সিলেটের গ্যাসক্ষেত্রে তেলের সন্ধান


সিলেট গ্যাসক্ষেত্র ১০ নম্বর কূপের প্রথম স্তরে তেলের সন্ধান পাওয়া গেছে। রোববার দুপুরে সচিবালয়ে প্রেস ব্রিফিংয়ে বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ এ তথ্য জানান। বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী জানান, সিলেট গ্যাসক্ষেত্র ১০ নম্বর কূপে তেলের সন্ধান পাওয়া গেছে। সেখানে ৩৫ ব্যারেল তেলের প্রবাহ পাওয়া যাচ্ছে। তেলের মজুদের বিষয়ে বিস্তারিত জানা যাবে ৩ থেকে ৪ মাস পর। তিনি আরও জানান, তেল ছাড়াও সেখানে ৪৩.৬ থেকে ১০৬ বিলিয়ন ঘন মিটার গ্যাসের গ্যাসের মজুদও মিলেছে। এখান থেকে দৈনিক ৫০০ থেকে ৬০০ ব্যারেল তেল পাওয়া সম্ভব বলে জানান প্রতিমন্ত্রী। নসরুল হামিদ বলেন, “সিলেট-১০ নম্বর কূপের ২৫৭৬ মিটার গভীরতায় খনন সম্পন্ন হয়েছে। কূপের চাটি স্তরে গ্যাসের উপস্থিতি পাওয়া যায়। নীচের স্তরের ২৫৪০-২৫৫০ মিটারে টেস্ট করে ২৫ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাসের প্রবাহ পাওয়া যায়, এখানে ফ্লোয়িং প্রেসার ৩২৫০ পিএসআই। মজুদের পরিমাণ ৪৩-১০০ বিলিয়ন ঘনফুট। “২৪৬০-২৪৭৫ মিটার গভীরতায় আরো একটি ভালো গ্যাস স্তর পাওয়া যায়, এখানে টেস্ট করলে ২৫-৩০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস পাওয়া যাবে বলে আশা করা যায়।“ জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী বলেন, “২২৯০-২৩১০ মিটার গভীরতায়ও গ্যাসের উপস্থিতি পাওয়া যায়। আর ১৩৯৭-১৪৪৫ মিটার গভীরতায় আরো একটি জোন পাওয়া যায়, যেখানে ৮ ডিসেম্বর পরীক্ষায় তেলের উপস্থিতি জানা যায়, প্রাথমিকভাবে যার এপিআই গ্রাভিটি ২৯.৭ ডিগ্রি।“ এর আগে সিলেটের হরিপুরে ১৯৮৬ সালে তেলের মজুদ পাওয়া যায়।