও মানুষের কাছে তুলে ধরতে হবে। সাইবার ক্ষেত্রটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আমি আশা করি আমাদের নেতাকর্মীরা সেখানে তৎপর ও সক্রিয় হবেন। কিন্তু সাইবার ওয়ার্ল্ডে যাই থাকুক। মানুষ চোখ খুললেই তার আশপাশে বা তার জীবন দিয়ে দেখতে পান শেখ হাসিনার সরকার আমলে তার জীবনে কি ব্যাপকভাবে মান উন্নত হয়েছে। চাঁদপুর শহর সংরক্ষণ পুনর্বাসন প্রকল্প অনুমোদন প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, এই প্রকল্পটি অনুমোদনের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট সব মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীসহ সবাই অভূতপূর্ব সহযোগিতা পেয়েছি, তাদের প্রতি আমি গভীরভাবে কৃতজ্ঞ। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষক স্বল্পতা সম্পর্কে দীপু মনি বলেন, কোথাও কোথাও আমাদের শিক্ষক স্বল্পতা রয়েছে। শিক্ষক স্বল্পতা দূর করবার জন্য আমরা নানারকম কাজ করছি। পাহাড়, হাওড় ও চরাঞ্চলগুলোতে শিক্ষক স্বল্পতা রয়েছে এটিই বাস্তবতা। সেই বাস্তবতাকে মেনে নিয়ে আমরা কিভাবে প্রযুক্তিকে ব্যবহার করে সে স্বল্পতার অসুবিধাকে দুর করতে পারি সে লক্ষ্যে কাজ করছি। এ সময় চাঁদপুর সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম নাজিম দেওয়ান, চাঁদপুর পৌরসভার মেয়র মো. জিল্লুর রহমান জুয়েল, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) ইয়াসির আরাফাত, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সাখাওয়াত জামিল সৈকত প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।