বিএনপির ৭ নেতাকর্মী কারাগারে


নওগাঁর রাণীনগরে বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে করা মামলায় বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের ৭ নেতাকর্মীকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। ওই ৭জন নেতাকর্মীরা হাইকোর্ট থেকে ছয় সপ্তাহের আগাম জামিনে ছিলেন। মঙ্গলবার দুপুরে নওগাঁ আদালতে হাজির হয়ে আবার জামিন চাইলে জামিন নামঞ্জুর করে আসামিদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন নওগাঁর জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক আবু শামীম আজাদ। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আসামিদের আইনজীবী সাব্বির হোসেন। তিনি বলেন, আদালত তাদের সবাইকে কারাগারে পাঠিয়েছেন। আমরা পরে আবার জামিন চাইব। কারাগারে পাঠানো বিএনপির নেতাকর্মীরা হলেন- রাণীনগর উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আতিকুজ্জামান জাপান, মোসারব হোসেন, সদস্য নয়ন খাঁন লুলু, উপজেলা যুবদলের জ্যেষ্ঠ যুগ্ন আহ্বায়ক মোজাক্কির হোসেন, যুগ্ন আহ্বায়ক ফরহাদ আলী মন্ডল, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব মাহবুব হাসান বেলাল ও বড়গাছা ইউনিয়ন যুবদলের যুগ্ন আহ্বায়ক একলাস আলী মন্ডল। আদালত সূত্রে জানা গেছে, গত বছরের ২ নভেম্বর রাত সাড়ে ১০টার দিকে রাণীনগর উপজেলার ঝিনা এলাকায় দলীয় সভা শেষে যুবলীগের ১০-১৫ কর্মী মোটরসাইকেল করে বাড়ি ফিরছিলেন। ফেরার পথে ঝিনা-রাণীনগর সড়কের দিঘীরপাড় ছোট ব্রিজ এলাকায় পৌঁছালে তাদের ওপর হামলা ও ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ওই দিন রাতেই জয়নাল সরদার নামে এক যুবলীগ কর্মী বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের ৮ নেতাকর্মীর নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাতপরিচয় আরও ৩০ থেকে ৩৫ জনের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে মামলা করেন। এ মামলায় ওই ৮ নেতাকর্মী ৬ সপ্তাহ আগে হাইকোর্ট থেকে আগাম জামিন পান। জামিনের মেয়াদ শেষে মঙ্গলবার নওগাঁর জেলা ও দায়রা জজ আদালতে হাজির হয়ে মামলার এজহারভুক্ত বিএনপি ও তার সহযোগী সংগঠনের ৭ নেতাকর্মী পুনরায় জামিনের আবেদন করেন। আসামিদের জামিনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী সাব্বির হোসেন। আর জামিনের বিরোধীতা করে শুনানি করে রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি আব্দুল খালেক। উভয়পক্ষের শুনানি নিয়ে ওই সাত নেতাকর্মীর জামিন আবেদন না মঞ্জুর করে তাদেরকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন জেলা ও দায়রা জজ আবু শামীম আজাদ।